ঢাকা: কবিতা হল মনের ভাব প্রকাশের সবচেয়ে সহজ ও শক্তিশালী মাধ্যম বলেছেন সৃজনশীল চিন্তাধারার লেখক ও কবি ইসলাম সাইফুল। আজকের বিজনেস বাংলাদেশ-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন এই কথা।
অমর একুশে বই মেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা প্রথম কবিতার বই ‘কপোতাক্ষীর সাথে আধেক প্রেম’। ২৫টি নান্দনিক কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। বইটি প্রকাশ করেছে অভিযান প্রকাশনা । প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন আমিনুল ইসলাম তুহিন। ইসলাম সাইফুল-এর কবিতায় উঠে এসেছে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সময়ের প্রেম ও ভালোবাসার কথা। যা সহজ ও সাবলীল ভাষায় কবিতায় তুলে ধরেছেন আধুনিক এই কবি।
নতুন কবিতার এই বই নিয়ে ইসলাম সাইফুল বলেন, ‘সংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বড় হয়েছি। কলেজ জীবন থেকেই লেখালেখি সাথে সম্পৃক্ত। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশ. বুদ্ধদেব, বিভুতী ভূষণসহ প্রখ্যাত লেখক ও কবিদের বইয়ের সঙ্গে পরিচয় অনেক আগে থেকেই। সে ধারাবাহিকতা থেকেই মাঝে-মধ্যে দু-চার লাইন করে লেখা এবং বই আকারে কবিতাগুলো প্রকাশ করা। কবি হতে নয়, শখের বসে লেখা।
কবিতা নিয়ে আগামীর ভাবনা সম্পর্কে ইসলাম সাইফুল বলেন, ‘কপোতাক্ষীর সাথে আধেক প্রেম’ আমার প্রথম কবিতার বই। অনেকে বইটির কবিতা পছন্দ করলেও অগ্রজন কবিগণেরা ব্যাকরণগত দিক ভাবতে বলেছেন। আগামীতে তাদের পরামর্শ নিয়ে আরো কবিতা লিখবো।
মোঃ সাইফুল ইসলাম ঢাকা ইলেট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)- এর নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং বিদ্যুত ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব। তিনি লেখালেখি করেন ইসলাম সাইফুল নামে।
ক্ষনজন্মা এই কবির জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৪, কিশোরগঞ্জ। বাপ-দাদার ভিটে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার ডোমনমারা গ্রামে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে কৃষিতে স্নাতক এবং সিভিল সার্ভিস কলেজ থেকে এম.পি.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত বার্ষিকী সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-এর নির্বাচিত যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
১১তম বিসিএস-এর মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। লেখালেখির শুরু কলেজ জীবন থেকেই। মুলতঃ শখের বসেই কবিতা লিখে চলেছেন নিয়মিত। তার কবিতার মূল উপজীব্য ভালোবাসা। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি অভিনয় করতেও ভালোবাসেন।
৬ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। তার সহধর্মিনী নুসরাত সুলতানা, ছেলে আজফার আবদুল্লাহ আহবাব দীপ এবং মেয়ে সুমাইয়া নওরিন দ্যুতি।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিআর