অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। চলতি বছর ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জুনিয়র টাইগাররা। বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম সাক্ষী হয়েছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার অভিষেক দাস। ফাইনালে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। এখন মাশরাফিদের দেখানো পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে চান বহুদূর।
রোববার (১৪ জুন) এই কথা বলেন অভিষেক। এসময় তিনি জানিয়েছেন, টেস্ট এবং সীমিত ওভারের পরিসরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে চান তিনি। সেজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছেন এই অলরাউন্ডার।
অভিষেক বলেন, ‘আমার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগটা। এবার ক্যারিয়ারের প্রথম লিগ ছিল। করোনার কারণে একটা ম্যাচ খেলেই তো লিগ বন্ধ হয়ে গেল। লিগটাকে ঘিরে আমার অনেক পরিকল্পনা ছিল। যেকোনো উঠতি ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে ভালো করতে হলে এই লিগটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমার পরিকল্পনা সবসময়ই যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি৷ কিন্তু সবসময় তো সবাই সাফল্য পায় না।’ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ভালো আর খারাপ মিলেই হয়। আমার চেষ্টা থাকবে সবসময়ই ভালো কিছু করার। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করার লক্ষ্যই সবসময় থাকে।’
অভিষেক টেস্ট ক্রিকেট এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেট দুটোতেই মনযোগী হতে চান। তরুণ এই অলরাউন্ডার নিজেও জানেন এজন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের জন্য নিজেকে আলাদাভাবে প্রস্তুত করতে হয়। সেজন্য মানসিকভাবেও নিজেকে তৈরি করার একটা ব্যাপার থাকে। সাদা বল এবং লাল বল দুটোই একদম ভিন্ন ফরম্যাট। আমিও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। বাড়িতে অবসর সময়টা পুরনো ম্যাচগুলো দেখে পার করছি। কিংবদন্তি ক্রিকেটারের খেলা দেখছি। কিছু বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।’
বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার