১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্তদের পাশে একঝাঁক তরুণ

সেভ দ্যা হিউম্যানেটি

করোনার মহামারী সময়ে অসহায় মানুষের মাঝে কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী যুবকদের সংগঠন সেভ দ্যা হিউম্যানেটি। সংগঠনটি গত তিন মাসে জনসচেতনতা, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও অর্থিক সহায়তা, করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা ও মৃতদের দাফন কার্যক্রমসহ প্রায় ১২শ’ মানুষকে সেবা প্রদান করেছে।  কুমিল্লার সদর দক্ষিণ, লালমাই, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট এলাকায় সংগঠনটির ২৫ সদস্য এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছেন। তাদের এ স্বেচ্ছাসেবা চলমান থাকলে বলে জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনের সূত্রমতে, করোনা শুরুতে সর্ব সাধারণের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যান্ডসেনিটাইজার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে। শ্রমজীবী ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে  আর্থিক সহায়তা, করোনা রোগীদের জন্য ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা, বয়স্ক ও শ্বাস কষ্টের রোগীদের মাঝে ডাক্তারের পরামর্শে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফালস অক্সিমিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। করোনা রোগীর জন্য খাদ্য সহায়তা ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা। করোনা জয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দাফন, কাফন ও জানাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, প্রথমদিকে স্বেচ্ছাসেবী কম ছিল, কাজ কম হয়েছে। ইকবাল হাফিজ, হাফেজ পেয়ার আহমেদ, মো. সেলিম, মো. রিপন ইসলাম তারা কাজে সহায়তা করেছে। তারা এখনো নিয়মিত কাজ করছেন। এখন ২০-২৫ জন সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট মো. বদিউল আলম সুজন জানান, বিশ্বের এ ক্রান্তিকালে আমাদের অবস্থান থেকে হতদরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করা এটি ক্ষুদে প্রয়াস। টিমের সদস্যদের আন্তরিকতার কারণে এ সেবা দেয়া সম্ভব হয়েছে। স্ব-অর্থায়নে একটি সামাজিক উদ্যোগ। ঈদের পূর্বে ১৭ দফায় প্রায় ১২শ’ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

করোনাকালীন গত তিন মাসে ২৩২ ব্যাগ বিনামূল্যে রক্ত দেয়া হয়েছে। সবার দোয়া ও সহযোগিতায় এ সেবা অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ। সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রতিটি অনুরোধ করব যে যার অবস্থান থেকে অপরের প্রতি মানবিক হোন।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বহুমুখী সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে স্বেচ্ছাসেবীরা।

বিজনেসবাংলাদেশ/এসএম

জনপ্রিয়

কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্তদের পাশে একঝাঁক তরুণ

প্রকাশিত : ০৯:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

করোনার মহামারী সময়ে অসহায় মানুষের মাঝে কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী যুবকদের সংগঠন সেভ দ্যা হিউম্যানেটি। সংগঠনটি গত তিন মাসে জনসচেতনতা, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও অর্থিক সহায়তা, করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা ও মৃতদের দাফন কার্যক্রমসহ প্রায় ১২শ’ মানুষকে সেবা প্রদান করেছে।  কুমিল্লার সদর দক্ষিণ, লালমাই, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট এলাকায় সংগঠনটির ২৫ সদস্য এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছেন। তাদের এ স্বেচ্ছাসেবা চলমান থাকলে বলে জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনের সূত্রমতে, করোনা শুরুতে সর্ব সাধারণের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যান্ডসেনিটাইজার ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে। শ্রমজীবী ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে  আর্থিক সহায়তা, করোনা রোগীদের জন্য ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা, বয়স্ক ও শ্বাস কষ্টের রোগীদের মাঝে ডাক্তারের পরামর্শে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফালস অক্সিমিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। করোনা রোগীর জন্য খাদ্য সহায়তা ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা। করোনা জয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দাফন, কাফন ও জানাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, প্রথমদিকে স্বেচ্ছাসেবী কম ছিল, কাজ কম হয়েছে। ইকবাল হাফিজ, হাফেজ পেয়ার আহমেদ, মো. সেলিম, মো. রিপন ইসলাম তারা কাজে সহায়তা করেছে। তারা এখনো নিয়মিত কাজ করছেন। এখন ২০-২৫ জন সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট মো. বদিউল আলম সুজন জানান, বিশ্বের এ ক্রান্তিকালে আমাদের অবস্থান থেকে হতদরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করা এটি ক্ষুদে প্রয়াস। টিমের সদস্যদের আন্তরিকতার কারণে এ সেবা দেয়া সম্ভব হয়েছে। স্ব-অর্থায়নে একটি সামাজিক উদ্যোগ। ঈদের পূর্বে ১৭ দফায় প্রায় ১২শ’ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

করোনাকালীন গত তিন মাসে ২৩২ ব্যাগ বিনামূল্যে রক্ত দেয়া হয়েছে। সবার দোয়া ও সহযোগিতায় এ সেবা অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ। সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রতিটি অনুরোধ করব যে যার অবস্থান থেকে অপরের প্রতি মানবিক হোন।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বহুমুখী সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে স্বেচ্ছাসেবীরা।

বিজনেসবাংলাদেশ/এসএম