খুলনা টাইগার্সের দেয়া ১২২ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে সহজ জয় পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের এই জয়ে আবারও পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় উঠে গেল বন্দর নগরীর দলটি।
তুলনামুলক সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটি থেকে স্কোর বোর্ডে মুল্যবান ৬৯টি রান যোগ করেন লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। ২৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রান করে সিমন্স ফিরলেও থেকে যান জুনায়েদ। ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ধীরে ধীরে ফিফটির পথে এগোতে থাকেন এই ওপেনার।
তবে ফিফটির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ। এই স্পিনারের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন জুনায়েদ। ফেরার আগে ৩৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রানের দারুন এক ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর ফ্রাইলিংকের শিকার হয়ে তৎক্ষণাৎ ফিরে আসেন আসেলা গুনারত্নে। তবে জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি তাদের।
শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ২৭ বলে ২চার ২ ছক্কায় ৩০ রান করেন তিনি। ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহান।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে ১৪ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা টাইগার্স। তৃতীয় ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে জোড়া আঘাতে মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান রানা।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার আগেই শামসুর রহমানকে বিদায় করেন কেসরিক উইলিয়ামস। মুহূর্তেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। বিপর্যয়ের মুখে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রাইলি রুশো। আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তবে হঠাৎ থেমে যান মুশফিক। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২৯ রানে জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হন তিনি ।
পরে রবি ফ্রাইলিংককে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন রুশো। ভালোই খেলছিলেন দুই প্রোটিয়া। চট্টগ্রাম বোলারদের শাসাচ্ছিলেন রুশো। ফিফটির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময়ে পথচ্যুত হন বাঁহাতি ব্যাটার। উইলিয়ামসের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফেরার আগে ৪০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন রুশো।
এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে খুলনা। পরক্ষণেই উইলিয়ামসের বলে বিদায় নেন আমের ইয়ামিন। খানিক পর রুবেল হোসেনের বলে ফেরেন আলাউদ্দিন বাবু। রুশোর সঙ্গে জোট ভেঙে গেলে টিকতে পারেননি ফ্রাইলিংকও। রানার শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন তানভীর ইসলাম। তাকে ফিনিশ করেন রুবেল।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউটে কাটা পড়েন আলিস আল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১২১ রানে অলআউট হয় খুলনা। চট্টগ্রামের পক্ষে মেহেদী হাসান রানা ও রুবেল হোসেনে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ























