০২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

রাঙ্গামাটিতে মোবাইল দোকানীদের দিন-দুপুরে ডাকাতি

রাঙ্গামাটির অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র বনরূপা বাজারের মোবাইল মার্কেটগুলোতে দিন-দুপুরে বেড়েই চলেছে ডাকাতি। এই ডাকাতি অস্ত্র দেখিয়ে নয়। ডাকাতি করা হচ্ছে অতিরিক্ত দামে মোবাইল বিক্রির মাধ্যেমে। গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইলের দাম বেড়েছে অজুহাতে হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে মার্কেটের মোবাইল দোকানীদের একটা সিন্ডিকেট। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জন জীবনে যেমনটা প্রাদুর্ভাব ফেলেছে তেমনি মোবাইল দোকানীদের অতিরিক্ত দামে মোবাইল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কয়েক মাস ধরে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান পরিচালনা ও কোম্পানীর দাম থেকে দেড় হাজার থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত দামে মোবাইল ফোন বিক্রির অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাজার পরিচালনার সমিতিগুলো। এর পেছনে যেন বড় সিন্ডিকেট কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে বারবার অভিযোগ উঠার পরেও ব্যবস্থা নিচ্ছে কোনো বাজার পরিচালনা সমিতি। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে গ্রাহকরা।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বাংলাদেশে নতুন আমদানিকৃত রিয়েলমি মোবাইল ফোন বিক্রিতে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে রাঙ্গামাটির মোবাইল দোকানীরা। কোম্পানীর ন্যায্যমূল্য দাম থেকে দেড় হাজার টাকা শুরু করে দুই হাজার টাকা নিচ্ছে। রাঙ্গামাটির সব মোবাইল দোকানে মোবাইলের দাম বেড়েছে বলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ যেন শেষ নেই। যেন গ্রাহকদের থেকে দিন দুপুরে ডাকাতি করে চলেছে বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ এবং পেট্রোম পাম্পের মার্কেটসহ রাঙ্গামাটির মোবাইল দোকানীরা।

বনরূপা বাজারে বেশ কয়েকটি সুনামধন্য ব্যবসায়ী সমিতি গুলোকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে মোবাইলের দাম বেড়েছে বলে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে মোবাইল বিক্রি যেন রহস্যজনক। মঙ্গলবার সকালে বনরূপার বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ এবং পেট্রোল পাম্পের মার্কেটসহ বিভিন্ন মোবাইল দোকানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে, মোবাইল দোকানগুলোতে চলছে দিন-দুপুরে ডাকাতি। মোবাইল দোকানগুলোতে দেখা যায় নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি। নেই কোনো জীবানুনাশক স্প্রে। দোকানীদের মুখে নেই কোনো মাস্ক। যেন করোনা ভাইরাসকে জয়ী করছে দোকানীরা। রিয়েলমি মোবাইল ফোনের দাম বেড়েছে দোকানদার জানালেও রিয়েলমি মোবাইলের দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন রিয়েলমি মোবাইল ফোনের রাঙ্গামাটির ডিলার মো. জসিম।

বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ এর মার্কেটের রাশেদ টেলিকম, তৈয়বিয়া টেলিকম,বাদশা টেলিকম,ইজি টেলিকম,চায়না টেলিকম ও আমির শাহ্ টেলিকমসহ বিভিন্ন দোকানে কোম্পানীর ন্যায্য দাম থেকে দেড় হাজার থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে দোকানীরা। রিয়েলমি সি ট্রি ১০,২৭০ টাকা, রিয়েলমি ফাইভআই ১২,০৮০ টাকা ও রিয়েলমি সি ডাবলওয়ান ৮,৫৪০ টাকা করে রিয়েলমির বিভিন্ন মডেলের মোবাইল দোকানদারদের পাইকারি দিচ্ছে বলে জানান রিয়েলমি মোবাইল ফোনের ডিলার মো. জসিম। সেখানে রিয়েলমি সি ট্রি বিক্রি হচ্ছে ১২৫০০ টাকা, রিয়েলমি ফাইভআই ১৪৫০০ টাকা এবং রিয়েলমি সি ডাবলওয়ান ৯৫০০ টাকা বিক্রি করছে মোবাইল দোকানীরা। অথচ রিয়েলমি মোবাইল কোম্পানীর ন্যায্য দামের সাথে আকাশ পাতাল ব্যবধান দেখা যায়।

তথ্য অনুসন্ধানের সময়ে এক দোকানদার প্রতিবেদককে অসৌজন্যমূলকভাবে বলেন, কাস্টমার যদি এত দাম দিয়ে মোবাইল কিনতে পারে তাহলে আপনার সমস্যা কোথায়…? এধরনের সমস্যা বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গাতে হয়ে থাকে। এই সিস্টেম আপনি কখনো পাল্টাতে পারবেন বলে দেন তিনি। দোকানদার বক্তব্য যেন তার পেছনে বড় ধরনের একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে।

রাশেদ টেলিকম ও আমির শাহ্ টেলিকমের মালিক বলেন, রিয়েলমি মোবাইল ফোন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানী সাপ্লাই দিতে না পারাতে এসমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে বেশি দামে বিক্রি হওয়াতে এর প্রভাব দোকানীর উপর পড়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী মোবাইল কোম্পানী যদি মোবাইল সাপ্লাই দিতে পারে তাহলে এই ধরনের ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়।

এদিকে ইজি টেলিকমের মালিক ও রিয়েলমি মোবাইল ফোন কোম্পানীর রাঙ্গামাটির ডিলার মো. জমিস জানান, রিয়েলমি মোবাইল ফোনের দাম বাড়েনি। বরং দাম কমেছে। কোম্পানীর পাইকারি দামে রাঙ্গামাটিতে দোকানগুলোতে পাইকারি দামে দিচ্ছে। যা কোম্পানীর মূল্য থেকে অনেক কম দামে। এতে রিয়েলমি মোবাইল কোম্পানীর কোনো হাত নেই। দোকানীরা কতদামে বিক্রি করবে তা কোম্পানীর স্পষ্টভাবে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিয়েছে। তবে যারা এধরনের কাজ করে চলছে তা খুবই দুঃখজনক ও অন্যায় কাজ।

বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবু সৈয়দ বলেন, করোনাকালীন সময়ে এই ধরনের দু’একটু হতেই পারে। কেননা, সাপ্লাই কম হওয়াতেই অন্যান্যদের থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করতে হয়। যার কারণে মোবাইলগুলো বেশি দামে কেনাতেই হয়তো অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি মো.কামাল জানান, উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক লিটন জানান, বিষয়টা অত্যান্ত দুঃখজনক। এই ধরনের কাজ বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ মার্কেটের মোবাইল দোকানীরা কখনো করতে পারে না। যদি অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয় এটা এক ধরনের অন্যায় কাজ। এ ধরনের অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিএম-২ মার্কেট পরিচালনা কমিটি শিগগিরই একটা ব্যবস্থা নিবে। কেননা, এই ধরনের কাজ করা মানে মার্কেটের সুনাম নষ্ট করার মত।

বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন জানান, রিয়েলমি মোবাইল ফোনের কোম্পানী গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লাই দিতে না পারাই ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে দামে কেনাতেই সে অনুযায়ী বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাঙ্গামাটির জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে গেলে তার সাথে সাক্ষাত মেলেনি। এসময় মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম দু’টি জায়গাতেই তিনি অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। যার কারণে সবসময় রাঙ্গামাটিতে অফিস করা সম্ভব হয় না। এবিষয়ে তিনি আরো বলেন, মোবাইল কোম্পানীর ন্যায্যদাম থেকে কোনো দোকানদার যদি অতিরিক্ত দামে মোবাইল বিক্রি করে তাহলে তা দন্ডনীয় অপরাধ। এসব দুর্নীতি কখনো ছাড় দেওয়া হবে না। যথাযথ প্রমাণ থাকলে শিগগিরই ব্যবস্থা নিবে রাঙ্গামাটির জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভাগ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ডাকসু নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবে ছাত্রদল

রাঙ্গামাটিতে মোবাইল দোকানীদের দিন-দুপুরে ডাকাতি

প্রকাশিত : ০৪:১১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

রাঙ্গামাটির অন্যতম বানিজ্যিক কেন্দ্র বনরূপা বাজারের মোবাইল মার্কেটগুলোতে দিন-দুপুরে বেড়েই চলেছে ডাকাতি। এই ডাকাতি অস্ত্র দেখিয়ে নয়। ডাকাতি করা হচ্ছে অতিরিক্ত দামে মোবাইল বিক্রির মাধ্যেমে। গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইলের দাম বেড়েছে অজুহাতে হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে মার্কেটের মোবাইল দোকানীদের একটা সিন্ডিকেট। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জন জীবনে যেমনটা প্রাদুর্ভাব ফেলেছে তেমনি মোবাইল দোকানীদের অতিরিক্ত দামে মোবাইল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কয়েক মাস ধরে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান পরিচালনা ও কোম্পানীর দাম থেকে দেড় হাজার থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত দামে মোবাইল ফোন বিক্রির অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাজার পরিচালনার সমিতিগুলো। এর পেছনে যেন বড় সিন্ডিকেট কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে বারবার অভিযোগ উঠার পরেও ব্যবস্থা নিচ্ছে কোনো বাজার পরিচালনা সমিতি। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে গ্রাহকরা।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বাংলাদেশে নতুন আমদানিকৃত রিয়েলমি মোবাইল ফোন বিক্রিতে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে রাঙ্গামাটির মোবাইল দোকানীরা। কোম্পানীর ন্যায্যমূল্য দাম থেকে দেড় হাজার টাকা শুরু করে দুই হাজার টাকা নিচ্ছে। রাঙ্গামাটির সব মোবাইল দোকানে মোবাইলের দাম বেড়েছে বলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ যেন শেষ নেই। যেন গ্রাহকদের থেকে দিন দুপুরে ডাকাতি করে চলেছে বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ এবং পেট্রোম পাম্পের মার্কেটসহ রাঙ্গামাটির মোবাইল দোকানীরা।

বনরূপা বাজারে বেশ কয়েকটি সুনামধন্য ব্যবসায়ী সমিতি গুলোকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে মোবাইলের দাম বেড়েছে বলে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে মোবাইল বিক্রি যেন রহস্যজনক। মঙ্গলবার সকালে বনরূপার বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ এবং পেট্রোল পাম্পের মার্কেটসহ বিভিন্ন মোবাইল দোকানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে, মোবাইল দোকানগুলোতে চলছে দিন-দুপুরে ডাকাতি। মোবাইল দোকানগুলোতে দেখা যায় নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি। নেই কোনো জীবানুনাশক স্প্রে। দোকানীদের মুখে নেই কোনো মাস্ক। যেন করোনা ভাইরাসকে জয়ী করছে দোকানীরা। রিয়েলমি মোবাইল ফোনের দাম বেড়েছে দোকানদার জানালেও রিয়েলমি মোবাইলের দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন রিয়েলমি মোবাইল ফোনের রাঙ্গামাটির ডিলার মো. জসিম।

বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ এর মার্কেটের রাশেদ টেলিকম, তৈয়বিয়া টেলিকম,বাদশা টেলিকম,ইজি টেলিকম,চায়না টেলিকম ও আমির শাহ্ টেলিকমসহ বিভিন্ন দোকানে কোম্পানীর ন্যায্য দাম থেকে দেড় হাজার থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে দোকানীরা। রিয়েলমি সি ট্রি ১০,২৭০ টাকা, রিয়েলমি ফাইভআই ১২,০৮০ টাকা ও রিয়েলমি সি ডাবলওয়ান ৮,৫৪০ টাকা করে রিয়েলমির বিভিন্ন মডেলের মোবাইল দোকানদারদের পাইকারি দিচ্ছে বলে জানান রিয়েলমি মোবাইল ফোনের ডিলার মো. জসিম। সেখানে রিয়েলমি সি ট্রি বিক্রি হচ্ছে ১২৫০০ টাকা, রিয়েলমি ফাইভআই ১৪৫০০ টাকা এবং রিয়েলমি সি ডাবলওয়ান ৯৫০০ টাকা বিক্রি করছে মোবাইল দোকানীরা। অথচ রিয়েলমি মোবাইল কোম্পানীর ন্যায্য দামের সাথে আকাশ পাতাল ব্যবধান দেখা যায়।

তথ্য অনুসন্ধানের সময়ে এক দোকানদার প্রতিবেদককে অসৌজন্যমূলকভাবে বলেন, কাস্টমার যদি এত দাম দিয়ে মোবাইল কিনতে পারে তাহলে আপনার সমস্যা কোথায়…? এধরনের সমস্যা বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গাতে হয়ে থাকে। এই সিস্টেম আপনি কখনো পাল্টাতে পারবেন বলে দেন তিনি। দোকানদার বক্তব্য যেন তার পেছনে বড় ধরনের একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে।

রাশেদ টেলিকম ও আমির শাহ্ টেলিকমের মালিক বলেন, রিয়েলমি মোবাইল ফোন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানী সাপ্লাই দিতে না পারাতে এসমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে বেশি দামে বিক্রি হওয়াতে এর প্রভাব দোকানীর উপর পড়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী মোবাইল কোম্পানী যদি মোবাইল সাপ্লাই দিতে পারে তাহলে এই ধরনের ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়।

এদিকে ইজি টেলিকমের মালিক ও রিয়েলমি মোবাইল ফোন কোম্পানীর রাঙ্গামাটির ডিলার মো. জমিস জানান, রিয়েলমি মোবাইল ফোনের দাম বাড়েনি। বরং দাম কমেছে। কোম্পানীর পাইকারি দামে রাঙ্গামাটিতে দোকানগুলোতে পাইকারি দামে দিচ্ছে। যা কোম্পানীর মূল্য থেকে অনেক কম দামে। এতে রিয়েলমি মোবাইল কোম্পানীর কোনো হাত নেই। দোকানীরা কতদামে বিক্রি করবে তা কোম্পানীর স্পষ্টভাবে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিয়েছে। তবে যারা এধরনের কাজ করে চলছে তা খুবই দুঃখজনক ও অন্যায় কাজ।

বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবু সৈয়দ বলেন, করোনাকালীন সময়ে এই ধরনের দু’একটু হতেই পারে। কেননা, সাপ্লাই কম হওয়াতেই অন্যান্যদের থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করতে হয়। যার কারণে মোবাইলগুলো বেশি দামে কেনাতেই হয়তো অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি মো.কামাল জানান, উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক লিটন জানান, বিষয়টা অত্যান্ত দুঃখজনক। এই ধরনের কাজ বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ মার্কেটের মোবাইল দোকানীরা কখনো করতে পারে না। যদি অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয় এটা এক ধরনের অন্যায় কাজ। এ ধরনের অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিএম-২ মার্কেট পরিচালনা কমিটি শিগগিরই একটা ব্যবস্থা নিবে। কেননা, এই ধরনের কাজ করা মানে মার্কেটের সুনাম নষ্ট করার মত।

বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন জানান, রিয়েলমি মোবাইল ফোনের কোম্পানী গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লাই দিতে না পারাই ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে দামে কেনাতেই সে অনুযায়ী বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাঙ্গামাটির জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে গেলে তার সাথে সাক্ষাত মেলেনি। এসময় মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম দু’টি জায়গাতেই তিনি অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। যার কারণে সবসময় রাঙ্গামাটিতে অফিস করা সম্ভব হয় না। এবিষয়ে তিনি আরো বলেন, মোবাইল কোম্পানীর ন্যায্যদাম থেকে কোনো দোকানদার যদি অতিরিক্ত দামে মোবাইল বিক্রি করে তাহলে তা দন্ডনীয় অপরাধ। এসব দুর্নীতি কখনো ছাড় দেওয়া হবে না। যথাযথ প্রমাণ থাকলে শিগগিরই ব্যবস্থা নিবে রাঙ্গামাটির জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভাগ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর