০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৪০ বছর হলেই করোনার টিকা নেওয়া যাবে

৪০ বছর বয়স হলেই করোনার টিকার জন্য নিববন্ধন করা যাবে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও নির্দেশনা দিয়েছেন, টিকা নিতে আগ্রহী কেউ যদি আগাম নিবন্ধন করতে না পারেন, তবে তিনি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে গেলে সেখান থেকেই যেন সরাসরি নিবন্ধন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে সে জন্য নিবন্ধন করতে না পারার সুনির্দিষ্ট কারণ থাকতে হবে। টিকা নিলেও প্রধানমন্ত্রী সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা শিথিল করা হলো। এখন পর্যায়ক্রমে অন্য বয়সীদের জন্যও নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনে টিকাদানের ব্যবস্থা করা হবে। টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন রোববারে রাজধানীর ৪৭টি হাসপাতালসহ সারা দেশে প্রায় এক হাজার হাসপাতালে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সারা দেশে টিকা পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৫ হাজার ৭১ জন। দেশে তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে ৮ মার্চ। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গতকাল বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রধান বিচারপতিসহ অর্ধশতাধিক বিচারপতি, অন্তত ১০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বেশ কয়েকজন সাংসদ ও সচিব, অধিকাংশ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতাসহ প্রায় সাত হাজার চিকিৎসক। দেশে করোনা সংক্রমণের ১১ মাস পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। সংক্রমণ যখন কমে আসছে, সে সময়ে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। টিকা নেওয়া ২১ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় বহিস্কৃত যুবদলের দুই নেতা, নিহত জুবায়ের যুবলীগের কর্মী

৪০ বছর হলেই করোনার টিকা নেওয়া যাবে

প্রকাশিত : ১২:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

৪০ বছর বয়স হলেই করোনার টিকার জন্য নিববন্ধন করা যাবে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও নির্দেশনা দিয়েছেন, টিকা নিতে আগ্রহী কেউ যদি আগাম নিবন্ধন করতে না পারেন, তবে তিনি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে গেলে সেখান থেকেই যেন সরাসরি নিবন্ধন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে সে জন্য নিবন্ধন করতে না পারার সুনির্দিষ্ট কারণ থাকতে হবে। টিকা নিলেও প্রধানমন্ত্রী সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা শিথিল করা হলো। এখন পর্যায়ক্রমে অন্য বয়সীদের জন্যও নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনে টিকাদানের ব্যবস্থা করা হবে। টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন রোববারে রাজধানীর ৪৭টি হাসপাতালসহ সারা দেশে প্রায় এক হাজার হাসপাতালে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সারা দেশে টিকা পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৫ হাজার ৭১ জন। দেশে তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে ৮ মার্চ। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গতকাল বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রধান বিচারপতিসহ অর্ধশতাধিক বিচারপতি, অন্তত ১০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বেশ কয়েকজন সাংসদ ও সচিব, অধিকাংশ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতাসহ প্রায় সাত হাজার চিকিৎসক। দেশে করোনা সংক্রমণের ১১ মাস পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। সংক্রমণ যখন কমে আসছে, সে সময়ে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। টিকা নেওয়া ২১ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।