০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

সংকটাপন্ন অবস্থায় ইউএনও ওয়াহিদা

ছবি : সংগৃহীত

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথার খুলি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় এখনই অস্ত্রোপচার বা বিদেশে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ওয়াহিদা খানমকে আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথার বাম পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম হাত ও পা কোনো রকম সাড়া দিচ্ছে না।

হাসপাতালের পরিচালক দীন মোহাম্মদ বলেন, ইউএনওর মাথার আঘাত অনেক জটিল ও গুরুতর। প্রাথমিকভাবে তাঁকে দেখা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউএনওর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথার খুলির হাড় ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। এটি মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে প্রচণ্ডভাবে।

ভেতরে রক্ত রক্ষণ হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল না। ব্লাড প্রেশার কমে গেছে। জ্ঞানের মাত্রা সাধারণ মানুষের মতো নেই; যদিও তিনি কথাবার্তা বলার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রেশার ধরে রাখতে পারছেন না। প্রেশার কমে গেছে। তাঁর পালস বেড়ে গেছে। তিনি রেস্টলেস অবস্থায় আছেন।

আগে তাঁকে স্টেবল (স্থিতিশীল অবস্থা) করতে হবে। অপারেশন (অস্ত্রোপচার) করার মতো অবস্থা নেই। এখন অপারেশন করলে বিপজ্জনক হবে। আগে তাঁর অবস্থার উন্নতি করাতে হবে। ব্লাড, স্যালাইন দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো ওষুধ দেয়া হয়েছে।

ইউএনও কেমন শঙ্কায় আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহেদ হোসেন বলেন, ‘শঙ্কাটা কতটুকু, বলা কঠিন। তবে উনি সংকটাপন্ন অবস্থাতেই আছেন। ওনার ব্লাড প্রেশার, পালস রেট ও জ্ঞানের মাত্রার অবস্থার উন্নতি না হলে উনি যথেষ্ট বিপজ্জনক অবস্থায় আছেন। যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটেও যেতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সংকটাপন্ন অবস্থায় ইউএনও ওয়াহিদা

প্রকাশিত : ০৬:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথার খুলি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় এখনই অস্ত্রোপচার বা বিদেশে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ওয়াহিদা খানমকে আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথার বাম পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম হাত ও পা কোনো রকম সাড়া দিচ্ছে না।

হাসপাতালের পরিচালক দীন মোহাম্মদ বলেন, ইউএনওর মাথার আঘাত অনেক জটিল ও গুরুতর। প্রাথমিকভাবে তাঁকে দেখা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক জাহেদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউএনওর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথার খুলির হাড় ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। এটি মস্তিষ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে প্রচণ্ডভাবে।

ভেতরে রক্ত রক্ষণ হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল না। ব্লাড প্রেশার কমে গেছে। জ্ঞানের মাত্রা সাধারণ মানুষের মতো নেই; যদিও তিনি কথাবার্তা বলার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রেশার ধরে রাখতে পারছেন না। প্রেশার কমে গেছে। তাঁর পালস বেড়ে গেছে। তিনি রেস্টলেস অবস্থায় আছেন।

আগে তাঁকে স্টেবল (স্থিতিশীল অবস্থা) করতে হবে। অপারেশন (অস্ত্রোপচার) করার মতো অবস্থা নেই। এখন অপারেশন করলে বিপজ্জনক হবে। আগে তাঁর অবস্থার উন্নতি করাতে হবে। ব্লাড, স্যালাইন দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো ওষুধ দেয়া হয়েছে।

ইউএনও কেমন শঙ্কায় আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহেদ হোসেন বলেন, ‘শঙ্কাটা কতটুকু, বলা কঠিন। তবে উনি সংকটাপন্ন অবস্থাতেই আছেন। ওনার ব্লাড প্রেশার, পালস রেট ও জ্ঞানের মাত্রার অবস্থার উন্নতি না হলে উনি যথেষ্ট বিপজ্জনক অবস্থায় আছেন। যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটেও যেতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর