জাতিসংঘের অনুষ্ঠানে আবারও পাকিস্তানকে তুলাধোনা করল ভারত। বেলুচিস্তান ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাপ্রচার নিয়ে জাতিসংঘের ওয়েব সেমিনারে ইসলামাবাদকে তুলাধোনা করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মহাবীর সিংভি।
জাতিসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী ভার্চুয়াল সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে ওয়েব সেমিনারে অংশ নিয়ে সিংভি বলেন, কেন পাকিস্তানকে বৈশ্বিকভাবে সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারাবিশ্ব যখন এক হয়েছে, পাকিস্তান তখন সন্ত্রাস সরবরাহ করছে।
সিংভি আরও বলেন, অন্যের দিকে আঙুল তোলার আগে পাকিস্তানের উচিত নিজের দিকে তাকানো। বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। নিজের চোখে ঠুলি দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। আর অন্যের সমালোচনায় ওস্তাদ।
তিনি আরও বলেন- হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান আহমেদীয়দের অপহরণ, ধর্মান্তরিতকরণ পাকিস্তানে প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। পাকিস্তানের নেতিবাচক মনোভাব এফোঁড় ওফোঁড় করে ভারতীয় কূটনীতিক ইসলামাবাদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কতটা নির্যাতিত সেই ছবিও তুলে ধরেন ওয়েব সেমিনারে।
সিংভি মনে করেন, পাকিস্তান যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক বিবৃতি সেসবের বড় ধরনের প্রমাণ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ওসামা বিন লাদেনকে শহিদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ইমরান খান। নিজের দেশে ৪০ হাজার জঙ্গি রয়েছে বলেও প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট ও স্যাংশন মনিটরিং টিমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে থাকা সাড়ে ছয় হাজার জঙ্গি আফগানিস্তানে তৎপরতা চালাচ্ছে।
সিংভি বলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ, অস্ত্র, আশ্রয় দিয়ে মদদ দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরাই মুম্বাই, উরি, পাঠানকোট ও পুলওয়ামায় হামলা চালিয়েছিল।
সিংভি আরও বলেন, নির্দিষ্ট নথিপত্রের ভিত্তিতেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর হিসেবে বিবেচনা করছে বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন। সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর