পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির গণশুনানি শুরু হয়েছে।
রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে এই গণশুনানি শুরু হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, সদস্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহা. শাজাহান আলী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, গণশুনানীতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শুনছেন কর্মকর্তারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশ নিয়েছেন এই গণশুনানিতে।
এদিকে, সিনহা হত্যা মামলার তদন্তে বাহারছড়া ও মারিশবুনিয়া গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন র্যাবের নতুন তদন্ত কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম। তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে শনিবারই প্রথম ঘটনাস্থলে যান তিনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সিনহাকে গুলি করার নির্দেশ দেয়ার কথা পুলিশ সুপারকে ফোন করে জানিয়েছিলেন। তবে গুলি করার আগে লিয়াকত, ওসি প্রদীপ নাকি অন্য কারও অনুমতি নিয়েছিলেন, সে বিষয়ে আরও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্রধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ




















