০৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুলিশ কমিশনারের চিঠি ফাঁসে সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ, টিআইবির উদ্বেগ

এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের চিঠি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর একাধিক সাংবাদিককে তলব করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘সাংবাদিক তার সংবাদের উৎস প্রকাশ করবেন না, এটাই প্রতিষ্ঠিত নীতি। এখন যদি সাংবাদিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয় যে, তাকে কে তথ্য সরবরাহ করেছেন, তাহলে ভবিষ্যতে দুর্নীতির ঘটনার ব্যাপারে কেউ আর মুখ খুলতে সাহস করবেন না। যা কার্যত স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্যই বাধা হিসেবে গণ্য হবে। এভাবে সংবাদকর্মীদের চাপের মধ্যে রাখার নীতি আত্মঘাতী, সার্বিকভাবে জনস্বার্থবিরোধী, এবং এর ফলে পুলিশের মতো একটি পেশাদার বাহিনী আদৌ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে আগ্রহী কী-না সেই প্রশ্ন উঠতে পারে।’

টিআইবি মনে করে, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে পুলিশের বরং উচিৎ ছিল সাংবাদিকদের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা।

এ প্রসঙ্গে ড. জামান বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার লিখিতভাবে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। আলোচিত সেই কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু পুলিশের মতো একটি সুশৃঙ্খলবাহিনী সেই পথে না গিয়ে, বরং চিঠি কী করে গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।’

চিঠি কিভাবে ফাঁস হলো তা একান্তভাবে জানা প্রয়োজন হলে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্তে তা বের হয়ে আসতে পারে। কিন্তু এই পথে না এগিয়ে সাংবাদিকদের ওপর দৃশ্যমান চাপ তৈরি করার নীতি নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে টিআইবি।

চিঠিটির সত্যতা পুলিশ বাহিনী অস্বীকার করেনি উল্লেখ করে ড. জামান এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)- এর জোরালো ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ১৬ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করলো বিজিবি

পুলিশ কমিশনারের চিঠি ফাঁসে সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ, টিআইবির উদ্বেগ

প্রকাশিত : ০৬:২৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের চিঠি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর একাধিক সাংবাদিককে তলব করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘সাংবাদিক তার সংবাদের উৎস প্রকাশ করবেন না, এটাই প্রতিষ্ঠিত নীতি। এখন যদি সাংবাদিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয় যে, তাকে কে তথ্য সরবরাহ করেছেন, তাহলে ভবিষ্যতে দুর্নীতির ঘটনার ব্যাপারে কেউ আর মুখ খুলতে সাহস করবেন না। যা কার্যত স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্যই বাধা হিসেবে গণ্য হবে। এভাবে সংবাদকর্মীদের চাপের মধ্যে রাখার নীতি আত্মঘাতী, সার্বিকভাবে জনস্বার্থবিরোধী, এবং এর ফলে পুলিশের মতো একটি পেশাদার বাহিনী আদৌ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে আগ্রহী কী-না সেই প্রশ্ন উঠতে পারে।’

টিআইবি মনে করে, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে পুলিশের বরং উচিৎ ছিল সাংবাদিকদের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা।

এ প্রসঙ্গে ড. জামান বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার লিখিতভাবে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। আলোচিত সেই কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু পুলিশের মতো একটি সুশৃঙ্খলবাহিনী সেই পথে না গিয়ে, বরং চিঠি কী করে গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।’

চিঠি কিভাবে ফাঁস হলো তা একান্তভাবে জানা প্রয়োজন হলে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্তে তা বের হয়ে আসতে পারে। কিন্তু এই পথে না এগিয়ে সাংবাদিকদের ওপর দৃশ্যমান চাপ তৈরি করার নীতি নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে টিআইবি।

চিঠিটির সত্যতা পুলিশ বাহিনী অস্বীকার করেনি উল্লেখ করে ড. জামান এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)- এর জোরালো ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ