১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

৯টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হবে ঢাকার প্রবেশ পথে

বাস টার্মিনাল, ফাইল ছবিআন্তঃজেলা বাস সার্ভিসের জন্য রাজধানী ঢাকার প্রবেশ মুখে ৯টি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় পরিবহনের চাপ কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ঢাকার ভেতরের টার্মিনালগুলোয় শুধু সিটি সার্ভিস বাসগুলো রাখা হবে। আন্তঃজেলা পরিবহনের জন্য নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষের ১৩তম সভায় মহানগরী থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য ঢাকার প্রবেশ পথে ৯টি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিটিসিএ এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।

এরই মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত। এই স্টাডির ওপর ভিত্তি করে শুরু হবে মূল প্রকল্পের কাজ।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়া হবে। এজন্য স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার পরিবহনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে।

সূত্র জানিয়েছে, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও ডিপোর জন্য প্রাথমিকভাবে যেসব স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে−ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের দক্ষিণ পাশে ঝিলমিল তেগুরা, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের উত্তর, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের দক্ষিণ পাশ, ঢাকা-আরিচা হাইওয়ের উত্তর পাশ, নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ের পশ্চিম পাশ, গাজীপুর-ঢাকা-ময়মনংসিহ হাইওয়ের পশ্চিম পাশ, উত্তরা বিরুলিয়া এমআরটি লাইন-৬ এর কাছাকাছি, আতিবাজার বসিলা এবং রাজউকে পূর্বাচল ঢাকা বাইপাসের দক্ষিণ পাশ।

এর মধ্যে পূর্বাচল ঢাকা বাইপাসের দক্ষিণ পাশের টার্মিনালটি নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে ২.৮৯ হেক্টর জমি ডিটিসিএকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য রাজউককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১ ডিসেম্বর ডিটিসিএর ১৩তম বোর্ড সভায় জমি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন তিনটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে−গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল। এছাড়া ধানমন্ডি, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও পান্থপথসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে দূরপাল্লার বাস কাউন্টার ও ডিপো।

ফলে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী। এছাড়া গণপরিবহন ও আন্তঃজেলা পরিবহনের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। তাই যানজট ভোগান্তি কমিয়ে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডিটিসিএ’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ বলেন, ‘ঢাকার যানজট ভোগান্তি কমাতে শহরের ভেতরের টার্মিনালগুলোয় শুধু সিটির ভেতরে চলাচল করা গণপরিবহনগুলো রাখা হবে। আর আন্তঃজেলা পরিবহনের জন্য ঢাকার প্রবেশ পথে নতুন করে টার্মিনাল করা হবে।

এজন্য প্রাথমিক সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অক্টোবর থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এরপর আমরা স্থান নির্ধারণের কাজ শুরু করবো। আশা করি নির্ধারিত সময়ের আগেই সমীক্ষার কাজ শেষ হবে।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এসব টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকও পার্কিং করা যাবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

লে.কর্নেল মুনীম ফেরদৌস হলেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র

৯টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হবে ঢাকার প্রবেশ পথে

প্রকাশিত : ০৫:১৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

বাস টার্মিনাল, ফাইল ছবিআন্তঃজেলা বাস সার্ভিসের জন্য রাজধানী ঢাকার প্রবেশ মুখে ৯টি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় পরিবহনের চাপ কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ঢাকার ভেতরের টার্মিনালগুলোয় শুধু সিটি সার্ভিস বাসগুলো রাখা হবে। আন্তঃজেলা পরিবহনের জন্য নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষের ১৩তম সভায় মহানগরী থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য ঢাকার প্রবেশ পথে ৯টি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিটিসিএ এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।

এরই মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত। এই স্টাডির ওপর ভিত্তি করে শুরু হবে মূল প্রকল্পের কাজ।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়া হবে। এজন্য স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার পরিবহনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে।

সূত্র জানিয়েছে, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও ডিপোর জন্য প্রাথমিকভাবে যেসব স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে−ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের দক্ষিণ পাশে ঝিলমিল তেগুরা, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের উত্তর, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের দক্ষিণ পাশ, ঢাকা-আরিচা হাইওয়ের উত্তর পাশ, নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ের পশ্চিম পাশ, গাজীপুর-ঢাকা-ময়মনংসিহ হাইওয়ের পশ্চিম পাশ, উত্তরা বিরুলিয়া এমআরটি লাইন-৬ এর কাছাকাছি, আতিবাজার বসিলা এবং রাজউকে পূর্বাচল ঢাকা বাইপাসের দক্ষিণ পাশ।

এর মধ্যে পূর্বাচল ঢাকা বাইপাসের দক্ষিণ পাশের টার্মিনালটি নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে ২.৮৯ হেক্টর জমি ডিটিসিএকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য রাজউককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১ ডিসেম্বর ডিটিসিএর ১৩তম বোর্ড সভায় জমি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন তিনটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে−গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল। এছাড়া ধানমন্ডি, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও পান্থপথসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে দূরপাল্লার বাস কাউন্টার ও ডিপো।

ফলে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানজট। ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী। এছাড়া গণপরিবহন ও আন্তঃজেলা পরিবহনের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। তাই যানজট ভোগান্তি কমিয়ে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডিটিসিএ’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ বলেন, ‘ঢাকার যানজট ভোগান্তি কমাতে শহরের ভেতরের টার্মিনালগুলোয় শুধু সিটির ভেতরে চলাচল করা গণপরিবহনগুলো রাখা হবে। আর আন্তঃজেলা পরিবহনের জন্য ঢাকার প্রবেশ পথে নতুন করে টার্মিনাল করা হবে।

এজন্য প্রাথমিক সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অক্টোবর থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এরপর আমরা স্থান নির্ধারণের কাজ শুরু করবো। আশা করি নির্ধারিত সময়ের আগেই সমীক্ষার কাজ শেষ হবে।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এসব টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকও পার্কিং করা যাবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান