০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

২০ বছর সিনেমায়, একটি বাড়ি করতেও পারিনি : শাহনুর

  • বাবুল হৃদয়
  • প্রকাশিত : ০৮:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০
  • 301

‘ইন্দুবালা’, ‘এ চোখে শুধু তুমি’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘প্রেম সংঘাত’সহ ৬০টির বেশি সিনেমায় নায়িকা শাহনুর। অভিনয় করেছেন নাটকেও। সমাজসেবায়ও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন রফিক শিকদার পরিচালিত ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমা নিয়ে। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে বিজনেস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়

কেমন আছেন, কোথায়?
খুব ভালো আছি। এই তো বাসায়। রাতে পাবনা থেকে রফিক শিকদার পরিচালিত ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমার শুটিং করে ঢাকায় ফিরলাম। ওখানে টানা প্রায় সাত দিন শুটিং করলাম।

‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমায় আপনার চরিত্রটি কেমন?
‘বসন্ত বিকেল’ প্রেম-ভালোবাসার মৌলিক গল্পের একটি সিনেমা। সিনেমায় আমার চরিত্রটি বড় বোনের। আমরা দু্ই বোন। ছোট বোন সুবাহ। স্বামী নায়ক ওমর সানী। আমরা পুরোহিতে বিশ্বাসী। পুরোহিতের কথা শুনে ছোট বোনের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে বিয়ে না দিয়ে অন্য ছেলে কাছে বিয়ে দিই। এই নিয়ে নানা নাটকীয়তা। চমৎকার একটি মৌলিক গল্পের সিনেমা। গল্পটি ভীষণ উপভোগ করেছি আমি। নিজেকে প্রকাশ করার মতো গল্প। এর প্রত্যেকটি চরিত্রের অভিনয়ের বেশ জায়গা রয়েছে।

এর আগে ‘ইন্দুবালা’ সিনেমায় আপনাকে দেখেছি…
হুম। ‘ইন্দুবালা’ও একটি মৌলিক গল্পের সিনেমা ছিল। ইন্দুবালায় একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছি। এক অবহেলিত নারীর জীবন সংগ্রাম এবং সংগ্রাম শেষে তার জীবনের সাফল্যগাথা নিয়েই নির্মাণ হয়েছে ইন্দুবালা সিনেমাটি। মুক্তির পর ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

আপনার অভিনীত পছন্দের সিনেমা নিয়ে বলেন…
এ পর্যন্ত ৬১টি সিনেমায় অভিনয় করেছি। আমার সব সিনেমাই আমার পছন্দের। এর মধ্যে আলাদা করে বলা কঠিন। তারপরও যদি পছন্দের সিনেমার কথা বলি প্রথম বলব জহির রায়হানের ‌‌‘হাজার বছর ধরে’, ‘ইন্দুবালা’, ‘এ চোখে শুধু তুমি’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘প্রেম সংঘাত’ ইত্যাদি।

নাটকেও তো অভিনয় করেছেন…
আমি চারশ’র বেশি নাটকে অভিনয় করেছি।

সমাজসেবায় আপনাকে বেশ সরব দেখা যায়…
আমি বেশ কয়েকটি শিশু সংগঠনের সঙ্গে কাজ করি। এর মধ্যে পথশিশু, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সংগঠনও রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবা করার অভ্যাস তৈরি হয়েছে। বাবা ডাক্তার ছিলেন। তাকে দেখতাম বিনে পয়সার সেবা দিতেন। আমিও নিজের পয়সায় অনাথদের সেবা দিয়ে আসছি। এতে অনেক শান্তি পাই, যা ভাষায় বোঝাতে পারব না। সিনেমা, স্টেজ শো করে টাকা এনে ওদের দিই। ২০ বছর সিনেমায় কাজ করে একটা বাড়িও করতে পারিনি। এখনো ভাড়া বাসায় থাকি।

ব্যক্তিজীবন নিয়ে বলেন…
ব্যক্তিজীবনে বিয়ে করিনি। একটা বয়ফ্রেন্ডও নেই। স্বামীও নেই। সমাজটা কেমন যেন, প্রেম-ভালোবাসায় টানে না। বিয়ে করলে টাকাওয়ালা ছেলেকে বিয়ে করব। যার টাকা নিয়ে অসহায় শিশুদের সহয়তা করতে পারব। মজা করে বললাম, এগুলো লিখবেন না। সত্যি কথা বলতে, অসহায় শিশুদের জন্য আমার সবসময় মন কাঁদে।

সিনেমা নিয়ে আগামীর ভাবনা কী?
আরও ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে চাই, যে অভিনয় আমি মরার পরেও সেখান থেকে সবাই যেন শেখে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

ট্যাগ :

ছাত্রজনতার বিপ্লবের শহীদরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে চিরস্মরণীয়

২০ বছর সিনেমায়, একটি বাড়ি করতেও পারিনি : শাহনুর

প্রকাশিত : ০৮:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০

‘ইন্দুবালা’, ‘এ চোখে শুধু তুমি’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘প্রেম সংঘাত’সহ ৬০টির বেশি সিনেমায় নায়িকা শাহনুর। অভিনয় করেছেন নাটকেও। সমাজসেবায়ও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন রফিক শিকদার পরিচালিত ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমা নিয়ে। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে বিজনেস বাংলাদেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়

কেমন আছেন, কোথায়?
খুব ভালো আছি। এই তো বাসায়। রাতে পাবনা থেকে রফিক শিকদার পরিচালিত ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমার শুটিং করে ঢাকায় ফিরলাম। ওখানে টানা প্রায় সাত দিন শুটিং করলাম।

‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমায় আপনার চরিত্রটি কেমন?
‘বসন্ত বিকেল’ প্রেম-ভালোবাসার মৌলিক গল্পের একটি সিনেমা। সিনেমায় আমার চরিত্রটি বড় বোনের। আমরা দু্ই বোন। ছোট বোন সুবাহ। স্বামী নায়ক ওমর সানী। আমরা পুরোহিতে বিশ্বাসী। পুরোহিতের কথা শুনে ছোট বোনের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে বিয়ে না দিয়ে অন্য ছেলে কাছে বিয়ে দিই। এই নিয়ে নানা নাটকীয়তা। চমৎকার একটি মৌলিক গল্পের সিনেমা। গল্পটি ভীষণ উপভোগ করেছি আমি। নিজেকে প্রকাশ করার মতো গল্প। এর প্রত্যেকটি চরিত্রের অভিনয়ের বেশ জায়গা রয়েছে।

এর আগে ‘ইন্দুবালা’ সিনেমায় আপনাকে দেখেছি…
হুম। ‘ইন্দুবালা’ও একটি মৌলিক গল্পের সিনেমা ছিল। ইন্দুবালায় একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছি। এক অবহেলিত নারীর জীবন সংগ্রাম এবং সংগ্রাম শেষে তার জীবনের সাফল্যগাথা নিয়েই নির্মাণ হয়েছে ইন্দুবালা সিনেমাটি। মুক্তির পর ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

আপনার অভিনীত পছন্দের সিনেমা নিয়ে বলেন…
এ পর্যন্ত ৬১টি সিনেমায় অভিনয় করেছি। আমার সব সিনেমাই আমার পছন্দের। এর মধ্যে আলাদা করে বলা কঠিন। তারপরও যদি পছন্দের সিনেমার কথা বলি প্রথম বলব জহির রায়হানের ‌‌‘হাজার বছর ধরে’, ‘ইন্দুবালা’, ‘এ চোখে শুধু তুমি’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘প্রেম সংঘাত’ ইত্যাদি।

নাটকেও তো অভিনয় করেছেন…
আমি চারশ’র বেশি নাটকে অভিনয় করেছি।

সমাজসেবায় আপনাকে বেশ সরব দেখা যায়…
আমি বেশ কয়েকটি শিশু সংগঠনের সঙ্গে কাজ করি। এর মধ্যে পথশিশু, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সংগঠনও রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবা করার অভ্যাস তৈরি হয়েছে। বাবা ডাক্তার ছিলেন। তাকে দেখতাম বিনে পয়সার সেবা দিতেন। আমিও নিজের পয়সায় অনাথদের সেবা দিয়ে আসছি। এতে অনেক শান্তি পাই, যা ভাষায় বোঝাতে পারব না। সিনেমা, স্টেজ শো করে টাকা এনে ওদের দিই। ২০ বছর সিনেমায় কাজ করে একটা বাড়িও করতে পারিনি। এখনো ভাড়া বাসায় থাকি।

ব্যক্তিজীবন নিয়ে বলেন…
ব্যক্তিজীবনে বিয়ে করিনি। একটা বয়ফ্রেন্ডও নেই। স্বামীও নেই। সমাজটা কেমন যেন, প্রেম-ভালোবাসায় টানে না। বিয়ে করলে টাকাওয়ালা ছেলেকে বিয়ে করব। যার টাকা নিয়ে অসহায় শিশুদের সহয়তা করতে পারব। মজা করে বললাম, এগুলো লিখবেন না। সত্যি কথা বলতে, অসহায় শিশুদের জন্য আমার সবসময় মন কাঁদে।

সিনেমা নিয়ে আগামীর ভাবনা কী?
আরও ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে চাই, যে অভিনয় আমি মরার পরেও সেখান থেকে সবাই যেন শেখে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ