০৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইফতারে কী খাবেন?

 

আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমাজান। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষই রোজা রাখেন। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে তারা বিশেষ আয়োজন করে থাকেন। এই তালিকায় থাকে বিভিন্ন ধরণের ফল থেকে ভাজা পোড়া খাবারও। সারাদিন উপুষ থাকার পর তাই ইফতার নিয়ে একটু চিন্তিত থাকেন অনেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারে কী খাবেন।

১. ইফতারের শুরুতে চিনি ও লেবু সমৃদ্ধ শরবত খাওয়া ভালো। তবে লেবুর পরিমাণ কম রাখতে হবে। এরপর, পাকা বিভিন্ন ফল যেমন, পাকা আম, খেজুর, কলা খাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে মুড়ি, ছোলা, চানাচুরসহ অন্যান্য স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।

২. অনেকেই ইফতারের খাবার একত্রিত করে মেখে খেতে পছন্দ করেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মরিচ ও পেঁয়াজের পরিমান বেশি না হয়। কারণ অধিক স্বাদের জন্য বেশি পরিমাণ মরিচ-পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৩. ইফতারের শুরুতে অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল বিশেষ করে, কাঁচা আম, আপেল, তেঁতুল, লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙ্গা ইফতারের শুরুতে না খাওয়া ভালো। ইফতারের শেষ দিকে এসব ফল খেতে হবে। এতে করে শরীরে সৃষ্ট ফ্রি রেডিকেল (শরীরের কোষের বর্জ্য) কমে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হবে।

৪. সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে বদহজম ও পেট ব্যাথা। তাই ইফতারে যতদূর সম্ভব এসব খাবার বর্জন করতে হবে।

৫. কম মশলাযুক্ত খাবার খেতে হবে। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।

৬. ইফতারে খাওয়ার মাঝে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে।

৭. ইফতারে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৮. ইফতারের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী খাবার খাওয়া যাবে। এ সময় ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ অন্যান্য খাবার খাওয়া যাবে। তবে, পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন স্বাভাবিকের থেকে বেশি না হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ শেখ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

ইফতারে কী খাবেন?

প্রকাশিত : ০৫:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০

 

আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমাজান। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষই রোজা রাখেন। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে তারা বিশেষ আয়োজন করে থাকেন। এই তালিকায় থাকে বিভিন্ন ধরণের ফল থেকে ভাজা পোড়া খাবারও। সারাদিন উপুষ থাকার পর তাই ইফতার নিয়ে একটু চিন্তিত থাকেন অনেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইফতারে কী খাবেন।

১. ইফতারের শুরুতে চিনি ও লেবু সমৃদ্ধ শরবত খাওয়া ভালো। তবে লেবুর পরিমাণ কম রাখতে হবে। এরপর, পাকা বিভিন্ন ফল যেমন, পাকা আম, খেজুর, কলা খাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে মুড়ি, ছোলা, চানাচুরসহ অন্যান্য স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।

২. অনেকেই ইফতারের খাবার একত্রিত করে মেখে খেতে পছন্দ করেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মরিচ ও পেঁয়াজের পরিমান বেশি না হয়। কারণ অধিক স্বাদের জন্য বেশি পরিমাণ মরিচ-পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৩. ইফতারের শুরুতে অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল বিশেষ করে, কাঁচা আম, আপেল, তেঁতুল, লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙ্গা ইফতারের শুরুতে না খাওয়া ভালো। ইফতারের শেষ দিকে এসব ফল খেতে হবে। এতে করে শরীরে সৃষ্ট ফ্রি রেডিকেল (শরীরের কোষের বর্জ্য) কমে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হবে।

৪. সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে বদহজম ও পেট ব্যাথা। তাই ইফতারে যতদূর সম্ভব এসব খাবার বর্জন করতে হবে।

৫. কম মশলাযুক্ত খাবার খেতে হবে। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।

৬. ইফতারে খাওয়ার মাঝে পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে।

৭. ইফতারে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৮. ইফতারের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী খাবার খাওয়া যাবে। এ সময় ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ অন্যান্য খাবার খাওয়া যাবে। তবে, পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন স্বাভাবিকের থেকে বেশি না হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ শেখ