০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবায় প্রথম হলো টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (হেলথ সিস্টেমস স্ট্রেংদেনিং—এইচএসএস) রেটিংসে সারা দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিভাগ ও কক্সবাজার জেলার কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম স্থান অধিকার করল। সেটির নাম টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর আগে টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতি মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৫ বার প্রথম স্থান, ১১ বার দ্বিতীয় স্থান ও ৭ বার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে প্রসব-পরবর্তী সেবা, সিজারিয়ান অপারেশন, মাইনর সার্জারি, ব্রেস্ট ফিডিংসহ অন্যান্য সেবা দেওয়ার জন্য এ রেটিংস অর্জন করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সারা দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে বিভিন্ন ইনডিকেটর বা পরিমাপক দ্বারা পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (এইচএসএস) রেটিংসে স্কোরের মাধ্যমে র‌্যাঙ্কিং করে থাকে। এদিকে গত বছরের ১৭ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল টেকনাফে। এরপর চিকিৎসক, নার্সসহ সম্মুখযোদ্ধারা স্থানীয় জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন। আজ পর্যন্ত উপজেলায় ৫৩৬ জন করোনা রোগীকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে নয়জন মারা গেছেন। ৫২১ জন সুস্থ হলেও বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসাধীন। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১২ জন চিকিৎসক ও ৮ জন কর্মচারী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় সারা দেশে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম হয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত চিকিৎসা দল নিয়ে কাজ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় এ সফলতা পেয়েছেন। চেষ্টা করে গেছেন পূর্ববর্তীদের অর্জিত এই সুনাম ধরে রাখার। তারই ধারাবাহিকতায় এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এইচএসএস স্কোরিংয়ে এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তিনি আরও বলেন, সেবার এই মানোন্নয়নের মূলে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সিভিল সার্জন স্যারের সুযোগ্য নির্দেশনা, সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং চিকিৎসক, নার্স, এসএসিএমও, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিসংখ্যানবিদসহ সব স্তরের কর্মীর কর্মপ্রেরণা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কক্সবাজার জেলা ও সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার হওয়ায় ইউএইচওসহ সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু, গাছেই ঝুলছিল ম’র’দে’হ

স্বাস্থ্যসেবায় প্রথম হলো টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত : ১২:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (হেলথ সিস্টেমস স্ট্রেংদেনিং—এইচএসএস) রেটিংসে সারা দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিভাগ ও কক্সবাজার জেলার কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম স্থান অধিকার করল। সেটির নাম টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর আগে টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতি মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৫ বার প্রথম স্থান, ১১ বার দ্বিতীয় স্থান ও ৭ বার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে প্রসব-পরবর্তী সেবা, সিজারিয়ান অপারেশন, মাইনর সার্জারি, ব্রেস্ট ফিডিংসহ অন্যান্য সেবা দেওয়ার জন্য এ রেটিংস অর্জন করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সারা দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে বিভিন্ন ইনডিকেটর বা পরিমাপক দ্বারা পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ (এইচএসএস) রেটিংসে স্কোরের মাধ্যমে র‌্যাঙ্কিং করে থাকে। এদিকে গত বছরের ১৭ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল টেকনাফে। এরপর চিকিৎসক, নার্সসহ সম্মুখযোদ্ধারা স্থানীয় জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন। আজ পর্যন্ত উপজেলায় ৫৩৬ জন করোনা রোগীকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে নয়জন মারা গেছেন। ৫২১ জন সুস্থ হলেও বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসাধীন। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১২ জন চিকিৎসক ও ৮ জন কর্মচারী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় সারা দেশে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রথম হয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত চিকিৎসা দল নিয়ে কাজ করছেন। এর ধারাবাহিকতায় এ সফলতা পেয়েছেন। চেষ্টা করে গেছেন পূর্ববর্তীদের অর্জিত এই সুনাম ধরে রাখার। তারই ধারাবাহিকতায় এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এইচএসএস স্কোরিংয়ে এবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তিনি আরও বলেন, সেবার এই মানোন্নয়নের মূলে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সিভিল সার্জন স্যারের সুযোগ্য নির্দেশনা, সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং চিকিৎসক, নার্স, এসএসিএমও, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিসংখ্যানবিদসহ সব স্তরের কর্মীর কর্মপ্রেরণা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কক্সবাজার জেলা ও সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার হওয়ায় ইউএইচওসহ সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানান।