যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলোচিত চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকার গত রবিবার (২১ জুন) কোয়ারেন্টিন শেষ করে বেরিয়েছেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্লাজমা দান করেন। প্লাজমা দেওয়ার মুহূর্তটি ভিডিও করে সেটি পরে ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। ভিডিওতে প্লাজমা দানের গুরুত্ব তুলে ধরেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।
ভিডিওতে ফেরদৌস খন্দকার বলেন, ‘আমি প্লাজমা ডোনেট করছি, কারণ আমার এন্টিবডি পজিটিভ আছে। একটি পরীক্ষিত চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্চে প্লাজমা থেরাপি। বাংলাদেশে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই তুলনায় প্লাজমা দাতা একেবারেই কম। যুক্তরাষ্ট্রে প্লাজমা ডোনেট করতে গেলে একটি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট পেতে গেলে অপেক্ষা করতে হয় ৮ সপ্তাহ।
কিন্তু এখানে গত এক মাসে ১০০ জনের মতো প্লাজমা দিয়েছেন। আমি মনে করি, আপনাদের সবার একটি ভূমিকা আছে। এটি সিম্পল একটা জিনিস, শরীর থেকে রক্ত নিয়ে আলাদা একটি মেশিন পরিশোধিত করে, রক্তের কণিকাগুলো আপনাকেই ফেরত দেবে। শুধু রক্তের পানি অংশটুকু রেখে দেবে, যেটিকে প্লাজমা বলা হয়। এটি তেমন ব্যয়বহুল কিছু না।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি দিতে চান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৮ তলার ব্লাড ব্যাংকে দিতে পারবেন। আপনি ডোনেট করতে চাইলে তারা এন্টিবডি টেস্ট করে দেখবে, ডোনেট করতে পারবেন কিনা। আপনি চাইলে ১০ দিন পর পর দিতে পারেন। এখানে যিনি চিকিৎসক আছেন, তিনি নির্ধারণ করবেন আপনি কয়বার দিতে পারবেন।’
ডা. ফেরদৌস বলেন, ‘এটি দেওয়ার মধ্যে কোনও ঝুঁকি নেই এবং যিনি নেবেন তার জন্য কিন্তু এটি একটি জীবন রক্ষাকারী উপাদান। অনেকেই বলছেন, তাদের পরিবার পরিজনের প্রয়োজন হলে দেবেন। যখন প্রয়োজন মনে করবেন তখন দেবেন। আসলে ব্যাপারটি এমন হওয়া উচিত নয়। এখানে সবার এগিয়ে আসা উচিত, যার প্রয়োজন তাকেই দেওয়া উচিত।
আমি আমার দায়িত্বটুকু পালন করে গেলাম। এটি একটি বিশাল ব্যাপার বলে আমি মনে করি। আমি এ নিয়ে তৃতীয়বার প্লাজমা ডোনেট করলাম। কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে আমি আজকে প্রথম কাজটি করলাম প্লাজমা দান করে। আমি জানি না কে গ্রহীতা হবেন, তবুও দিয়ে দিলাম ভালো কাজের অংশ হিসেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেন,– শো অফ! জী, আমাকে দেখে যদি পাঁচ জন মানুষও এগিয়ে আসেন এবং পাঁচ জন মানুষ বেঁচে যান, সেটি একমাত্র লাভ। আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা এগিয়ে আসুন, এই দু’টি সেন্টারের যেকোনও একটির মাধ্যমে সপ্তাহে সপ্তাহে প্লাজমা দিতে। এতে কোনও অসুবিধা নেই। চিকিৎসক যদি মনে করেন তাহলে নেবেন।’
বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর