১০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

অগ্নিগর্ভ অসম, CAB-এর প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়লেন অভিনেতা যতীন বোরা

ঢাকা: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (CAB) নিয়ে কার্যত অগ্নিগর্ভ অসম। ডিব্রুগড়ে কারফিউ শিথিল হলেও গুয়াহাটিতে জারি রয়েছে এখনও। বিক্ষোভ, আন্দোলন, গণ অনশনে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই CAB নিয়ে বিরোধিতায় নেমেছে অসমবাসী। পুলিশের গুলিতে মৃত অন্তত ৩ জন বিক্ষোভকারী। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন অসমের ভূমিপুত্র গায়ক জুবিন-পাপন, অভিনেতা আদিল হুসেন। এমতাবস্থায় দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন অসমের বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা যতীন বোরা।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) লোকসভায় পাশ হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়েছে অসমে। প্রায় গোটা রাজ্যেই অসমীয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে। রাজধানী দিসপুর, গুয়াহাটি-সহ বঙ্গাইগাঁও, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট, মাজুলির মতো জেলাগুলিতে পথ অবরোধ শুরু হয়েছে। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা। বিপদ বুঝে একাধিক অঞ্চলে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করেছে প্রশাসন।

গুয়াহাটিগামী সমস্ত ট্রেন এবং বিমান বাতিল করা হয়েছে। ত্রিপুরা থেকেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গুয়াহাটির। কিন্তু তাতেও দমন করা যাচ্ছে না বিক্ষোভকারীদের। কারফিউ উপেক্ষা করেই পথে নামছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই, রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতামন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেও ঢিল ছুঁড়েছে বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। এককথায়, অচলাবস্থা অসমে। আর ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্যেই অসম ভূমিপুত্র যতীন বৃহস্পতিবার বিজেপি ছাড়লেন। ইস্তফা দিয়েছেন দলের সদস্যপদ থেকে।

যদিও দল ছাড়ার কোনও কারণ ব্যক্ত করেননি অভিনেতা। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) নিয়ে অসমের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্যই যে দলত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, যতিন ঘনিষ্ঠমহলে সেকথাই ঘুরছে।

অন্যদিকে, CAB প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে আদিল হুসেন বলেছেন, “অসম খুব কষ্টে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা অচলাবস্থা কাটিয়ে অসম সদ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। তবে আমাদের নেতা-মন্ত্রীরা অসমের জটিল পরিস্থিতি এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোর ব্যাপারে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের সর্বকালের সেরা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।” জুবিন-পাপনের কথা, “অসমে আক্রান্ত হচ্ছে মানবতা।” CAB বিরোধীতা মানেই কেন্দ্রীয় সরকারের বৈপরীত্য করা। সে পরিস্থিতির মুখোমুখি না হওয়ার জন্যই কি দলত্যাগ করলেন অসমের প্রখ্যাত তারকা যতিন বোরা? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
সূত্র: প্রতিদিন

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

লে.কর্নেল মুনীম ফেরদৌস হলেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র

অগ্নিগর্ভ অসম, CAB-এর প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়লেন অভিনেতা যতীন বোরা

প্রকাশিত : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢাকা: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (CAB) নিয়ে কার্যত অগ্নিগর্ভ অসম। ডিব্রুগড়ে কারফিউ শিথিল হলেও গুয়াহাটিতে জারি রয়েছে এখনও। বিক্ষোভ, আন্দোলন, গণ অনশনে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই CAB নিয়ে বিরোধিতায় নেমেছে অসমবাসী। পুলিশের গুলিতে মৃত অন্তত ৩ জন বিক্ষোভকারী। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন অসমের ভূমিপুত্র গায়ক জুবিন-পাপন, অভিনেতা আদিল হুসেন। এমতাবস্থায় দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন অসমের বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা যতীন বোরা।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) লোকসভায় পাশ হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়েছে অসমে। প্রায় গোটা রাজ্যেই অসমীয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে। রাজধানী দিসপুর, গুয়াহাটি-সহ বঙ্গাইগাঁও, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট, মাজুলির মতো জেলাগুলিতে পথ অবরোধ শুরু হয়েছে। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা। বিপদ বুঝে একাধিক অঞ্চলে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করেছে প্রশাসন।

গুয়াহাটিগামী সমস্ত ট্রেন এবং বিমান বাতিল করা হয়েছে। ত্রিপুরা থেকেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গুয়াহাটির। কিন্তু তাতেও দমন করা যাচ্ছে না বিক্ষোভকারীদের। কারফিউ উপেক্ষা করেই পথে নামছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই, রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতামন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেও ঢিল ছুঁড়েছে বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। এককথায়, অচলাবস্থা অসমে। আর ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্যেই অসম ভূমিপুত্র যতীন বৃহস্পতিবার বিজেপি ছাড়লেন। ইস্তফা দিয়েছেন দলের সদস্যপদ থেকে।

যদিও দল ছাড়ার কোনও কারণ ব্যক্ত করেননি অভিনেতা। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) নিয়ে অসমের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্যই যে দলত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, যতিন ঘনিষ্ঠমহলে সেকথাই ঘুরছে।

অন্যদিকে, CAB প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে আদিল হুসেন বলেছেন, “অসম খুব কষ্টে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা অচলাবস্থা কাটিয়ে অসম সদ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। তবে আমাদের নেতা-মন্ত্রীরা অসমের জটিল পরিস্থিতি এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোর ব্যাপারে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের সর্বকালের সেরা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।” জুবিন-পাপনের কথা, “অসমে আক্রান্ত হচ্ছে মানবতা।” CAB বিরোধীতা মানেই কেন্দ্রীয় সরকারের বৈপরীত্য করা। সে পরিস্থিতির মুখোমুখি না হওয়ার জন্যই কি দলত্যাগ করলেন অসমের প্রখ্যাত তারকা যতিন বোরা? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
সূত্র: প্রতিদিন

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ