০৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঈদের দিনে স্থানীয় যুবককে হত্যা করল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

করোনার ক্রান্তিকালে বছর ঘুরে ফিরে এল মুসলিম উম্মাহর খুশির উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। আর সেই ঈদের দিনে ভোর সকালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহৃত স্থানীয় যুবক আব্দুর রশিদকে (২৭) হত্যা করেছে। নিহত যুবক আব্দুর রশিদ হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মিয়া হোসেনের ছেলে।
২৫ মে ভোর সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালীর আঞ্জুমান খাল থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় অপহৃত যুবক আব্দুর রশিদের পরিত্যক্ত লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় জনগণ।এই বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন হোয়াইক্যং পুলিশ অফিসার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মশিউড় রহমান।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, প্রতিদিনের মত আঞ্জুমান খালে কাঁকড়া শিকারে যাওয়া মোস্তাফিজ নামে এক ব্যক্তি হাত বাঁধা, মাথা ও নাক-মুখে আঘাতের চিহ্নসহ একটি পরিত্যক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে খবর দিলে লোকজন এসে এই মৃতদেহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কতৃক অপহৃত কাটা খালীর মিয়া হোসেনেন পুত্র আব্দুর রশিদ বলে শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে গত ২৯ এপ্রিল রাতে মিনাবাজারের পাহাড়ী এলাকা থেকে ধান ক্ষেত পাহাড়া দেয়ার সময় শাহেদ সহ ৩জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের বাহিনী। এর দুইদিন পর অপহৃত আক্তারুল্লাহ নামে এক যুবককে হত্যা করে হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং এলাকায় পাহাড়ের কাছে লাশ ফেলে দেয় হাকিম বাহিনী।
আক্তারুল্লাহকে হত্যার পর ফোন করে হত্যার কথা স্বীকার করে শাহেদ সহ দুইজনের জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করতে থাকে হাকিম। সর্বশেষ চাঁদা না পেয়ে অপহৃত ২ জন থেকে শাহেদকে হত্যা করে পাহাড়ে পুঁতে দিয়ে অপর কৃষক ইদ্রিসকে নিয়ে গতকাল ভোর রাতে উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে মায়ানমারে পালিয়ে যাওয়ার যাত্রা কালে সুকৌশলে পালিয়ে আসে অপহৃত কৃষক ইদ্রিস।
তবে ঘটনাস্থল থেকে কাঁকড়া শিকারে যাওয়া আব্দুর রশিদকে অপহরণ করে আজ সকালে হত্যা করে খালের মধ্যে ফেলে দেয়। এদিকে ঈদের দিনে অপহৃত যুবক আব্দুর রশীদের লাশের খবর পেয়ে ঈদ উল্লাসের পরিবর্তে শোকের ছায়া নেমে আসে আব্দুর রশিদের পরিবারে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আব্দুর রশিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানোর পক্রিয়াধীন চলছে বলে জানান হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মশিউড় রহমান।

 

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ঈদের দিনে স্থানীয় যুবককে হত্যা করল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

প্রকাশিত : ০৫:৪৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০
করোনার ক্রান্তিকালে বছর ঘুরে ফিরে এল মুসলিম উম্মাহর খুশির উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। আর সেই ঈদের দিনে ভোর সকালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহৃত স্থানীয় যুবক আব্দুর রশিদকে (২৭) হত্যা করেছে। নিহত যুবক আব্দুর রশিদ হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা মিয়া হোসেনের ছেলে।
২৫ মে ভোর সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালীর আঞ্জুমান খাল থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় অপহৃত যুবক আব্দুর রশিদের পরিত্যক্ত লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় জনগণ।এই বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন হোয়াইক্যং পুলিশ অফিসার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মশিউড় রহমান।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, প্রতিদিনের মত আঞ্জুমান খালে কাঁকড়া শিকারে যাওয়া মোস্তাফিজ নামে এক ব্যক্তি হাত বাঁধা, মাথা ও নাক-মুখে আঘাতের চিহ্নসহ একটি পরিত্যক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে খবর দিলে লোকজন এসে এই মৃতদেহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কতৃক অপহৃত কাটা খালীর মিয়া হোসেনেন পুত্র আব্দুর রশিদ বলে শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে গত ২৯ এপ্রিল রাতে মিনাবাজারের পাহাড়ী এলাকা থেকে ধান ক্ষেত পাহাড়া দেয়ার সময় শাহেদ সহ ৩জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতের বাহিনী। এর দুইদিন পর অপহৃত আক্তারুল্লাহ নামে এক যুবককে হত্যা করে হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং এলাকায় পাহাড়ের কাছে লাশ ফেলে দেয় হাকিম বাহিনী।
আক্তারুল্লাহকে হত্যার পর ফোন করে হত্যার কথা স্বীকার করে শাহেদ সহ দুইজনের জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করতে থাকে হাকিম। সর্বশেষ চাঁদা না পেয়ে অপহৃত ২ জন থেকে শাহেদকে হত্যা করে পাহাড়ে পুঁতে দিয়ে অপর কৃষক ইদ্রিসকে নিয়ে গতকাল ভোর রাতে উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে মায়ানমারে পালিয়ে যাওয়ার যাত্রা কালে সুকৌশলে পালিয়ে আসে অপহৃত কৃষক ইদ্রিস।
তবে ঘটনাস্থল থেকে কাঁকড়া শিকারে যাওয়া আব্দুর রশিদকে অপহরণ করে আজ সকালে হত্যা করে খালের মধ্যে ফেলে দেয়। এদিকে ঈদের দিনে অপহৃত যুবক আব্দুর রশীদের লাশের খবর পেয়ে ঈদ উল্লাসের পরিবর্তে শোকের ছায়া নেমে আসে আব্দুর রশিদের পরিবারে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আব্দুর রশিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানোর পক্রিয়াধীন চলছে বলে জানান হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মশিউড় রহমান।