০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে লাল সবুজের ঢাকা

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এই দিনটিকে সামনে রেখে ২০২০-২১ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এদিন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে নিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বড় সমাগম হচ্ছে না। তবে ভিন্ন আকারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং শিশু দিবস উদযাপন একইসঙ্গে করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান সেজেছে লাল সবুজের আলোতে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে সবচেয়ে বড় এলইডি ডিসপ্লে বসেছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং তার ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হবে। এছাড়া সংসদ ভবনসহ তার চারপাশে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।

শুধু সংসদ ভবন নয়, জাতির পিতার শততম জন্মদিনে সেজেছে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ও সরকারি স্থাপনা। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রঙের আদলে লাল সবুজে ছেয়ে গেছে সেসব স্থাপনা। রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন, মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকার সোনালি ব্যাংক ভবন, সচিবালয়, আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সেচ ভবনসহ সচিবালয়ের বাইরে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতেও করা হয়েছে আলোকসজ্জা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে ১৭ মার্চ রাত ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে ‘মুজিববর্ষ’। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, রাত ৮টায় সারাদেশে জনসমাগম এড়িয়ে একযোগে আতশবাজি ফোটানো হবে।

এছাড়া ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১০০ জন শিল্পী সেদিন একসঙ্গে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে থিম সং করা হয়েছে, তা সেদিন শিল্পীরা গেয়ে শোনাবেন। এছাড়া ‘চিত্রপটে, দৃশ্যকাব্যে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও সম্প্রচারিত হবে টিভি চ্যানেলগুলোতে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে লাল সবুজের ঢাকা

প্রকাশিত : ০৮:৩১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এই দিনটিকে সামনে রেখে ২০২০-২১ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এদিন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে নিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বড় সমাগম হচ্ছে না। তবে ভিন্ন আকারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং শিশু দিবস উদযাপন একইসঙ্গে করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান সেজেছে লাল সবুজের আলোতে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে সবচেয়ে বড় এলইডি ডিসপ্লে বসেছে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং তার ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হবে। এছাড়া সংসদ ভবনসহ তার চারপাশে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।

শুধু সংসদ ভবন নয়, জাতির পিতার শততম জন্মদিনে সেজেছে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ও সরকারি স্থাপনা। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রঙের আদলে লাল সবুজে ছেয়ে গেছে সেসব স্থাপনা। রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন, মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকার সোনালি ব্যাংক ভবন, সচিবালয়, আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সেচ ভবনসহ সচিবালয়ের বাইরে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতেও করা হয়েছে আলোকসজ্জা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে ১৭ মার্চ রাত ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে ‘মুজিববর্ষ’। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, রাত ৮টায় সারাদেশে জনসমাগম এড়িয়ে একযোগে আতশবাজি ফোটানো হবে।

এছাড়া ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১০০ জন শিল্পী সেদিন একসঙ্গে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করবেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে থিম সং করা হয়েছে, তা সেদিন শিল্পীরা গেয়ে শোনাবেন। এছাড়া ‘চিত্রপটে, দৃশ্যকাব্যে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও সম্প্রচারিত হবে টিভি চ্যানেলগুলোতে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ