০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে ৪ অভিযোগের বিষয়ে ১ অভিযানসহ সরজমিনে পদক্ষেপ গ্রহণ

  • মাসুদ রানাঃ
  • প্রকাশিত : ১২:১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • 86

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ০৪টি অভিযোগের বিষয়ে ১টি অভিযান,৩টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।দুদকের অভিযান ০১ কমলাপুর রেল ষ্টেশন, ঢাকা হতে মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য মহুয়া কমিউটার ট্রেনে একটি সিটের বিপরীতে তিনটি টিকেট কাটতে হয়, দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ এরকম একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অদ্য ৩০ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে দুদক প্রধান কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার এর নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছে।

সকাল ৯ টা থেকে কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকেটের যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা তা পর্যবেক্ষণ করে মহুয়া কমিউটার, তিতাস কমিউটার, রাজশাহী কমিউটার এবং জামালপুর কমিউটারসহ চারটি ট্রেনের সার্ভিস সেখানে দেখা যায়। টিম ছদ্মবেশে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করে এবং উপস্থিত যাত্রীদের কাছে ঘটনার সত্যতা পায়। কোন যাত্রী যদি সিট নিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাকে একটি সিটের বিপরীতে বাধ্যতামূলক দুই,তিন,চারটি টিকিট কিনতে হয়।

আর দাঁড়িয়ে যেতে চাইলে একটি সিটের সম্পূর্ণ ভাড়া প্রদান করতে হয় এবং প্রত্যেককেই ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়া বেশি দিতে হয়। বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিস গুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় চললেও তাদের ওপর রেলওয়ের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করে। ট্রেন আসার এক ঘন্টা পূর্বে তারা মূলত টিকিট বিক্রয় শুরু করে এবং যাত্রীদের হয়রানি করে থাকেন।

সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্টেশন ম্যানেজার এবং স্টেশন মাস্টারের সাথে টিম কথা বলে এবং তারা ইতোপূর্বে এরকম অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক ডিআরএম শফিকুর রহমান এবং ডিসিও (ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার) শাহ আলম এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে টিকেটের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি টিমের নজরে আসে। টিম, স্টেশন ম্যানেজারের কাছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেন সার্ভিসের জন্য যে চুক্তি হয়েছে তার বিষয়ে জানতে চায়।

চুক্তি অনুযায়ী তারা রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, ট্রেন সার্ভিস দিবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগী হিসেবে যাত্রী সেবা প্রদান করবে। রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সহ যাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।এছাড়াও পত্র প্রেরণ দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

চন্দনাইশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে এডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে ৪ অভিযোগের বিষয়ে ১ অভিযানসহ সরজমিনে পদক্ষেপ গ্রহণ

প্রকাশিত : ১২:১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ০৪টি অভিযোগের বিষয়ে ১টি অভিযান,৩টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।দুদকের অভিযান ০১ কমলাপুর রেল ষ্টেশন, ঢাকা হতে মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য মহুয়া কমিউটার ট্রেনে একটি সিটের বিপরীতে তিনটি টিকেট কাটতে হয়, দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ এরকম একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অদ্য ৩০ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে দুদক প্রধান কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার এর নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছে।

সকাল ৯ টা থেকে কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকেটের যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা তা পর্যবেক্ষণ করে মহুয়া কমিউটার, তিতাস কমিউটার, রাজশাহী কমিউটার এবং জামালপুর কমিউটারসহ চারটি ট্রেনের সার্ভিস সেখানে দেখা যায়। টিম ছদ্মবেশে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করে এবং উপস্থিত যাত্রীদের কাছে ঘটনার সত্যতা পায়। কোন যাত্রী যদি সিট নিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাকে একটি সিটের বিপরীতে বাধ্যতামূলক দুই,তিন,চারটি টিকিট কিনতে হয়।

আর দাঁড়িয়ে যেতে চাইলে একটি সিটের সম্পূর্ণ ভাড়া প্রদান করতে হয় এবং প্রত্যেককেই ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়া বেশি দিতে হয়। বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিস গুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় চললেও তাদের ওপর রেলওয়ের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করে। ট্রেন আসার এক ঘন্টা পূর্বে তারা মূলত টিকিট বিক্রয় শুরু করে এবং যাত্রীদের হয়রানি করে থাকেন।

সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্টেশন ম্যানেজার এবং স্টেশন মাস্টারের সাথে টিম কথা বলে এবং তারা ইতোপূর্বে এরকম অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক ডিআরএম শফিকুর রহমান এবং ডিসিও (ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার) শাহ আলম এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে টিকেটের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি টিমের নজরে আসে। টিম, স্টেশন ম্যানেজারের কাছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেন সার্ভিসের জন্য যে চুক্তি হয়েছে তার বিষয়ে জানতে চায়।

চুক্তি অনুযায়ী তারা রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, ট্রেন সার্ভিস দিবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগী হিসেবে যাত্রী সেবা প্রদান করবে। রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সহ যাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।এছাড়াও পত্র প্রেরণ দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব