০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে ছাদ কৃষি

শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষও পিছিয়ে নেই ছাদ কৃষিতে।২২ বছরের প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে ছাদকৃষি ও মাঠ পর্যায়ে  নিজেকে যুক্ত করেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জামাল হোসেন ডালিম।বলেছেন কৃষি কাজের সুযোগ তার জীবনকে করেছে অনেক বেশি অর্থবহ।একতলা ভবনটির বয়স চার বছর।এই সময়ে এর ছাদকে দারুন এক কৃষিক্ষেত্রে পরিণত করেছেন জামাল হোসেন ডালিম।বর্ষা মৌসুমে যেমন এই সময়ে প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন  গুড়ি গুড়ি মাজারি সহ প্রবল ঝড়ের গতিতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।বুড়িচং সদর ইউনিয়নের আশেপাশে গ্রামগুলোর কৃষি মাঠগুলো পানিতে থৈ থৈ।এমতাবস্থায় কৃষিজ জমিগুলোতে তেমন কোন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব নয় কৃষকদের।ঠিক এই চিন্তা-ভাবনা থেকে তিনি ২ বছর পূর্বে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বর্ষা সময়ে ছাদের উপরে ইটের কংক্রিট  এবং সিমেন্ট ব্যবহার করে দৈর্ঘ্য চার ফিট,প্রস্থ দুই ফিট আকারের বক্স তৈরি করেন।যেন বিল্ডিংয়ের ছাদের কোন ধরনের ডাম্পিং বা ক্ষতিসাধন না হয়।তারপর তিনি এই বক্সে মাটি,জৈব ও রাসায়নিক সার মিশ্রিত করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখেন।এখানে তিনি সারা বছর শাকসবজি ফলমূল বিভিন্ন ধরনের ফলাদি আবাদ করেন।এই বছর তিনি লাউ চাষ করে ব্যাপক সারা ফেলেছেন।শীতের সবজি সবটা চাহিদা মিটছে এখান থেকে।ছাদকৃষিতে লাউয়ের পাশাপাশি তিনি হাইব্রিড জাতের শসা চাষ করেন।তিনি জানান,এখান থেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে ২০ হাজার টাকা লাউ বিক্রি করেছেন।আরো আনুমানিক পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের লাউ সবজি রয়েছে।দেশি সবজি গাছের এই সমারোহে অন্যরকম এক জীবনের সন্ধান পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া এই ছাদটিতে চলছে জৈব কৃষির অনুশীলন।পারিবারিক আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য ছাদেই খাঁচায় পালন করা হচ্ছে মুরগি।জামাল হোসেন ডালিমের স্ত্রী হোসনেয়ারা আক্তারের প্রশান্তির ক্ষেত্র এই ছাদ কৃষি।বলছেন, এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও টেলিভিশনের কল্যাণে।
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি নাগরিকের উপর ছিনতাইকারীর বর্বর হামলা ,দুই ছিনতাইকারী আটক

প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে ছাদ কৃষি

প্রকাশিত : ০৮:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষও পিছিয়ে নেই ছাদ কৃষিতে।২২ বছরের প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে ছাদকৃষি ও মাঠ পর্যায়ে  নিজেকে যুক্ত করেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জামাল হোসেন ডালিম।বলেছেন কৃষি কাজের সুযোগ তার জীবনকে করেছে অনেক বেশি অর্থবহ।একতলা ভবনটির বয়স চার বছর।এই সময়ে এর ছাদকে দারুন এক কৃষিক্ষেত্রে পরিণত করেছেন জামাল হোসেন ডালিম।বর্ষা মৌসুমে যেমন এই সময়ে প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন  গুড়ি গুড়ি মাজারি সহ প্রবল ঝড়ের গতিতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।বুড়িচং সদর ইউনিয়নের আশেপাশে গ্রামগুলোর কৃষি মাঠগুলো পানিতে থৈ থৈ।এমতাবস্থায় কৃষিজ জমিগুলোতে তেমন কোন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব নয় কৃষকদের।ঠিক এই চিন্তা-ভাবনা থেকে তিনি ২ বছর পূর্বে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বর্ষা সময়ে ছাদের উপরে ইটের কংক্রিট  এবং সিমেন্ট ব্যবহার করে দৈর্ঘ্য চার ফিট,প্রস্থ দুই ফিট আকারের বক্স তৈরি করেন।যেন বিল্ডিংয়ের ছাদের কোন ধরনের ডাম্পিং বা ক্ষতিসাধন না হয়।তারপর তিনি এই বক্সে মাটি,জৈব ও রাসায়নিক সার মিশ্রিত করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখেন।এখানে তিনি সারা বছর শাকসবজি ফলমূল বিভিন্ন ধরনের ফলাদি আবাদ করেন।এই বছর তিনি লাউ চাষ করে ব্যাপক সারা ফেলেছেন।শীতের সবজি সবটা চাহিদা মিটছে এখান থেকে।ছাদকৃষিতে লাউয়ের পাশাপাশি তিনি হাইব্রিড জাতের শসা চাষ করেন।তিনি জানান,এখান থেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে ২০ হাজার টাকা লাউ বিক্রি করেছেন।আরো আনুমানিক পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের লাউ সবজি রয়েছে।দেশি সবজি গাছের এই সমারোহে অন্যরকম এক জীবনের সন্ধান পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া এই ছাদটিতে চলছে জৈব কৃষির অনুশীলন।পারিবারিক আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য ছাদেই খাঁচায় পালন করা হচ্ছে মুরগি।জামাল হোসেন ডালিমের স্ত্রী হোসনেয়ারা আক্তারের প্রশান্তির ক্ষেত্র এই ছাদ কৃষি।বলছেন, এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও টেলিভিশনের কল্যাণে।