০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

ভারতে কিছু রাজ্যে কোরবানি ঈদ পালনে সমস্যা

করোনাকালে ভারতের একাধিক রাজ্যে কোরবানি ঈদ পালন করা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত, ঘরে বসে নামাজ পড়তে হবে ও অনলাইনে পশু কিনতে হবে। উত্তরপ্রদেশে বাজারই বসছে না।

সম্প্রতি ঈদ নিয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করেছে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকার। নির্দেশে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে কোরবানি ঈদ পালন করতে হবে ঘরে থেকেই। মসজিদে গিয়ে নয়, বাড়িতেই নামাজ পড়তে হবে। পশুর বাজারও বসবে না। অনলাইনে পশু কিনতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, করোনার কারণে এ বার প্রতীকী ঈদ পালন করতে হবে।

করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে ভারতের এক নম্বরে আছে মহারাষ্ট্র। তাই সেখানে সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশ কংগ্রেস মানতে পারেনি। কংগ্রেসও এই সরকারের শরিক। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতা নাসিম খান মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন। কংগ্রেস নেতার আর্জি, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক করে ঠাকরে এ ব্যাপরে সিদ্ধান্ত নিন। কোরবানি ঈদ প্রতীকীভাবে পালন করা সম্ভব নয়। আর সাধারণ মনুষের পক্ষে অনলাইনে পশু কেনা সম্ভব নয়।

মুম্বইয়ে দেওনারে সব চেয়ে বড় পশু বাজার বসে। কিন্তু এ বার করোনার কারণে সব বাজার বন্ধ। ফলে সেখানে পশু পাওয়া যাবে না। অন্য বাজারও বসছে না। রাজস্থান থেকে কিছু পশু বিক্রেতা পশু নিয়ে মুম্বাই গিয়েছেন। তাঁরা গুদাম ভাড়া করে পশু রাখছেন। ফলে যে ছাগল ২০ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, তা ৩০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”আমি লখনউ ও এলাহাবাদে খোঁজ নিয়েছি। লখনউ পুরো বন্ধ। এলাহাবাদে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু মটন পাওয়া দুষ্কর। সেখানেও পশুর হাট বসছে না। তাই কোরবানি ঈদ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা যদি নাও থাকে, তা হলেও পশু পাওয়া খুবই মুশকিল।”

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ভারতে কিছু রাজ্যে কোরবানি ঈদ পালনে সমস্যা

প্রকাশিত : ০৬:৪০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

করোনাকালে ভারতের একাধিক রাজ্যে কোরবানি ঈদ পালন করা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত, ঘরে বসে নামাজ পড়তে হবে ও অনলাইনে পশু কিনতে হবে। উত্তরপ্রদেশে বাজারই বসছে না।

সম্প্রতি ঈদ নিয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করেছে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকার। নির্দেশে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে কোরবানি ঈদ পালন করতে হবে ঘরে থেকেই। মসজিদে গিয়ে নয়, বাড়িতেই নামাজ পড়তে হবে। পশুর বাজারও বসবে না। অনলাইনে পশু কিনতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, করোনার কারণে এ বার প্রতীকী ঈদ পালন করতে হবে।

করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে ভারতের এক নম্বরে আছে মহারাষ্ট্র। তাই সেখানে সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশ কংগ্রেস মানতে পারেনি। কংগ্রেসও এই সরকারের শরিক। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতা নাসিম খান মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন। কংগ্রেস নেতার আর্জি, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক করে ঠাকরে এ ব্যাপরে সিদ্ধান্ত নিন। কোরবানি ঈদ প্রতীকীভাবে পালন করা সম্ভব নয়। আর সাধারণ মনুষের পক্ষে অনলাইনে পশু কেনা সম্ভব নয়।

মুম্বইয়ে দেওনারে সব চেয়ে বড় পশু বাজার বসে। কিন্তু এ বার করোনার কারণে সব বাজার বন্ধ। ফলে সেখানে পশু পাওয়া যাবে না। অন্য বাজারও বসছে না। রাজস্থান থেকে কিছু পশু বিক্রেতা পশু নিয়ে মুম্বাই গিয়েছেন। তাঁরা গুদাম ভাড়া করে পশু রাখছেন। ফলে যে ছাগল ২০ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, তা ৩০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”আমি লখনউ ও এলাহাবাদে খোঁজ নিয়েছি। লখনউ পুরো বন্ধ। এলাহাবাদে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু মটন পাওয়া দুষ্কর। সেখানেও পশুর হাট বসছে না। তাই কোরবানি ঈদ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা যদি নাও থাকে, তা হলেও পশু পাওয়া খুবই মুশকিল।”

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর