নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত। ৫ জুন মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার শেষে তাকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশন সাপোর্টে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাকে আরও ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া তার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
শনিবার (৬ জুন) বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গতকাল সফল অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মোহাম্মদ নাসিমকে। উনার অবস্থা এখনও আসলে কিছু বলা যাচ্ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় উনার অবস্থা খারাপও হয়নি আবার ভালো হয়েছে এটাও বলা যাবে না। তার চিকিৎসার জন্য ১৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই মেডিকেল বোর্ডে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ও নিউরো সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা।’
এদিকে মোহাম্মদ নাসিমের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, ‘উনার বর্তমান অবস্থা আসলে ক্রিটিকাল। আজকে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। আগামী ২৪ ঘণ্টা আরও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে উনাকে।’
মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘আব্বা করোনা থেকে খুব দ্রুত রিকভার করেন। কিন্তু শুক্রবার (৫ জুন) সকালে আব্বার বড় আকারের একটি স্ট্রোক হয়। সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করে জমাট বাঁধা রক্তের অধিকাংশই অপসারণ করা হয়। তারপরও তিনি এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। বেশি রক্তক্ষরণ হওয়ায় মাথার ভেতরে এখনও কিছু রক্ত জমাট বেঁধে আছে।’
এর আগে গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাতে ওই পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। এর আগে তার স্ত্রীও করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর


























