ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার নিউমোনিয়ার সমস্যা কমে আসছে। কমেছে কৃত্রিম অক্সিজেন নেওয়ার মাত্রাও। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মারাত্মক নিউমোনিয়ার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস, পরিমিত অ্যান্টিবায়োটিক ও বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হচ্ছে।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী ও অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে ডা. জাফরুল্লাহর চিকিৎসা চলছে বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক বার্তায় বলা হয়, অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের মারাত্মক নিউমোনিয়া ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে এবং অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ কমে আসছে। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস, পরিমিত অ্যান্টিবায়োটিক ও বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপি দেয়া হচ্ছে। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং দোয়া চেয়েছেন।’
৪ জুন রাতে ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং শনিবার থেকে ধীরে ধীরে তার উন্নতি হতে থাকে। ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তার করোনা পজিটিভ আসে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্ত্রী এবং ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার