০১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম আমার জীবনের বড় একটা অংশ: আতিফ

আতিফ আসলাম

চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুর দিকে প্রকাশ পাওয়া নিজ কণ্ঠে আজানের মাধ্যমে দারুণভাবে প্রশংসিত হন বলিউড মাতানো পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।

উপমহাদেশের নন্দিত এ গায়ক আজান, নাত ও কাওয়ালিতে মনোনিবেশ করায়- গান ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা এমন একটা জিজ্ঞাসা তৈরি হয়, তার ভক্তকূলের মধ্যে!

করোনাকালে যখন সব দেশেই চলছে লকডাউন তখন বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অনলাইনে এসে গান শোনাচ্ছেন ভক্তদের। তবে পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম গান নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের গলায় আজান পরিবেশন করে হয়েছেন সমাদৃত। সেইসঙ্গে ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছিল তবে কি তিনি গান ছাড়ছেন?

আতিফ আসলামনিজের দেশ পাকিস্তান ছাড়াও আতিফ আসলাম ভারত বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এত ভক্তকুলের এই প্রশ্নের জবাব তিনি দিয়েছেন পাকিস্তানের ‘হামিদ মির’ অনলাইন টকশোতে উপস্থিত হয়ে।

৩৭ বছর বয়সী গায়ক আতিফ বলেন, ইসলামকে আমার জীবনের বড় একটা অংশ হিসেবে আগলে ধরে রাখতে চাই। কিন্তু গান ছাড়ছি না। তবে ধর্মের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আমি তুলে ধরতে চাই। যেমন, আল্লাহ’র ৯৯টি নাম এবং ‘তাজদির-ই-হারাম’।

টকশোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারের অংশ উদ্ধৃতি দিয়ে ‘সামা ডটটিভি’ আরও জানায়, আতিফ আসলাম সংগীতের ভুবন ছাড়ছেন না।

আতিফ বলেন, জেনে খুব আনন্দ হচ্ছে যে, মানুষ কেবল আমার গানই শোনে না, আমার অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটাও একটা বড় প্রাপ্তি।

আজানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেদিন জেনেছি হযরত মোহাম্মদ (স.) এর সময়ে মানুষ ছাদে উঠে নামাজে আসার জন্য আজান দিতেন, সেই রাতে আমি আর ঘুমাতে পারিনি। মনে জেগে ওঠলো আজানা দেওয়ার সুতীব্র বাসনা। তাই দেওয়া জন্যই যে আজান দিয়েছি- তা কিন্তু না। ধর্মকে ভালোবেসে, আজানের প্রেমে পড়েই আজান দিয়েছি। আমার অনেক বড় ইচ্ছে হচ্ছে, কাবা শরিফে গিয়ে নামাজের জন্য আজান দেওয়া।

জনপ্রিয় এ গায়ক আরও জানান, গান না ছাড়লেও এখন থেকে ধর্মীয় গুরুত্ব পায় এ রকম সংগীত বেশি বেশি করবেন। কোক স্টুডিও’তে প্রচারিত ‘তাজদির-ই-হারাম’ ও ‘আসমা-উল-হুসনা’ গান দুটি এরই মধ্যে ভক্তদের মধ্যে ভীষণ মুগ্ধতা তৈরি করেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

ইসলাম আমার জীবনের বড় একটা অংশ: আতিফ

প্রকাশিত : ১২:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুন ২০২০

চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুর দিকে প্রকাশ পাওয়া নিজ কণ্ঠে আজানের মাধ্যমে দারুণভাবে প্রশংসিত হন বলিউড মাতানো পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।

উপমহাদেশের নন্দিত এ গায়ক আজান, নাত ও কাওয়ালিতে মনোনিবেশ করায়- গান ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা এমন একটা জিজ্ঞাসা তৈরি হয়, তার ভক্তকূলের মধ্যে!

করোনাকালে যখন সব দেশেই চলছে লকডাউন তখন বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অনলাইনে এসে গান শোনাচ্ছেন ভক্তদের। তবে পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম গান নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের গলায় আজান পরিবেশন করে হয়েছেন সমাদৃত। সেইসঙ্গে ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছিল তবে কি তিনি গান ছাড়ছেন?

আতিফ আসলামনিজের দেশ পাকিস্তান ছাড়াও আতিফ আসলাম ভারত বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এত ভক্তকুলের এই প্রশ্নের জবাব তিনি দিয়েছেন পাকিস্তানের ‘হামিদ মির’ অনলাইন টকশোতে উপস্থিত হয়ে।

৩৭ বছর বয়সী গায়ক আতিফ বলেন, ইসলামকে আমার জীবনের বড় একটা অংশ হিসেবে আগলে ধরে রাখতে চাই। কিন্তু গান ছাড়ছি না। তবে ধর্মের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আমি তুলে ধরতে চাই। যেমন, আল্লাহ’র ৯৯টি নাম এবং ‘তাজদির-ই-হারাম’।

টকশোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারের অংশ উদ্ধৃতি দিয়ে ‘সামা ডটটিভি’ আরও জানায়, আতিফ আসলাম সংগীতের ভুবন ছাড়ছেন না।

আতিফ বলেন, জেনে খুব আনন্দ হচ্ছে যে, মানুষ কেবল আমার গানই শোনে না, আমার অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটাও একটা বড় প্রাপ্তি।

আজানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যেদিন জেনেছি হযরত মোহাম্মদ (স.) এর সময়ে মানুষ ছাদে উঠে নামাজে আসার জন্য আজান দিতেন, সেই রাতে আমি আর ঘুমাতে পারিনি। মনে জেগে ওঠলো আজানা দেওয়ার সুতীব্র বাসনা। তাই দেওয়া জন্যই যে আজান দিয়েছি- তা কিন্তু না। ধর্মকে ভালোবেসে, আজানের প্রেমে পড়েই আজান দিয়েছি। আমার অনেক বড় ইচ্ছে হচ্ছে, কাবা শরিফে গিয়ে নামাজের জন্য আজান দেওয়া।

জনপ্রিয় এ গায়ক আরও জানান, গান না ছাড়লেও এখন থেকে ধর্মীয় গুরুত্ব পায় এ রকম সংগীত বেশি বেশি করবেন। কোক স্টুডিও’তে প্রচারিত ‘তাজদির-ই-হারাম’ ও ‘আসমা-উল-হুসনা’ গান দুটি এরই মধ্যে ভক্তদের মধ্যে ভীষণ মুগ্ধতা তৈরি করেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার