তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আদালতে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। তারা আদালত প্রাঙ্গনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন অপদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আইনজীবী সমিতি চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রসিডিংস গ্রহণ করতে পারে।
তিনি ৬ ডিসেম্বর রাতে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (টিসিজেএ) চট্টগ্রাম এর অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চলমান গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। তারা আদালত যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটিয়েছে তার জন্য বিচারপতিগণ এজলাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। তারা আইনকে মর্যাদা দিতে চায়না। আদালতের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জামিন নিতে চায়। অথচ জামিন প্রদানের বিষয়টি সর্ম্পণরুপে আদালতের এখতিয়ার। খালেদা জিয়ার জামিন হওয়ার পূর্বেই এ অবস্থা, জামিন হলে কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। তারা আগের মতো জ্বালাও-পোড়াও অবস্থার সৃস্টি করতে পারে। এ ব্যপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনকে পূর্বের মতোই প্রত্যাখান করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম কর্মী আইন হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ইলেক্ট্রনিক প্রিন্ট অনলাইনসহ সব মাধ্যমের সাংবাদিকগণ সুরক্ষা পাবে। সাংবাদিকদের ছাঁটাই না করতে মন্ত্রী এ সময় মালিকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, চ্যানেলের ক্রমবিন্যাস ঠিক রাখাসহ বাংলাদেশী পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশে প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। সম্প্রচার মাধ্যম ডিজিটালাইজড করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। সব টেলিভিশিন পে চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বিদেশী ডিটিএইচ লাগালে তার বিরুদ্ধে মোাবাইল কোর্ট চালু করা হবে।

তিনি বলেন, পিআইবি ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও পিআইবি ও নিমকো যৌথভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এ সময় তিনি টিসিএজের আপদকালীন তহবিলে ১ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন। টিসিজেএ’র সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন,
বিএফইউজে’র সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, টিসিজেএ ঢাকার সাধারন সম্পাদক ফারুক ইকবাল, টিভি জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারি রুনা, রংপুর টিসিএজের সভাপতি এহছানুল হক, টিসিএজে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এনামূল হক, উদযাপন কামিটির আহবায়ক রনি দাস বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে দুইজন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং সেরা তথ্যচিত্র ও সেরা রিপোর্টিং এর ওপর পুরস্কার প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্ত সাংবাদিকগণ হলেন সিনিয়র সাংবাদিক সৌমেন গূহ, ও এজাজ মাহমুদ। সেরা তথ্যচিত্রে ৫ জন হলেন এনটিভির ক্যামরাপার্সন এনামূল হক. চ্যানেল ২৪ এর ক্যামেরাপার্সন আবু জাহেদ, এস এ টিভির অমিত দাস, চ্যানেল ২৪ এর সেলিম উল্লাহ, মাছরাঙ্গা টিভির সন্জিব দে বাবু। সেরা রিপোটিং এ ৫ জন হলেন চ্যানেল ২৪এর রিপোর্টার আক্রাম হোসেন, চ্যানেল ২৪ এর রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম, যমুনা টিভির শোয়েব রহমান, ৭১ টিভির প্রণবেশ চক্রবর্তি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ