সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে তাদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
প্রধান শিক্ষকদের পরের গ্রেডে বেতন-ভাতাপ্রাপ্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দিনের অনশন কর্মসূচি স্থগিতের পর মঙ্গলবার সচিবালয়ে একথা জানান তিনি।
সোমবার শিক্ষকদের অনশন ভাঙান গণশিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, শহীদ মিনার থেকে ফিরে সচিবকে নিয়ে বসেছিলাম। দাবিতে কী আছে না আছে, কোনটি যৌক্তিক- তা আলোচনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বলেছি শিক্ষক প্রতিনিধিদের নাম পাঠানোর জন্য। শিক্ষক প্রতিনিধিদের নাম পাওয়ার পরে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ সপ্তাহেই আলোচনা শুরু করবো।
তিনি বলেন, এসময় শিক্ষকদের আন্দোলন বন্ধ করে দাবির যৌক্তিকতা নির্ধারণের জন্য আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছি।
বর্তমানে প্রশিক্ষণধারী প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে, প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ১২তম গ্রেডে, ১৩তম গ্রেডে সহকারী প্রধান শিক্ষকের জন্য সংরক্ষণ, ১৪তম গ্রেডে প্রশিক্ষণধারী সহকারী শিক্ষক এবং ১৫তম গ্রেডে প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেয়ে আসছেন।
প্রশিক্ষণধারী প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড থেকে এক ধাপ উপরে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব এসেছে। এভাবে অন্য গ্রেডের শিক্ষকরাও এক ধাপ করে এগোবেন।
প্রধান শিক্ষকদের এই গ্রেড উন্নীতকরণ প্রস্তাবের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসা সহকারী শিক্ষকেরা অনশন শুরু করলে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

























