০১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সোমালিয়ার হোটেলে জঙ্গি হামলা, নিহত বেড়ে ১৭

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর একটি হোটেলে ঢুকে জঙ্গিরা নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালানোর পর স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসান ঘটেছে।

রোববার লিডো সমুদ্রসৈকতের পাশে এলিট হোটেলের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর পাশাপাশি অজ্ঞাত সংখ্যক জঙ্গিও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।

আল শাবাব জঙ্গিরা হামলাটি চালিয়েছে বলে স্পেশাল ফোর্স জানিয়েছে।

রয়টার্স জানায়, হামলাকারীরা হোটেলটির সামনে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনার আরও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি। জঙ্গিরা হোটেলটিতে তাণ্ডব চালানোর পর বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে।

সম্প্রতি নির্মিত এই হোটেলটির মালিক দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ মোহাম্মদ নোর এবং হোটেলটিতে সরকারি কর্মকর্তাদের আনাগোনা ছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে ঘটানো বিস্ফোরণটি শব্দ পুরো মোগাদিশুজুড়ে শোনা গেছে। বিস্ফোরণের পর ওই এলাকা থেকে লোকজন পালাতে শুরু করলে হুড়োহুড়ি লেগে যায়।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হোটেলটির বের হওয়ার পথগুলো বন্ধ করে দিয়ে ভিতরে অবস্থান নেওয়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় শুরু করে। চার ঘণ্টা পর সরকারের মুখপাত্র ইসমায়েল মুখতার এক টুইটে জানান, সব বন্দুকধারীকে হত্যা করে হোটেলটি অবরোধমুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় প্রায় মধ্যরাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসওএনএনএ জানায়, অভিযান শেষে হয়েছে এবং হোটেলটি থেকে ২০৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ‘কয়েকজন মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও বেসামরিক ব্যক্তি’ রয়েছেন বলে হোটেলে অবস্থানরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফারহান কারোলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে তারা।

“একে-৪৭ রাইফেলধারী চার জঙ্গির সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গাড়ি বোমা চালানোর পর এ চার জঙ্গি লড়াই করার জন্য হোটেলটির ভিতরে ঢুকে পড়ে,” বলেছে এসওএনএনএ। হতাহতের পুরো বৃত্তান্ত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে তারা।

নিহতদের মধ্যে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমালিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

দেশজুড়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলল ইরান, স্বাভাবিক তেহরান

সোমালিয়ার হোটেলে জঙ্গি হামলা, নিহত বেড়ে ১৭

প্রকাশিত : ১২:৫০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর একটি হোটেলে ঢুকে জঙ্গিরা নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালানোর পর স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসান ঘটেছে।

রোববার লিডো সমুদ্রসৈকতের পাশে এলিট হোটেলের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর পাশাপাশি অজ্ঞাত সংখ্যক জঙ্গিও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।

আল শাবাব জঙ্গিরা হামলাটি চালিয়েছে বলে স্পেশাল ফোর্স জানিয়েছে।

রয়টার্স জানায়, হামলাকারীরা হোটেলটির সামনে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনার আরও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি। জঙ্গিরা হোটেলটিতে তাণ্ডব চালানোর পর বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে।

সম্প্রতি নির্মিত এই হোটেলটির মালিক দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ মোহাম্মদ নোর এবং হোটেলটিতে সরকারি কর্মকর্তাদের আনাগোনা ছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে ঘটানো বিস্ফোরণটি শব্দ পুরো মোগাদিশুজুড়ে শোনা গেছে। বিস্ফোরণের পর ওই এলাকা থেকে লোকজন পালাতে শুরু করলে হুড়োহুড়ি লেগে যায়।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হোটেলটির বের হওয়ার পথগুলো বন্ধ করে দিয়ে ভিতরে অবস্থান নেওয়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় শুরু করে। চার ঘণ্টা পর সরকারের মুখপাত্র ইসমায়েল মুখতার এক টুইটে জানান, সব বন্দুকধারীকে হত্যা করে হোটেলটি অবরোধমুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় প্রায় মধ্যরাতে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসওএনএনএ জানায়, অভিযান শেষে হয়েছে এবং হোটেলটি থেকে ২০৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ‘কয়েকজন মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও বেসামরিক ব্যক্তি’ রয়েছেন বলে হোটেলে অবস্থানরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফারহান কারোলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে তারা।

“একে-৪৭ রাইফেলধারী চার জঙ্গির সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গাড়ি বোমা চালানোর পর এ চার জঙ্গি লড়াই করার জন্য হোটেলটির ভিতরে ঢুকে পড়ে,” বলেছে এসওএনএনএ। হতাহতের পুরো বৃত্তান্ত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে তারা।

নিহতদের মধ্যে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমালিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল শাবাব হামলার দায় স্বীকার করেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর