১২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জলাশয়ে পয়ঃবর্জ্য না ফেলার আহ্বান

ঢাকা শহরের খাল ও লেকে পয়ঃবর্জ্য ফেলা বন্ধ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘ভালবাসা দিবস একদিন, শহরকে ভালবাসি প্রতিদিন’ প্রতিপাদ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর অধিকাংশ পয়ঃবর্জ্য খালে ও লেকে ফেলা হয়। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এই পয়ঃবর্জ্যের লাইন কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনার পাশাপাশি একটা টাইমলাইন নির্ধারণ ও একটি কমিটি গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ‘শুধু মানুষকে ভালবাসলে হবে না, আমরা যে শহরে বসবাস করি সে শহরকে ভালবাসার পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভালবাসতে হবে। নিজের আবাসস্থল, চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে শহরের প্রতি ভালোবাসার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরকে স্যুয়ারেজের আওতায় নিয়ে আসতে পাঁচটি পয়ঃশোধনাগার করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দাশেরকান্দি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে পুরো ঢাকা শহরের পয়ঃশোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। হাতিরঝিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ড্রিম প্রজেক্ট ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখানে স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের জন্য হাতিরঝিল নির্মাণ করা হয়েছে। রাজধানীতে এরকম আরও অনেক হাতিরঝিল করা সম্ভব। এখন ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন রাজধানীতে যেসব লেক আছে সেগুলো সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তরের দাবি আসছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান তিনি। রাজধানীর উচ্চবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসের এলাকায় পানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটির মূল্য সমান হতে পারে না তা পুনরাবৃত্তি করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা নগরীতে কোথায় হাই-রাইজ বা লো-রাইজ বিল্ডিং হবে, কোথায় আবাসিক বা কমার্শিয়াল জোন হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। মানুষের জন্য সড়ক, খেলার মাঠ, ট্রাফিক, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদনের স্থানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো দরকার। শুধু উঁচু ভবন নির্মাণ করলেই হবে না, সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শুধু শহর নয় সারাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সমন্বিতভাবে কাজ করলে পরিবর্তন অবধারিত। ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ট্যাগ :

জলাশয়ে পয়ঃবর্জ্য না ফেলার আহ্বান

প্রকাশিত : ১২:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঢাকা শহরের খাল ও লেকে পয়ঃবর্জ্য ফেলা বন্ধ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘ভালবাসা দিবস একদিন, শহরকে ভালবাসি প্রতিদিন’ প্রতিপাদ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর অধিকাংশ পয়ঃবর্জ্য খালে ও লেকে ফেলা হয়। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এই পয়ঃবর্জ্যের লাইন কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনার পাশাপাশি একটা টাইমলাইন নির্ধারণ ও একটি কমিটি গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ‘শুধু মানুষকে ভালবাসলে হবে না, আমরা যে শহরে বসবাস করি সে শহরকে ভালবাসার পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভালবাসতে হবে। নিজের আবাসস্থল, চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে শহরের প্রতি ভালোবাসার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরকে স্যুয়ারেজের আওতায় নিয়ে আসতে পাঁচটি পয়ঃশোধনাগার করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দাশেরকান্দি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে পুরো ঢাকা শহরের পয়ঃশোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। হাতিরঝিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ড্রিম প্রজেক্ট ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেখানে স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের জন্য হাতিরঝিল নির্মাণ করা হয়েছে। রাজধানীতে এরকম আরও অনেক হাতিরঝিল করা সম্ভব। এখন ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন রাজধানীতে যেসব লেক আছে সেগুলো সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তরের দাবি আসছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান তিনি। রাজধানীর উচ্চবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসের এলাকায় পানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটির মূল্য সমান হতে পারে না তা পুনরাবৃত্তি করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা নগরীতে কোথায় হাই-রাইজ বা লো-রাইজ বিল্ডিং হবে, কোথায় আবাসিক বা কমার্শিয়াল জোন হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। মানুষের জন্য সড়ক, খেলার মাঠ, ট্রাফিক, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদনের স্থানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো দরকার। শুধু উঁচু ভবন নির্মাণ করলেই হবে না, সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে শুধু শহর নয় সারাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাধারণ মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সমন্বিতভাবে কাজ করলে পরিবর্তন অবধারিত। ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।