০৫:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীকে ১ টাকা জরিমানা

আদালত অবমাননার দায়ে আদোষী সাব্যস্ত হওয়া ভারতীয় আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণক ১ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিতারপতি বি আই গাভাই ও বিতারপতি কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে তাকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জরিমানা বাবাদ ১ টাকা আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

অনাদায়ে প্রশান্ত ভূষণক তিন মাসের জন্য জেলে থাকতে হবে ও আগামী তিন বছর আদালতে কোনও মামলা তিনি লড়তে পারবেন না।

গত ২৭ জুন সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে একটি টুইট করেছিলেন ভূষণ। লেখেন, ‘সরকারিভাবে জরুরি অবস্থা না থাকা সত্ত্বেও গত ৬ বছরে কীভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে, তা দেখার সময় ঐতিহাসিকরা সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা বিশেষভাবে চিহ্নিত করবেন, বিশেষ করে ভারতের শেষ চারজন প্রধান বিচারপতির ভূমিকা।’

দু’দিন পর ২৯ জুন, প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদকে নিয়ে টুইট করেন বিখ্যাত আইনজীবী ও সমাজকর্মী। লেখেন ‘মাস্ক বা হেলমেট না পরেই নাগপুরের রাজভবনের এক বিজেপি নেতার ৫০ লক্ষ টাকার মোটরসাইকেল চালিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। সেই সময়, যখন তিনি সুপ্রিম কোর্টকে লকডাউন মোডে রেখে নাগরিকদের বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।

ভূষণের এই দুই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৪ অগাস্ট ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই দুই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৪ অগাস্ট ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপরই ভূষণ আদালতে বলেন, তার উদ্দেশ্যের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদালক এরপর ভূষণকে নিজের অবস্থান নিয়ে সরে এসে ওই দুই টুইটের জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে। ২৪ অগস্টও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ভূষণ। জানিয়ে দেন, এর জন্য মন থেকে ক্ষমা চাইতে তিনি পারবেন না। ক্ষমা চাইলেও নিজের বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।

এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালও প্রশান্ত ভূষণের শাস্তি মুকুবের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাকে কেবল সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু, আদালত জানতে চায়, প্রশান্ত ভূষণ নিজের কাজের জন্য অনুশোচনা করেননি, এমনকী বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাহলে কীভাবে বিনা শাস্তিতে অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। এরপরই আদালত অবমাননা মামলায় দোষী প্রসান্ত ভূষণকে এদিন শর্ত সাপেক্ষে এক টাকা জরিমানা করে সর্বোচ্চ আদালত। সূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম

জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীকে ১ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত : ০৮:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

আদালত অবমাননার দায়ে আদোষী সাব্যস্ত হওয়া ভারতীয় আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণক ১ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিতারপতি বি আই গাভাই ও বিতারপতি কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে তাকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জরিমানা বাবাদ ১ টাকা আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

অনাদায়ে প্রশান্ত ভূষণক তিন মাসের জন্য জেলে থাকতে হবে ও আগামী তিন বছর আদালতে কোনও মামলা তিনি লড়তে পারবেন না।

গত ২৭ জুন সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে একটি টুইট করেছিলেন ভূষণ। লেখেন, ‘সরকারিভাবে জরুরি অবস্থা না থাকা সত্ত্বেও গত ৬ বছরে কীভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে, তা দেখার সময় ঐতিহাসিকরা সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা বিশেষভাবে চিহ্নিত করবেন, বিশেষ করে ভারতের শেষ চারজন প্রধান বিচারপতির ভূমিকা।’

দু’দিন পর ২৯ জুন, প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদকে নিয়ে টুইট করেন বিখ্যাত আইনজীবী ও সমাজকর্মী। লেখেন ‘মাস্ক বা হেলমেট না পরেই নাগপুরের রাজভবনের এক বিজেপি নেতার ৫০ লক্ষ টাকার মোটরসাইকেল চালিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। সেই সময়, যখন তিনি সুপ্রিম কোর্টকে লকডাউন মোডে রেখে নাগরিকদের বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।

ভূষণের এই দুই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৪ অগাস্ট ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই দুই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৪ অগাস্ট ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপরই ভূষণ আদালতে বলেন, তার উদ্দেশ্যের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদালক এরপর ভূষণকে নিজের অবস্থান নিয়ে সরে এসে ওই দুই টুইটের জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে। ২৪ অগস্টও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ভূষণ। জানিয়ে দেন, এর জন্য মন থেকে ক্ষমা চাইতে তিনি পারবেন না। ক্ষমা চাইলেও নিজের বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।

এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালও প্রশান্ত ভূষণের শাস্তি মুকুবের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাকে কেবল সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু, আদালত জানতে চায়, প্রশান্ত ভূষণ নিজের কাজের জন্য অনুশোচনা করেননি, এমনকী বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাহলে কীভাবে বিনা শাস্তিতে অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। এরপরই আদালত অবমাননা মামলায় দোষী প্রসান্ত ভূষণকে এদিন শর্ত সাপেক্ষে এক টাকা জরিমানা করে সর্বোচ্চ আদালত। সূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম