০৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বদলি বিড়ম্বনায় প্রাথমিক শিক্ষকরা

বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে বদলির আবেদন গ্রহণের পর আদেশ জারি না হওয়ায় বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের।

জানা গেছে, স্বামী বা স্ত্রী সরকারি কর্মচারী হলে তার কর্মস্থলের নিকটতম এলাকায় বদলির সুবিধা পেয়ে থাকেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রায় এক বছর আগে বদলির প্রয়োজনীয়তা অনুভবের পর নির্ধারিত সময়ে (জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত) আবেদন করেছিলেন অনেক শিক্ষক। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আদেশ জারি না হয়নি। বদলির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় শিক্ষকদের নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

বদলির আবেদন করা একাধিক বলেন, সকল কারণ উল্লেখ করেই বদলির আবেদন করেছিলাম। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। মাঠ পর্যায়ে পদের চাহিদা চেয়েছিল অধিদপ্তর। সে হিসেবও অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে বদলির আদেশ জারি হয়নি।

শিক্ষকরা আরো বলেন, মহামারি চললেও জীবন থেমে নেই। অনেক মহিলা শিক্ষক আছেন যাদের স্বামী অন্য এলাকায় চাকরি করেন। তার বদলির সব কারণ বিধিসঙ্গত ও যৌক্তিক। তিনি আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু বদলির আদেশ জারি হয়নি। স্কুল বন্ধ কিন্তু সরকারি আদেশ অনুসারে এই শিক্ষককে নিজ কর্মস্থলে থাকতে হচ্ছে। এতে তার স্বাভাবিক ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷ কিন্তু বদলির আদেশ জারি হলে এই শিক্ষকরা পরিবার নিয়ে থাকতে পাড়তেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষকরা আরো বলেন, শিক্ষকদের বদলির যৌক্তিক আবেদনগুলো বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত আদেশ জারি করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অনুরোধ করছি। যতদূর জানি, বদলির সব প্রক্রিয়া শেষ, শুধু আদেশ জারির অপেক্ষা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বদলি বিড়ম্বনায় প্রাথমিক শিক্ষকরা

প্রকাশিত : ১২:৫৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে বদলির আবেদন গ্রহণের পর আদেশ জারি না হওয়ায় বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের।

জানা গেছে, স্বামী বা স্ত্রী সরকারি কর্মচারী হলে তার কর্মস্থলের নিকটতম এলাকায় বদলির সুবিধা পেয়ে থাকেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রায় এক বছর আগে বদলির প্রয়োজনীয়তা অনুভবের পর নির্ধারিত সময়ে (জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত) আবেদন করেছিলেন অনেক শিক্ষক। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আদেশ জারি না হয়নি। বদলির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় শিক্ষকদের নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

বদলির আবেদন করা একাধিক বলেন, সকল কারণ উল্লেখ করেই বদলির আবেদন করেছিলাম। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। মাঠ পর্যায়ে পদের চাহিদা চেয়েছিল অধিদপ্তর। সে হিসেবও অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে বদলির আদেশ জারি হয়নি।

শিক্ষকরা আরো বলেন, মহামারি চললেও জীবন থেমে নেই। অনেক মহিলা শিক্ষক আছেন যাদের স্বামী অন্য এলাকায় চাকরি করেন। তার বদলির সব কারণ বিধিসঙ্গত ও যৌক্তিক। তিনি আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু বদলির আদেশ জারি হয়নি। স্কুল বন্ধ কিন্তু সরকারি আদেশ অনুসারে এই শিক্ষককে নিজ কর্মস্থলে থাকতে হচ্ছে। এতে তার স্বাভাবিক ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷ কিন্তু বদলির আদেশ জারি হলে এই শিক্ষকরা পরিবার নিয়ে থাকতে পাড়তেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষকরা আরো বলেন, শিক্ষকদের বদলির যৌক্তিক আবেদনগুলো বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত আদেশ জারি করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অনুরোধ করছি। যতদূর জানি, বদলির সব প্রক্রিয়া শেষ, শুধু আদেশ জারির অপেক্ষা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর