০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবি: কম্পিউটার চুরির রহস্য উন্মোচন করলো পুলিশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচন করলেন পুলিশ।

আজ( রবিবার) গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৬ জুলাই গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছনের দিকের জানালা ভেঙ্গে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরের কাছে রাখা হয়। পরে একটি ট্রাকে করে সেগুলো ঢাকা নিয়ে যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফের মালিকানাধী মহাখালীর ক্রিস্টাল ইন হোটেলে রাখা হয়। পরে ১৩ আগস্ট রাতে গোপালগঞ্জ ও ঢাকার বানানী থানা পুলিশ ঐ হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করে ও ২ জনকে গ্রেফতার করে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকা ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ আগস্ট) গ্রেফতারকৃত সাতজন গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসের আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার চুরির মাস্টার মাইন্ড যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফসহ আরো অনেকের নাম বলেছে।

তিনি আরও বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কম্পিউটার চুরির সাথে এ চক্রটি জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় বিশ্বিবিদ্যালয়ের কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।

এছাড়া, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতার হওয়া ৭ জনের মধ্যে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ইদ্রাকচর গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৪৫) ও ময়মনসিংহের কোতায়ালী থানার চোরখাই গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবিরকে (২৪) চোরাই ৩৪টি কম্পিউটারসহ ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে ১৩ আগস্ট রাতে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তিনি জানান, দুইজনকে আটকের পর প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের অন্য সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের বিল্লাল শরীফের ছেলে মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ (২৩), একই উপজেলার বরফা শেখ পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আ: রহমান সৌরভ শেখ (১৯), বরফা মধ্যপাড়ার আইয়ুব শেখের ছেলে হাসিবুর রহমান শান্ত ওরফে কাকন (১৯), বরফার কামাল পাশা মিনার ছেলে নাইম উদ্দিন (১৯) এবং মাদারীপুরের রাজৈর থানার বিশমপুরদী এলাকার সালাম হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাসানকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইতিমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে ১৯ জন নিরাপত্তা প্রহরীকে কারণ দর্শানোর নোটিস ও দেয়া হয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন দফায় ১৪৬ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ৫০টি, ২০১৮ সালে ৪৭টি ও এবছর ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

বশেমুরবিপ্রবি: কম্পিউটার চুরির রহস্য উন্মোচন করলো পুলিশ

প্রকাশিত : ০৪:০৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচন করলেন পুলিশ।

আজ( রবিবার) গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৬ জুলাই গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছনের দিকের জানালা ভেঙ্গে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরের কাছে রাখা হয়। পরে একটি ট্রাকে করে সেগুলো ঢাকা নিয়ে যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফের মালিকানাধী মহাখালীর ক্রিস্টাল ইন হোটেলে রাখা হয়। পরে ১৩ আগস্ট রাতে গোপালগঞ্জ ও ঢাকার বানানী থানা পুলিশ ঐ হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করে ও ২ জনকে গ্রেফতার করে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকা ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ আগস্ট) গ্রেফতারকৃত সাতজন গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসের আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার চুরির মাস্টার মাইন্ড যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফসহ আরো অনেকের নাম বলেছে।

তিনি আরও বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কম্পিউটার চুরির সাথে এ চক্রটি জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় বিশ্বিবিদ্যালয়ের কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।

এছাড়া, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতার হওয়া ৭ জনের মধ্যে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ইদ্রাকচর গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৪৫) ও ময়মনসিংহের কোতায়ালী থানার চোরখাই গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবিরকে (২৪) চোরাই ৩৪টি কম্পিউটারসহ ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে ১৩ আগস্ট রাতে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তিনি জানান, দুইজনকে আটকের পর প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের অন্য সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের বিল্লাল শরীফের ছেলে মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ (২৩), একই উপজেলার বরফা শেখ পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আ: রহমান সৌরভ শেখ (১৯), বরফা মধ্যপাড়ার আইয়ুব শেখের ছেলে হাসিবুর রহমান শান্ত ওরফে কাকন (১৯), বরফার কামাল পাশা মিনার ছেলে নাইম উদ্দিন (১৯) এবং মাদারীপুরের রাজৈর থানার বিশমপুরদী এলাকার সালাম হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাসানকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ইতিমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে ১৯ জন নিরাপত্তা প্রহরীকে কারণ দর্শানোর নোটিস ও দেয়া হয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন দফায় ১৪৬ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে ৫০টি, ২০১৮ সালে ৪৭টি ও এবছর ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর