০৭:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

নতুন করে হত্যাযজ্ঞে মেতেছে আশিয়ানের নজরুল

ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত জুলাই বিপ্লবে একাধিক হত্যা মামলার আসামী আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভুইয়া আবারো হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। তার নির্দেশে সর্বশেষ হত্যার শিকার হয়েছেন স্বদেশ প্রপার্টিজের সিকিউরিটি গার্ড কাউসার দেওয়ান। এঘটনায় মামলা হলেও বিএনপি নেতা স্বঘোষিত দূর্নীতিবাজ মেজর (অব.) কামরুলের সহযোগীতায় ধরা ছ্য়োার বাইরে রয়েছে কুখ্যাত এই ভুমিদস্যূ ।
সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতে আশিয়ান গ্রুপের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন স্বদেশ প্রপার্টিসের সিকিউরিটি গার্ড কাউসার দেওয়ান। এই ঘটনায় দিবাগত রাত ১টার দিকে খিলক্ষেত থানায় মামলা করা হয়। মামলা করেন কাউসার দেওয়ানের বোন মোর্শেদা খাতুন। মামলায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, জামাই আনোয়ার, জিহাদ, শাহীন ভুঁইয়া, জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ ১৫ জন ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার কারনে দুই নম্বর আসামী আনোয়ার হোসেন দেওয়ানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার পরেও আত্বগোপনে থেকে মেজর কামরুলের সহযোগীতা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া ও তার দুই ভাই।

মামলার এজহারে অভিযোগ করে বলা হয়, নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া, তার ভাই জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ৩০০ ফিটের পাশে স্বর্ণালী প্রজেক্টে কর্মরত লোকদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দেশিয় অস্ত্র দা ও চাপাতি দিয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। হামলায় স্বর্ণালী প্রজেক্টের অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে সিকিউরিটি গার্ড কাউসার দেওয়ানকে মাথার মধ্যস্থানে, ঘাড়ে ও হাতের বাম পাশে কোপালে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং ঢলে পড়েন। আশিয়ানের সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর অন্য সিকিউরিটি গার্ড ও এলাকাবাসীরা মিলে কাউসারকে এভারকেয়ার হাসপতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নজরুল বিগত স্বৈরাচারের আমলে আওয়ামী লীগে সঙ্গে মিলে হত্যা, জমি দখল,নারী নির্যাতনসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা করেনি। সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাবেক এমপি হাবিব হাসান, খসরু চৌধুরীসহ যাখন যে ঢাকা ১৮ আসনের এমপি ছিল তাকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম করতো। এর বাইরে বিএনপির নেতা মেজর অব. কামরুলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে দুই দিক ম্যানেজ করার মিশনেও ছিল চতুর এই নজরুল। ৫ আগষ্টের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে নজরুল ও তার পরিবার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা না পেয়ে আশিয়ানের অত্যাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করেও হোচট খায়। গত ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘অবৈধভাবে আশিয়ান সিটির জমি দখল, সীমাহীন প্রতারণা, জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের’ প্রতিবাদে ভুক্তভোগী প্লট ও জমির মালিকরা সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন। আশিয়ান সিটির ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা করে। সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন অন্যতম ভুক্তভোগী আয়োজক আনোয়ারা মায়া। মায়ের অনুপস্থিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা। তিনি বলেন, আমাদের সংবাদ সম্মেলন ছিল আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিষয়ে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমার মাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন। আমি আনোয়ারা মায়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা, ২০০৯ সালে খিলক্ষেত থানার বড়ুয়া দক্ষিণ পাড়ায় আমাদের এক বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে আশিয়ান সিটি। এই জমির দলিল, নামজারি, খাজনাসহ সকল কাগজপত্র আমার মায়ের নামে। এই জমি নিয়ে বিবাদের জেরে আমার মামাকে তারা হত্যা করেছে। আমার মা আদালতে গেছে তাদের বিরুদ্ধে। আদালত ওই জমির উপর ইনজাংশন দিয়ে বলেছেন, কোনো পক্ষ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিতর্কিত এই আশিয়ান সিটির মালিক ভূমিদস্যু নজরুল ইসলাম ভূইয়া এতোদিন আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে দখলবাজির মাধ্যমে জমির অবৈধ ব্যবসা করেছে। তখন জমি খেকো এই নজরুলের মূল পৃষ্ঠপোষক ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, পুলিশের বেনজির, হারুণ, মনির, আসাদুজ্জামান মিয়া, হাবিব, আওয়ামী লীগ নেতা মৃত সাহারা খাতুন, তোফাজ্জল চেয়্যারম্যান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মফিজ, নাঈমসহ আরো অনেকে।

আশিয়ান সিটির ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মধ্যে যারা ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা হলেন- আব্বাস আলী, ওলীউল্লাহ, রাশেদুল, নুরুল্লাহ, ফাহিম, আনিস, জিহাদ, নুরুল, সাইফুল, জাহিদুল, মজিবর, রিয়াজসহ আরো অনেকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই নজরুল এখন বিএনপির ছত্রছায়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, ও বড়ুড়া মৌজায় প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে ভিটেমাটি ছাড়া করা হচ্ছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ তাদের হাতে জিম্মি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

অস্ত্রসহ বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি গ্রেফতার

নতুন করে হত্যাযজ্ঞে মেতেছে আশিয়ানের নজরুল

প্রকাশিত : ০৯:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত জুলাই বিপ্লবে একাধিক হত্যা মামলার আসামী আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভুইয়া আবারো হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। তার নির্দেশে সর্বশেষ হত্যার শিকার হয়েছেন স্বদেশ প্রপার্টিজের সিকিউরিটি গার্ড কাউসার দেওয়ান। এঘটনায় মামলা হলেও বিএনপি নেতা স্বঘোষিত দূর্নীতিবাজ মেজর (অব.) কামরুলের সহযোগীতায় ধরা ছ্য়োার বাইরে রয়েছে কুখ্যাত এই ভুমিদস্যূ ।
সোমবার রাজধানীর খিলক্ষেতে আশিয়ান গ্রুপের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন স্বদেশ প্রপার্টিসের সিকিউরিটি গার্ড কাউসার দেওয়ান। এই ঘটনায় দিবাগত রাত ১টার দিকে খিলক্ষেত থানায় মামলা করা হয়। মামলা করেন কাউসার দেওয়ানের বোন মোর্শেদা খাতুন। মামলায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, জামাই আনোয়ার, জিহাদ, শাহীন ভুঁইয়া, জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ ১৫ জন ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার কারনে দুই নম্বর আসামী আনোয়ার হোসেন দেওয়ানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার পরেও আত্বগোপনে থেকে মেজর কামরুলের সহযোগীতা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া ও তার দুই ভাই।

মামলার এজহারে অভিযোগ করে বলা হয়, নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া, তার ভাই জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ৩০০ ফিটের পাশে স্বর্ণালী প্রজেক্টে কর্মরত লোকদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দেশিয় অস্ত্র দা ও চাপাতি দিয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। হামলায় স্বর্ণালী প্রজেক্টের অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে সিকিউরিটি গার্ড কাউসার দেওয়ানকে মাথার মধ্যস্থানে, ঘাড়ে ও হাতের বাম পাশে কোপালে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং ঢলে পড়েন। আশিয়ানের সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর অন্য সিকিউরিটি গার্ড ও এলাকাবাসীরা মিলে কাউসারকে এভারকেয়ার হাসপতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নজরুল বিগত স্বৈরাচারের আমলে আওয়ামী লীগে সঙ্গে মিলে হত্যা, জমি দখল,নারী নির্যাতনসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা করেনি। সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাবেক এমপি হাবিব হাসান, খসরু চৌধুরীসহ যাখন যে ঢাকা ১৮ আসনের এমপি ছিল তাকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম করতো। এর বাইরে বিএনপির নেতা মেজর অব. কামরুলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে দুই দিক ম্যানেজ করার মিশনেও ছিল চতুর এই নজরুল। ৫ আগষ্টের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে নজরুল ও তার পরিবার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা না পেয়ে আশিয়ানের অত্যাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করেও হোচট খায়। গত ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘অবৈধভাবে আশিয়ান সিটির জমি দখল, সীমাহীন প্রতারণা, জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের’ প্রতিবাদে ভুক্তভোগী প্লট ও জমির মালিকরা সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন। আশিয়ান সিটির ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা করে। সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন অন্যতম ভুক্তভোগী আয়োজক আনোয়ারা মায়া। মায়ের অনুপস্থিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা। তিনি বলেন, আমাদের সংবাদ সম্মেলন ছিল আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিষয়ে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমার মাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন। আমি আনোয়ারা মায়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা, ২০০৯ সালে খিলক্ষেত থানার বড়ুয়া দক্ষিণ পাড়ায় আমাদের এক বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে আশিয়ান সিটি। এই জমির দলিল, নামজারি, খাজনাসহ সকল কাগজপত্র আমার মায়ের নামে। এই জমি নিয়ে বিবাদের জেরে আমার মামাকে তারা হত্যা করেছে। আমার মা আদালতে গেছে তাদের বিরুদ্ধে। আদালত ওই জমির উপর ইনজাংশন দিয়ে বলেছেন, কোনো পক্ষ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিতর্কিত এই আশিয়ান সিটির মালিক ভূমিদস্যু নজরুল ইসলাম ভূইয়া এতোদিন আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে দখলবাজির মাধ্যমে জমির অবৈধ ব্যবসা করেছে। তখন জমি খেকো এই নজরুলের মূল পৃষ্ঠপোষক ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মামুন খালেদ, পুলিশের বেনজির, হারুণ, মনির, আসাদুজ্জামান মিয়া, হাবিব, আওয়ামী লীগ নেতা মৃত সাহারা খাতুন, তোফাজ্জল চেয়্যারম্যান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মফিজ, নাঈমসহ আরো অনেকে।

আশিয়ান সিটির ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মধ্যে যারা ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা হলেন- আব্বাস আলী, ওলীউল্লাহ, রাশেদুল, নুরুল্লাহ, ফাহিম, আনিস, জিহাদ, নুরুল, সাইফুল, জাহিদুল, মজিবর, রিয়াজসহ আরো অনেকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই নজরুল এখন বিএনপির ছত্রছায়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, ও বড়ুড়া মৌজায় প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে ভিটেমাটি ছাড়া করা হচ্ছে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ তাদের হাতে জিম্মি।