১২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

করোনাকে জয় করলেন একই পরিবারের ৫ জন

লকডাউন পরিস্থিতিতে রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্স করে নারায়ণগঞ্জ থেকে পটুয়াখালীর বাউফলে আসা করোনায় আক্রান্ত একই পরিবারের পাচঁজনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

করোনা জয়ীরা হলেন, উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া গ্রামের আজিমন বিবি (৮৫), মেয়ে হাওয়া বেগম (৫০), পুত্রবধূ হনুফা বেগম (৪০), নাতি সিদ্দিকুর রহমান (২২) ও নাতনি ফারজানা আক্তার (১৪)।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন থেকে ওই পাঁচজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এ সময় করোনাজয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চিকিৎসক-নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিতি ছিলেন উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) ফারুক হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা, ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফেরা ৮৫ বছরের আজিমন বিবি বলেন, সবকিছু আল্লাহর রহমত। তিনি রোগ দিয়েছেন, তিনিই আবার সুস্থ করে দিয়েছেন। ১৮ দিন পর বাড়ি যাচ্ছি, ভাবিনি জীবিত অবস্থায় আর বাড়ি যেতে পারব। আজ আমাদের বাড়ি ফেরা ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা। তাদের নির্দেশনা মেনে চলেছি। ওষুধ খেয়েছি, গরম-চা খেয়েছি, গরম পানির ভাপ নিয়েছি, গার্গল করেছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েছি।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, এক পরিবারের পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছিল। দীর্ঘ চিকিৎসাসেবায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন তারা। এর মধ্যে অবাক করা বিষয় হলো ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা করোনাকে হারিয়ে দিয়েছেন। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনিও। এরপরও তাদের আরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগী সেজে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে আসেন একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। পরে উপজেলার ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠালে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সচেতন হলেই সবাই করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :

রামগঞ্জে হতদরিদ্র হৃদয়ের স্বপ্ন পুরন করবে স্মার্ট জহির

করোনাকে জয় করলেন একই পরিবারের ৫ জন

প্রকাশিত : ০৯:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

লকডাউন পরিস্থিতিতে রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্স করে নারায়ণগঞ্জ থেকে পটুয়াখালীর বাউফলে আসা করোনায় আক্রান্ত একই পরিবারের পাচঁজনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

করোনা জয়ীরা হলেন, উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া গ্রামের আজিমন বিবি (৮৫), মেয়ে হাওয়া বেগম (৫০), পুত্রবধূ হনুফা বেগম (৪০), নাতি সিদ্দিকুর রহমান (২২) ও নাতনি ফারজানা আক্তার (১৪)।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন থেকে ওই পাঁচজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এ সময় করোনাজয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চিকিৎসক-নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিতি ছিলেন উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) ফারুক হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা, ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফেরা ৮৫ বছরের আজিমন বিবি বলেন, সবকিছু আল্লাহর রহমত। তিনি রোগ দিয়েছেন, তিনিই আবার সুস্থ করে দিয়েছেন। ১৮ দিন পর বাড়ি যাচ্ছি, ভাবিনি জীবিত অবস্থায় আর বাড়ি যেতে পারব। আজ আমাদের বাড়ি ফেরা ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা। তাদের নির্দেশনা মেনে চলেছি। ওষুধ খেয়েছি, গরম-চা খেয়েছি, গরম পানির ভাপ নিয়েছি, গার্গল করেছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েছি।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, এক পরিবারের পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছিল। দীর্ঘ চিকিৎসাসেবায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন তারা। এর মধ্যে অবাক করা বিষয় হলো ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা করোনাকে হারিয়ে দিয়েছেন। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনিও। এরপরও তাদের আরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগী সেজে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে আসেন একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। পরে উপজেলার ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠালে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সচেতন হলেই সবাই করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর