০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক

লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের নির্যাতনের হাত ছুটে পালিয়ে এসে জীবন বাঁচালো আজম আলী (২২) নামে এক বাংলাদেশি। তবে আজম আলী নির্যাতনের সময় পালিয়ে আসতে পারলেও আব্দুল লতিফ নামে অপর বাংলাদেশি ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের নিকট এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর বুধবার একই সীমান্তে রশিদুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ বন্দুকের বেয়নেট, বুট ও লাঠি দিয়ে নির্মম নির্যাতন করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ওঁৎপেতে থাকা অপর গরু পারাপারকারী রাখালরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে পাগলাপীর নামকস্থানে মারা যান। একই কায়দায় আজম আলী ও আব্দুল লতিফকেও বিএসএফ নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহত আজম আলী পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবির হাতে গ্রেফতারের হাত থেকে রেহাই পেতে আত্মগোপন করেছেন বলে পরিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আত্রাই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল লতিফ (৩৫) ভারতীয় কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পে আটক রয়েছেন।

এলাবাবাসী ও রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, বুধবার রাতে আব্দুল লতিফ ও আজম আলীসহ কয়েকজন বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী রাখাল ভারতীয় গরু পারাপারকারী রাখালদের সহযোগিতায় শ্রীমারপুর-বুড়িমারী ইউনিয়নের মাষ্টারেরবাড়ী সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলাররের ৩ নম্বর সাবপিলার নিকট ধরলা নদী পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করে গরু নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ফেরার পথে ভারতীয় কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহল দলের হাতে ধরা পড়েন।

এসময় বিএসএফ টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে বন্দুকের বেয়নেট দিয়ে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে হাত ছুটে আজম আলী পালিয়ে এসে জীবন বাঁচায়। পরে বিএসএফ ভয়ে আব্দুল লতিফকে আর বেশি মারধর না করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের নির্যাতনে আহত আজম আলী (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিজিবি ও পুলিশের হাতে গ্রেফতারের ভয়ে সটকে পড়েন। তবে তার শরীরের বেদম মারপিট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

রংপুর বিজিবি-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর মুনীরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে কড়াপ্রতিবাদপত্রসহ কোম্পানী কমান্ডার লেভেলে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসএফকে কঠোরভাবে প্রটেস্ট করা হবে।

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত : ১২:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের নির্যাতনের হাত ছুটে পালিয়ে এসে জীবন বাঁচালো আজম আলী (২২) নামে এক বাংলাদেশি। তবে আজম আলী নির্যাতনের সময় পালিয়ে আসতে পারলেও আব্দুল লতিফ নামে অপর বাংলাদেশি ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলারের নিকট এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর বুধবার একই সীমান্তে রশিদুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ বন্দুকের বেয়নেট, বুট ও লাঠি দিয়ে নির্মম নির্যাতন করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ওঁৎপেতে থাকা অপর গরু পারাপারকারী রাখালরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে পাগলাপীর নামকস্থানে মারা যান। একই কায়দায় আজম আলী ও আব্দুল লতিফকেও বিএসএফ নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহত আজম আলী পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবির হাতে গ্রেফতারের হাত থেকে রেহাই পেতে আত্মগোপন করেছেন বলে পরিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আত্রাই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল লতিফ (৩৫) ভারতীয় কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পে আটক রয়েছেন।

এলাবাবাসী ও রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, বুধবার রাতে আব্দুল লতিফ ও আজম আলীসহ কয়েকজন বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী রাখাল ভারতীয় গরু পারাপারকারী রাখালদের সহযোগিতায় শ্রীমারপুর-বুড়িমারী ইউনিয়নের মাষ্টারেরবাড়ী সীমান্তের ৮৪৩ নম্বর মেইন পিলাররের ৩ নম্বর সাবপিলার নিকট ধরলা নদী পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করে গরু নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ফেরার পথে ভারতীয় কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহল দলের হাতে ধরা পড়েন।

এসময় বিএসএফ টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে বন্দুকের বেয়নেট দিয়ে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে হাত ছুটে আজম আলী পালিয়ে এসে জীবন বাঁচায়। পরে বিএসএফ ভয়ে আব্দুল লতিফকে আর বেশি মারধর না করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের নির্যাতনে আহত আজম আলী (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিজিবি ও পুলিশের হাতে গ্রেফতারের ভয়ে সটকে পড়েন। তবে তার শরীরের বেদম মারপিট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

রংপুর বিজিবি-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর মুনীরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে কড়াপ্রতিবাদপত্রসহ কোম্পানী কমান্ডার লেভেলে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসএফকে কঠোরভাবে প্রটেস্ট করা হবে।