০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

নবীগঞ্জে ডুকছেন অন্য জেলার মানুষ

সারাদেশে যখন করোনা আতংকের মধ্যে মানুষজন  চিন্তিত ঠিক তখনি  দেশের অন্যজেলা ও উপজেলা থেকে আগত  দিনমজুর বোরোধান কাটতে  লকডাউন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি উপেক্ষা করে  পাবনা,  গাজীপুর,  নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী  সিরাজগঞ্জ থেকে দলেদলে দিনমজুর   নবীগঞ্জে প্রবেশ করছেন ।
প্রতিদিনই এসব জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে খোলা ট্রাকে করে শতাধিক দিনমজুর নবীগঞ্জে আসছেন । তারা এলাকায় এসে  অবাধে চলাফেরা করছেন। এতে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি।
নবীগঞ্জের ভাটি এলাকায়, বিশেষ করে জগন্নাথপুর, চরগাঁও, হলিমপুর,  সোনাপুর, শেরপুর,  কামড়াখাইড়  ফার্ম বাজার, কাজীরবাজার;  রমজানপুর, দুর্গাপুর, শেরপুর, কামালপুর, সর্দারপুর, ইনাতগঞ্জ, ঘোলডুবা, শাহবাজপুর, পাঞ্জারাই, গুজাখাইর,
অনেক দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ ঢাকা জেলার আশপাশ থেকে কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বেলাভ,  গাজীপুর সিরাজগঞ্জ মাদারীপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এখন তারা কর্মহীন হয়ে পড়ায় ভাটি অঞ্চলে প্রবেশ করছেন বোরোধান কাটতে।
পৌরশহরের বাসিন্দা আক্তার হোসেন জানান, গত কয়েকদিনে কয়েক প্রায় পাঁচ শতাধিক  মানুষ আমাদের নবীগঞ্জ শহরের ভাটি এলাকায় অবস্থান করছেন,  নিকটবর্তী উপজেলা  বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের উপজেলা   শাল্লা, দিরাই ও জগন্নাথপুর এলাকায় এসব মানুষ নবীগঞ্জ   দিয়ে প্রবেশ করছেন ।
কাগাপাশা ইউনিয়নের, মকা হাওড়, সিকান্দরপুর,সুজাতপুর এলাকার হাওড়ে ৫০ জন অবস্থান করছেন,  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দিনমজুর জানান, আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে কৃষি অফিসের অনুমতি নিয়ে ট্রাকে করে শতাধিক দিনমজুর নবীগঞ্জে  প্রবেশ করি। পথিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন আমাদের আটক করলে আমরা কৃষি অফিসের অনুমতি আছে বললে তারা আমাদের ছেড়ে দেন।
অথচ, করোনা টেস্ট করিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিস আমাদের কোন টেষ্ট নিতে বলেনি।
তিনি আরও জানান, বাইরে থেকে এসে তারা অবাধে চলাফেরা  করছেন। তাদের কে বুঝালেও শুনছেন না।
 পশ্চিম বড় ভাকৈর গ্রামের শিক্ষক রাহুল আমিন জানান, রাতের আঁধারে সিএনজি,ও ট্রাকযোগে দলেদলে প্রবেশ করছেন এসব মানুষ।  তারা নিকটবর্তী,  দিরাই, শাল্লা, মার্কুলি, জগন্নাথপুরে ডুকছেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কমিটি আমাদের  রয়েছে। জেলা প্রশাসক আমাদের গাইড লাইন দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।
নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে কমিটির লোকের মাধ্যমে অন্য জেলাফেরত লোকদের ১৪ থেকে ২০ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। যদি তারা না মানেন তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগ :

নবীগঞ্জে ডুকছেন অন্য জেলার মানুষ

প্রকাশিত : ১১:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
সারাদেশে যখন করোনা আতংকের মধ্যে মানুষজন  চিন্তিত ঠিক তখনি  দেশের অন্যজেলা ও উপজেলা থেকে আগত  দিনমজুর বোরোধান কাটতে  লকডাউন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি উপেক্ষা করে  পাবনা,  গাজীপুর,  নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী  সিরাজগঞ্জ থেকে দলেদলে দিনমজুর   নবীগঞ্জে প্রবেশ করছেন ।
প্রতিদিনই এসব জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে খোলা ট্রাকে করে শতাধিক দিনমজুর নবীগঞ্জে আসছেন । তারা এলাকায় এসে  অবাধে চলাফেরা করছেন। এতে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি।
নবীগঞ্জের ভাটি এলাকায়, বিশেষ করে জগন্নাথপুর, চরগাঁও, হলিমপুর,  সোনাপুর, শেরপুর,  কামড়াখাইড়  ফার্ম বাজার, কাজীরবাজার;  রমজানপুর, দুর্গাপুর, শেরপুর, কামালপুর, সর্দারপুর, ইনাতগঞ্জ, ঘোলডুবা, শাহবাজপুর, পাঞ্জারাই, গুজাখাইর,
অনেক দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ ঢাকা জেলার আশপাশ থেকে কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বেলাভ,  গাজীপুর সিরাজগঞ্জ মাদারীপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এখন তারা কর্মহীন হয়ে পড়ায় ভাটি অঞ্চলে প্রবেশ করছেন বোরোধান কাটতে।
পৌরশহরের বাসিন্দা আক্তার হোসেন জানান, গত কয়েকদিনে কয়েক প্রায় পাঁচ শতাধিক  মানুষ আমাদের নবীগঞ্জ শহরের ভাটি এলাকায় অবস্থান করছেন,  নিকটবর্তী উপজেলা  বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের উপজেলা   শাল্লা, দিরাই ও জগন্নাথপুর এলাকায় এসব মানুষ নবীগঞ্জ   দিয়ে প্রবেশ করছেন ।
কাগাপাশা ইউনিয়নের, মকা হাওড়, সিকান্দরপুর,সুজাতপুর এলাকার হাওড়ে ৫০ জন অবস্থান করছেন,  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দিনমজুর জানান, আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে কৃষি অফিসের অনুমতি নিয়ে ট্রাকে করে শতাধিক দিনমজুর নবীগঞ্জে  প্রবেশ করি। পথিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন আমাদের আটক করলে আমরা কৃষি অফিসের অনুমতি আছে বললে তারা আমাদের ছেড়ে দেন।
অথচ, করোনা টেস্ট করিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিস আমাদের কোন টেষ্ট নিতে বলেনি।
তিনি আরও জানান, বাইরে থেকে এসে তারা অবাধে চলাফেরা  করছেন। তাদের কে বুঝালেও শুনছেন না।
 পশ্চিম বড় ভাকৈর গ্রামের শিক্ষক রাহুল আমিন জানান, রাতের আঁধারে সিএনজি,ও ট্রাকযোগে দলেদলে প্রবেশ করছেন এসব মানুষ।  তারা নিকটবর্তী,  দিরাই, শাল্লা, মার্কুলি, জগন্নাথপুরে ডুকছেন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কমিটি আমাদের  রয়েছে। জেলা প্রশাসক আমাদের গাইড লাইন দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।
নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে কমিটির লোকের মাধ্যমে অন্য জেলাফেরত লোকদের ১৪ থেকে ২০ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। যদি তারা না মানেন তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান