১১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ-নেপাল

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশে-নেপাল। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদ্বীপ কুমার গায়ওয়ালী এর সঙ্গে এক বিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেপাল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। দেশটির সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ চুক্তি হলে বাংলাদেশ নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করবে। এর মাধ্যমে উভয় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। নেপাল সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানান টিপু মুন্সি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে নেপালের।’

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্বপূর্ন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। উভয় দেশের মানুষ ও জীবনযাত্রার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, নেপাল তারপরই অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সাথে নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশ এ সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চায়।

গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ নেপালে ৩৮.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৮.১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ এখন পাটজাত পণ্য, ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, টয়লেট্রিজ এবং ঔষধসহ বেশ কিছু পণ্য নেপালে রফতানি করছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ-নেপাল

প্রকাশিত : ০৭:০৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশে-নেপাল। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদ্বীপ কুমার গায়ওয়ালী এর সঙ্গে এক বিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেপাল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। দেশটির সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ চুক্তি হলে বাংলাদেশ নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করবে। এর মাধ্যমে উভয় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। নেপাল সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানান টিপু মুন্সি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে নেপালের।’

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্বপূর্ন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। উভয় দেশের মানুষ ও জীবনযাত্রার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, নেপাল তারপরই অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সাথে নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশ এ সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চায়।

গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ নেপালে ৩৮.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৮.১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ এখন পাটজাত পণ্য, ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, টয়লেট্রিজ এবং ঔষধসহ বেশ কিছু পণ্য নেপালে রফতানি করছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ