১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তোরাব আলী আর নেই

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।

শুক্রবার ভোর ৪টায় হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান বাবলু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

বিডিআর বিদ্রোহে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই আওয়ামী লীগ নেতা বিচারিক আদালত থেকে যাবজ্জীবন পেয়েছিলেন। গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ে তিনি খালাস পান। তবে খালাসের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় তিনি এতদিন কারাবন্দিই ছিলেন।

তোরাব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তার বাসায় ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিটিং হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক আসামি তার জবানবন্দিতে এই কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তোরাব আলী নিজেও ১৬৪ ধারায় বলেছিলেন, প্রাইম কোচিং সেন্টারের মালিক জাকির তাকে বলেছিলেন, পিলখানায় ২৫ তারিখ গণ্ডগোল হবে।’

তবে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করায় তিনি কারাগারেই ছিলেন। গত বুধবার অসুস্থবোধ করলে তোরাব আলীকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে ৩০২ ধারায় তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনাসদস্যসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

ওই ঘটনার পর তোরাব আলীর বিরুদ্ধে বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা তিনি আগেই জানতে পারেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনা জেনেও তা কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান বিচারিক আদালতে তাকে দণ্ড দিয়েছিলেন।

জনপ্রিয়

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তোরাব আলী আর নেই

প্রকাশিত : ১২:২৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।

শুক্রবার ভোর ৪টায় হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান বাবলু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

বিডিআর বিদ্রোহে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই আওয়ামী লীগ নেতা বিচারিক আদালত থেকে যাবজ্জীবন পেয়েছিলেন। গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ে তিনি খালাস পান। তবে খালাসের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় তিনি এতদিন কারাবন্দিই ছিলেন।

তোরাব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তার বাসায় ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিটিং হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক আসামি তার জবানবন্দিতে এই কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তোরাব আলী নিজেও ১৬৪ ধারায় বলেছিলেন, প্রাইম কোচিং সেন্টারের মালিক জাকির তাকে বলেছিলেন, পিলখানায় ২৫ তারিখ গণ্ডগোল হবে।’

তবে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করায় তিনি কারাগারেই ছিলেন। গত বুধবার অসুস্থবোধ করলে তোরাব আলীকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে ৩০২ ধারায় তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনাসদস্যসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

ওই ঘটনার পর তোরাব আলীর বিরুদ্ধে বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা তিনি আগেই জানতে পারেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনা জেনেও তা কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান বিচারিক আদালতে তাকে দণ্ড দিয়েছিলেন।