০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সমুদ্রে ৩৪ মাইল দীর্ঘ সেতু!

শহরের সঙ্গে দুটি দ্বীপকে সংযুক্ত করতে ৫৫ কিলোমিটার বা ৩৪ মাইল দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার বা এক লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র সেতুর মূল অংশ নির্মাণেই খরচ হয়েছে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। প্রকৌশলী ও স্থাপত্যের দিক থেকে দুর্দান্ত হলে সেতুটি নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। তাই হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও ব্রিজটিকে অনেকে ‘শ্বেতহস্তী’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঝুহাইতে সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটি চীনের মূল ভূখণ্ডের ঝুহাই শহরের সঙ্গে হংকং ও ম্যাকাওকে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে আগে যেখানে এ পথ পাড়ি দিতে তিন ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় হতো, সেক্ষেত্রে মাত্র আধা ঘণ্টা লাগবে।

শক্তিশালী মাত্রার টাইফুন কিংবা ভূমিকম্প প্রতিরোধী এ সেতুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে চার লাখ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব।

সেতুটির প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পার্ল নদীর ওপর দিয়ে গেছে আর জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ছয় দশমিক সাত কিলোমিটার রাখা হয়েছে সাগরের নীচে টানেলে এবং এর দুই অংশের মধ্যে সংযোগস্থলে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ। এটি আসলে হংকং, ম্যাকাও এবং আরও নয়টি শহরকে যুক্ত করে একটি বৃহত্তর সাগর এলাকা তৈরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেতু নির্মাণ করেছে চীন।

তবে কেউ চাইলেই সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে না। যারা সেতু পাড়ি দিতে চান তাদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে আর সব যানবাহনকেই টোল দিতে হবে। এ সেতুতে কোন গণপরিবহণ নেই। তবে যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য শাটল বাসের ব্যবস্থা আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

সমুদ্রে ৩৪ মাইল দীর্ঘ সেতু!

প্রকাশিত : ১২:০২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

শহরের সঙ্গে দুটি দ্বীপকে সংযুক্ত করতে ৫৫ কিলোমিটার বা ৩৪ মাইল দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার বা এক লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র সেতুর মূল অংশ নির্মাণেই খরচ হয়েছে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। প্রকৌশলী ও স্থাপত্যের দিক থেকে দুর্দান্ত হলে সেতুটি নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। তাই হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও ব্রিজটিকে অনেকে ‘শ্বেতহস্তী’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঝুহাইতে সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটি চীনের মূল ভূখণ্ডের ঝুহাই শহরের সঙ্গে হংকং ও ম্যাকাওকে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে আগে যেখানে এ পথ পাড়ি দিতে তিন ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় হতো, সেক্ষেত্রে মাত্র আধা ঘণ্টা লাগবে।

শক্তিশালী মাত্রার টাইফুন কিংবা ভূমিকম্প প্রতিরোধী এ সেতুটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে চার লাখ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা সম্ভব।

সেতুটির প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পার্ল নদীর ওপর দিয়ে গেছে আর জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ছয় দশমিক সাত কিলোমিটার রাখা হয়েছে সাগরের নীচে টানেলে এবং এর দুই অংশের মধ্যে সংযোগস্থলে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম দ্বীপ। এটি আসলে হংকং, ম্যাকাও এবং আরও নয়টি শহরকে যুক্ত করে একটি বৃহত্তর সাগর এলাকা তৈরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেতু নির্মাণ করেছে চীন।

তবে কেউ চাইলেই সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে না। যারা সেতু পাড়ি দিতে চান তাদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে আর সব যানবাহনকেই টোল দিতে হবে। এ সেতুতে কোন গণপরিবহণ নেই। তবে যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য শাটল বাসের ব্যবস্থা আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর