০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা, আটক ৫

জাহাঙ্গীর আলম, আসাদুল হক ও নবীরুল ইসলাম। পুরোনো ছবি

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আরেকজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, আজ শুক্রবার সকালে ঘোড়াঘাট ইউএনও’র বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিনুল ইসলাম তদন্ত করছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরী পলাশ আহম্মেদকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর তিনজনকে আজ ভোর রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। তিনি ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। অপর দুজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণদেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ আলম (৩৪) ও সাগরপুর গ্রামের আসাদুল হক (৩৫)।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, আটককৃতদের এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো যাবে না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক অভিযান চলমান রয়েছে।

এদিকে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার অভিযোগে আরেকজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তার নাম নবীরুল ইসলাম (৩৮)। তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা সংলগ্ন চক বামনদিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। র‌্যাবের এক সদস্য জানান, আটক নবীরুলকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরীকে বেঁধে রেখে দুর্বৃত্তরা পিপিই ও মাস্ক পরে বাসায় প্রবেশ করে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও শরীরে বেধম আঘাত করে। এ সময় বাসায় থাকা তার বাবা শেখ ওমর আলী মেয়েকে বাঁচাতে এলে তাকেও সন্ত্রাসীরা গুরুতর আঘাত করে। দুর্ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা শেখ ওমর আলীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাহুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ের ব্যবস্থাপনায় তার স্ত্রী ওয়াহিদা খানমকে বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতেই তার মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন অনেকটা আশঙ্কা মুক্ত।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা, আটক ৫

প্রকাশিত : ০৬:৪০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আরেকজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, আজ শুক্রবার সকালে ঘোড়াঘাট ইউএনও’র বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিনুল ইসলাম তদন্ত করছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরী পলাশ আহম্মেদকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর তিনজনকে আজ ভোর রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। তিনি ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। অপর দুজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণদেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ আলম (৩৪) ও সাগরপুর গ্রামের আসাদুল হক (৩৫)।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, আটককৃতদের এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো যাবে না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক অভিযান চলমান রয়েছে।

এদিকে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার অভিযোগে আরেকজনকে আটক করেছে র‌্যাব। তার নাম নবীরুল ইসলাম (৩৮)। তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা সংলগ্ন চক বামনদিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। র‌্যাবের এক সদস্য জানান, আটক নবীরুলকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরীকে বেঁধে রেখে দুর্বৃত্তরা পিপিই ও মাস্ক পরে বাসায় প্রবেশ করে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও শরীরে বেধম আঘাত করে। এ সময় বাসায় থাকা তার বাবা শেখ ওমর আলী মেয়েকে বাঁচাতে এলে তাকেও সন্ত্রাসীরা গুরুতর আঘাত করে। দুর্ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা শেখ ওমর আলীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাহুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ের ব্যবস্থাপনায় তার স্ত্রী ওয়াহিদা খানমকে বিমানবাহিনীর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতেই তার মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন অনেকটা আশঙ্কা মুক্ত।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ