০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

অনলাইনেও প্রচারণায় সরব প্রার্থীরা

 

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ভোররাত থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

সশরীরে হাজির হওয়ার পাশাপাশি প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে নতুন অনুষঙ্গ। অনেকে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের বার্তা। প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে তারা ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মেয়র পদে ঢাকা উত্তরে ছয়জন এবং দক্ষিণে ছয়জন করে মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো দুটি বড় রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী।

এই দুই দলের প্রার্থীর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রচারণায় এই দুই দলের মেয়র প্রার্থীদেরকেই বেশি দেখা যায়। বাকি আটজনের তেমন হাঁকডাক এখন পর্যন্ত সেভাবে নজরে আসেনি।

ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের প্রচারণা চলছে বেশ জোরেশোরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে তার গণসংযোগ ও নানা প্রচারণা কার্যক্রম। পাশাপাশি ফেসবুক ব্যবহার করেও শিক্ষিত ভোটারদের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন আতিকুল।

আতিকুল ইসলাম নামের একটি ফেসবুক পেজে ৬ লাখ ২ হাজারের বেশি অনুসারী তাকে অনুসরণ করছেন। আর সেই ফেসবুক পেজে শোভা পাচ্ছে ভোটারদের কাছে আতিকুলের নানা প্রতিশ্রুতি, ঢাকাকে নিয়ে তার ভাবনার কথা। চাওয়া হচ্ছে ভোট।

একই ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই নির্বাচনে তার বিপরীতে অবস্থানকারী ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আতিকুলের তুলনায় ফেসবুকে তাবিথের অনুসারী বেশি। তাবিথ আউয়াল নামের ভেরিভাইড পেজটিতে অনুসারী ৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।

গণসংযোগস্থল থেকে তা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে তুলে ধরছেন এই প্রার্থী। এছাড়া বিভিন্ন সময় ঢাকা উত্তর সিটির জন্য তারা নানা ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। তাবিথ নিজেই বিভিন্ন সময় দিচ্ছেন নানা ভিডিও বার্তা, চাওয়া হচ্ছে ভোট।

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নে লড়ছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন এই প্রার্থী। তখন থেকে নিয়মিত ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন এই প্রার্থী।

২ লাখ ৬ হাজারের বেশি অনুসারী রয়েছে তাপসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। এই পেজের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে তার প্রচারণার নানা দিক। জানিয়ে দেয়া হচ্ছে পরবর্তী দিনের প্রচারণার সময় ও গণসংযোগস্থল।

দক্ষিণ সিটিতে ধানের শীষ প্রতীকে তাপসের বিপরীতে রয়েছেন সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। তরুণ এই প্রার্থী গণসংযোগের মতো সমানতালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভোটারদের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে তার নামের ফেসবুক পেইজটি একাধিকবার বুস্ট করা হয়েছে।

৪ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষ এই পেইজের মাধ্যমে ইশরাককে অনুসরণ করছেন। আর এর মাধ্যমেই তার বিভিন্ন পথসভা, গণসংযোগের ভিডিও চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। জানিয়ে দেয়া হচ্ছে পরবর্তী দিনের প্রচারণার স্থান ও সময়।

মেয়র প্রার্থীদের মতোই একই পথে হাঁটছেন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে নিজ নামে ফেসবুক পেজ ছিল না, এমন প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে পেজ খুলেছেন। আর এর মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন ওয়ার্ডকে ঘিরে তাদের ভাবনা, প্রতিশ্রুতির কথা। চাইছেন ভোট।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

জনপ্রিয়

অনলাইনেও প্রচারণায় সরব প্রার্থীরা

প্রকাশিত : ০৫:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০

 

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ভোররাত থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

সশরীরে হাজির হওয়ার পাশাপাশি প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে নতুন অনুষঙ্গ। অনেকে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের বার্তা। প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে তারা ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মেয়র পদে ঢাকা উত্তরে ছয়জন এবং দক্ষিণে ছয়জন করে মোট ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব প্রার্থীর মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো দুটি বড় রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী।

এই দুই দলের প্রার্থীর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রচারণায় এই দুই দলের মেয়র প্রার্থীদেরকেই বেশি দেখা যায়। বাকি আটজনের তেমন হাঁকডাক এখন পর্যন্ত সেভাবে নজরে আসেনি।

ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের প্রচারণা চলছে বেশ জোরেশোরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে তার গণসংযোগ ও নানা প্রচারণা কার্যক্রম। পাশাপাশি ফেসবুক ব্যবহার করেও শিক্ষিত ভোটারদের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন আতিকুল।

আতিকুল ইসলাম নামের একটি ফেসবুক পেজে ৬ লাখ ২ হাজারের বেশি অনুসারী তাকে অনুসরণ করছেন। আর সেই ফেসবুক পেজে শোভা পাচ্ছে ভোটারদের কাছে আতিকুলের নানা প্রতিশ্রুতি, ঢাকাকে নিয়ে তার ভাবনার কথা। চাওয়া হচ্ছে ভোট।

একই ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই নির্বাচনে তার বিপরীতে অবস্থানকারী ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আতিকুলের তুলনায় ফেসবুকে তাবিথের অনুসারী বেশি। তাবিথ আউয়াল নামের ভেরিভাইড পেজটিতে অনুসারী ৭ লাখ ১২ হাজারের বেশি।

গণসংযোগস্থল থেকে তা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে তুলে ধরছেন এই প্রার্থী। এছাড়া বিভিন্ন সময় ঢাকা উত্তর সিটির জন্য তারা নানা ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। তাবিথ নিজেই বিভিন্ন সময় দিচ্ছেন নানা ভিডিও বার্তা, চাওয়া হচ্ছে ভোট।

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নে লড়ছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন এই প্রার্থী। তখন থেকে নিয়মিত ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন এই প্রার্থী।

২ লাখ ৬ হাজারের বেশি অনুসারী রয়েছে তাপসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে। এই পেজের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে তার প্রচারণার নানা দিক। জানিয়ে দেয়া হচ্ছে পরবর্তী দিনের প্রচারণার সময় ও গণসংযোগস্থল।

দক্ষিণ সিটিতে ধানের শীষ প্রতীকে তাপসের বিপরীতে রয়েছেন সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। তরুণ এই প্রার্থী গণসংযোগের মতো সমানতালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভোটারদের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে তার নামের ফেসবুক পেইজটি একাধিকবার বুস্ট করা হয়েছে।

৪ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষ এই পেইজের মাধ্যমে ইশরাককে অনুসরণ করছেন। আর এর মাধ্যমেই তার বিভিন্ন পথসভা, গণসংযোগের ভিডিও চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। জানিয়ে দেয়া হচ্ছে পরবর্তী দিনের প্রচারণার স্থান ও সময়।

মেয়র প্রার্থীদের মতোই একই পথে হাঁটছেন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে নিজ নামে ফেসবুক পেজ ছিল না, এমন প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে পেজ খুলেছেন। আর এর মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন ওয়ার্ডকে ঘিরে তাদের ভাবনা, প্রতিশ্রুতির কথা। চাইছেন ভোট।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান