টাকার অভাবে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়া মেধাবী ছাত্র রিপন কুমার ত্রিপুরার পাশে দাঁড়িয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন।
গতকাল (১৩ জুন) শনিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত’ এমন একটি লেখা প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিনের নজরে আসে।
১৪ জুন (রবিবার) ইউএনও সায়েদুল আরেফিনের অফিসে ব্যুরো বাংলার শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করে দেন রিপনকে। বেসরকারি সংস্থা ‘ব্যুরো বাংলা’র মাধ্যমে প্রতিমাসে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ছয় হাজার টাকা করে রিপনের পড়ালেখার খরচ বাবদ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সে সাথে চট্টগ্রাম নগরীতে বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার জন্য আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামকৃষ্ণ মিশনে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
এছাড়াও নগদ চার হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করে দেন সায়েদুল আরেফিন। রিপন কুমার ত্রিপুরা বলেন,নগদ চার হাজার টাকা এবং শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে ভবিষ্যতে ভালো একটি কলেজে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সে ভীষণ খুশি।
তিনি জানান, ‘ইউএনও স্যারসহ যারা আমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ আমি। এসএসসি’র পর থেকে কলেজে ভর্তিসহ আমার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে ভীষণ চিন্তিত ছিলাম আমি। এখন আমার সেই চিন্তা খুশিতে পরিণত হয়েছে।
এবিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন বলেন, ‘অর্থের জন্য পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে-এটা তো হয় না। একজন অসহায় শিক্ষার্থীর পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া আমার সরকারি দায়িত্ব, আমি সেটাই পালনের চেষ্টা করেছি। এরকম কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী যদি অর্থকষ্টে থাকে, আমাকে জানালে আমি সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ। ’
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক























