০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনীতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাইদুল হত্যা মামলার আসামি ছাএলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার

হত্যা মামলার সশস্ত্র পলাতক আসামি জোবায়ের হোসেন গ্রেপ্তার।

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ছাইদুল ইসলাম (২০) হত্যা মামলার সশস্ত্র পলাতক আসামি জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-১১ এর যৌথ আভিযানিক দল।

গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সুধারামপুর থানার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার অশ্বদিয়া গ্রামের নুরুল আমিন কালামের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। উক্ত কর্মসূচিতে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতার সঙ্গে বারইয়ারহাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাএলীগ নেতা ছাত্র ছাইদুল ইসলাম (২০) অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ফেনী সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এ সময় ছাইদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ দিকে চলে যান। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য স্টার লাইন কাউন্টার সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ফ্লাইওভারের ওপরে উঠে শুয়ে পড়েন। আসামিগণ ফ্লাইওভারের ওপরে উঠে ছাইদুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৪ থেকে ১৬টি গুলি করে। ছাইদুল আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে।

র‍্যাব আরও জানায়, ঘটনার পর ছাত্র-জনতা ছাইদুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ছাইদুলের বাবা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৯৪ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, এ মামলার সশস্ত্র পলাতক আসামি জোবায়ের হোসেন নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‍্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জের যৌথ আভিযানিক দল গতকাল রাতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন জোবায়ের। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু, গাছেই ঝুলছিল ম’র’দে’হ

ফেনীতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাইদুল হত্যা মামলার আসামি ছাএলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ০৫:১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ছাইদুল ইসলাম (২০) হত্যা মামলার সশস্ত্র পলাতক আসামি জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-১১ এর যৌথ আভিযানিক দল।

গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর সুধারামপুর থানার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার অশ্বদিয়া গ্রামের নুরুল আমিন কালামের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। উক্ত কর্মসূচিতে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতার সঙ্গে বারইয়ারহাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাএলীগ নেতা ছাত্র ছাইদুল ইসলাম (২০) অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ফেনী সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এ সময় ছাইদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ দিকে চলে যান। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য স্টার লাইন কাউন্টার সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ফ্লাইওভারের ওপরে উঠে শুয়ে পড়েন। আসামিগণ ফ্লাইওভারের ওপরে উঠে ছাইদুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৪ থেকে ১৬টি গুলি করে। ছাইদুল আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে।

র‍্যাব আরও জানায়, ঘটনার পর ছাত্র-জনতা ছাইদুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ছাইদুলের বাবা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৯৪ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, এ মামলার সশস্ত্র পলাতক আসামি জোবায়ের হোসেন নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‍্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জের যৌথ আভিযানিক দল গতকাল রাতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি জোবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন জোবায়ের। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস