০২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবির চুরি হওয়া ৪৯ টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪ টি উদ্ধার, গ্রেফতার ২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে চুরি হওয়া ৪৯ টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকার একটি হোটেল থেকে কম্পিউটারগুলো উদ্ধার করা হয়।

এসময় হোটেল ক্রিস্টাল ইন এর ম্যানেজার (হোটেলটির ৩ জন মালিকের মধ্যে একজন) দুলাল মিয়া এবং হোটেল বয় হুমায়ুন কবিরকে আটক করা হয়েছে এবং চুরির সাথে সম্পৃক্ত হোটেলের আরেকজন মালিক গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফসহ বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হোটেল মালিক দুলাল মিয়া বলেন, তিনি কম্পিউটার গুলো পলাতক পলাশ শরিফের কাছ থেকে নিলামে ক্রয় করে এবং হোটেলের একটি কক্ষে সেগুলি রেখে দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোটেলটিতে অভিযান চালানো হলে সেখান থেকে কম্পিউটারগুলো উদ্ধার করা হয় এবং হোটেলের ম্যানেজার সহ হোটেলবয় কে হেফাজতে আনা হয়। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত কম্পিউটার এবং আটককৃত ব্যক্তিদেরকে রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, ইদ-উল-আযহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আইন অনুষদের ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. নাছিরুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ (সদস্য সচিব)।

ওই তদন্ত কমিটিকে চুরির ঘটনার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের অনুনোমোদিত ছুটিতে থাকার বিষয়টিও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে চুরির ঘটনায় ১৯ প্রহরীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। গোপালগঞ্জ থানায় চুরির ঘটনায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

বশেমুরবিপ্রবির চুরি হওয়া ৪৯ টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪ টি উদ্ধার, গ্রেফতার ২

প্রকাশিত : ০৮:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে চুরি হওয়া ৪৯ টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকার একটি হোটেল থেকে কম্পিউটারগুলো উদ্ধার করা হয়।

এসময় হোটেল ক্রিস্টাল ইন এর ম্যানেজার (হোটেলটির ৩ জন মালিকের মধ্যে একজন) দুলাল মিয়া এবং হোটেল বয় হুমায়ুন কবিরকে আটক করা হয়েছে এবং চুরির সাথে সম্পৃক্ত হোটেলের আরেকজন মালিক গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফসহ বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হোটেল মালিক দুলাল মিয়া বলেন, তিনি কম্পিউটার গুলো পলাতক পলাশ শরিফের কাছ থেকে নিলামে ক্রয় করে এবং হোটেলের একটি কক্ষে সেগুলি রেখে দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোটেলটিতে অভিযান চালানো হলে সেখান থেকে কম্পিউটারগুলো উদ্ধার করা হয় এবং হোটেলের ম্যানেজার সহ হোটেলবয় কে হেফাজতে আনা হয়। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত কম্পিউটার এবং আটককৃত ব্যক্তিদেরকে রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, ইদ-উল-আযহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আইন অনুষদের ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. নাছিরুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ (সদস্য সচিব)।

ওই তদন্ত কমিটিকে চুরির ঘটনার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের অনুনোমোদিত ছুটিতে থাকার বিষয়টিও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে চুরির ঘটনায় ১৯ প্রহরীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। গোপালগঞ্জ থানায় চুরির ঘটনায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর