০৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে করোনার লক্ষণ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে মারা গেছেন জালালাবাদে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আয়া এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির বাবা।
আজ সোমবার (১ জুন) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এ তিনজন মারা গেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামে ৪০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
ফলে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২ হাজার ৯৪৩ জনে।
করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন নগরীর বায়েজিদ থানার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডা. মন্টু কুমার শীল (৬০)।
আজ সকাল ৮টায় নগরীর বাকলিয়ায় নিজ বাসায় মারা যান তিনি।
২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু জানিয়েছেন, ডা. মন্টু শীল জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে নিয়মিত রোগী দেখতেন।
সপ্তাহ খানেক আগে তার জ্বর ও সর্দি দেখা দিলে তিনি রোগী দেখা বন্ধ করে দেন।
সর্বশেষ ২৭ মে রোগী দেখেছিলেন তিনি। আর ৩১ মে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়।
তবে নমুনা প্রতিবেদন আসার আগেই তিনি মারা গেলেন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটের আয়া হাসিনা বেগমের (৬০) মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসিনা বেগম চট্টগ্রাম জেরনারেল হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ছিলেন।  তিনি করোনা ইউনিটের আয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত রোববার আমাদের হাসপাতালের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। আজ সোমবার সকাল ৮টায় তিনি মারা যান।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির বাবা হাবিবুর রহমান মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
এর আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাবিবুর রহমান।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামের দুটি ল্যাবে ৪০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৯৫ জনের করোনা পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ১৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের ২৩ জনের করোনা মিলেছে।

 

 

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

দুদকের ২ উপপরিচালক বরখাস্ত

চট্টগ্রামে করোনার লক্ষণ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০১:১৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে মারা গেছেন জালালাবাদে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আয়া এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির বাবা।
আজ সোমবার (১ জুন) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এ তিনজন মারা গেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামে ৪০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
ফলে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২ হাজার ৯৪৩ জনে।
করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন নগরীর বায়েজিদ থানার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডা. মন্টু কুমার শীল (৬০)।
আজ সকাল ৮টায় নগরীর বাকলিয়ায় নিজ বাসায় মারা যান তিনি।
২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু জানিয়েছেন, ডা. মন্টু শীল জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে নিয়মিত রোগী দেখতেন।
সপ্তাহ খানেক আগে তার জ্বর ও সর্দি দেখা দিলে তিনি রোগী দেখা বন্ধ করে দেন।
সর্বশেষ ২৭ মে রোগী দেখেছিলেন তিনি। আর ৩১ মে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়।
তবে নমুনা প্রতিবেদন আসার আগেই তিনি মারা গেলেন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটের আয়া হাসিনা বেগমের (৬০) মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসিনা বেগম চট্টগ্রাম জেরনারেল হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ছিলেন।  তিনি করোনা ইউনিটের আয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত রোববার আমাদের হাসপাতালের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। আজ সোমবার সকাল ৮টায় তিনি মারা যান।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির বাবা হাবিবুর রহমান মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
এর আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাবিবুর রহমান।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামের দুটি ল্যাবে ৪০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৯৫ জনের করোনা পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ১৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের ২৩ জনের করোনা মিলেছে।

 

 

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক