১১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সপ্তাহজুড়ে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার কোটি টাক

গত সপ্তাহে (৩০ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি) আবারও বড় ধরেনর দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এই সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে টানা দরপতনে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। ডিএসই সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২ কোটি টাকা। সপ্তাহজুড়ে দরপতনের কারণে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এই সময়ে বড় অঙ্কের বাজার মূলধন হারানোর পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ এবং লেনদেন হওয়া বেশিরবাগ শেয়ারের দাম। এদিকে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (২৩ থেকে ২৯ সজানুয়ারি) ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। তার আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। ফলে সর্বশেষ তিন সপ্তাহের দরপতনে ২২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। এর আগের দুই সপ্তাহে সূচকটি কমে ১১১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট এবং ৭৩ দশমকি ১৩ পয়েন্ট। যদি সর্বশেষ তিন সপ্তাহের এই পতনের আগে টানা সাত সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ১ হাজার ৩৭ পয়েন্ট বেড়েছিল। অন্যদিকে মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯টির এবং ৮৯টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। সূত্র জানায়, গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৫০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয় ১ হাজার ২০৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন কমেছে ৪৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৭৫২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৬ হাজার ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো, বেঙ্মিকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল।

ট্যাগ :

চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় বহিস্কৃত যুবদলের দুই নেতা, নিহত জুবায়ের যুবলীগের কর্মী

সপ্তাহজুড়ে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার কোটি টাক

প্রকাশিত : ১২:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গত সপ্তাহে (৩০ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি) আবারও বড় ধরেনর দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এই সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে টানা দরপতনে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। ডিএসই সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২ কোটি টাকা। সপ্তাহজুড়ে দরপতনের কারণে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এই সময়ে বড় অঙ্কের বাজার মূলধন হারানোর পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ এবং লেনদেন হওয়া বেশিরবাগ শেয়ারের দাম। এদিকে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (২৩ থেকে ২৯ সজানুয়ারি) ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। তার আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। ফলে সর্বশেষ তিন সপ্তাহের দরপতনে ২২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। এর আগের দুই সপ্তাহে সূচকটি কমে ১১১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট এবং ৭৩ দশমকি ১৩ পয়েন্ট। যদি সর্বশেষ তিন সপ্তাহের এই পতনের আগে টানা সাত সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ১ হাজার ৩৭ পয়েন্ট বেড়েছিল। অন্যদিকে মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯টির এবং ৮৯টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। সূত্র জানায়, গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৫০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয় ১ হাজার ২০৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন কমেছে ৪৫২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৭৫২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৬ হাজার ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো, বেঙ্মিকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল।