পাবনা জেলাতে যক্ষা রোগীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা। সামাজিক বা শারিরিক দুরত্ব বজায় না রাখার কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। পাবনা জেলা করোনা নিয়ন্ত্রন কমিটির সদস্য সচিব পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল মানেন না সামাজিক ও শারিরিক দুরত্ব।
সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালের সভাপতিত্বে, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচীর সহযোগিতায়, পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার ( ১০ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে যক্ষা বিষয়ক ত্রৈমাসিক মনিটরিং সভায় দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত অতিথিগন সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষ্যে গাদাগাদি করে সভায় অংশ নিয়েছেন। এখানে সামাজিক দুরত্ব দুরের কথা- শারিরিক দুরত্বেরও বালাই নাই। খোদ সিভিল সার্জনের উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে এমন অবস্থা সৃষ্টি হলে সাধারন মানুষ সচেতন হওয়া অসম্ভব। ফলে জেলাতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাবান সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলায় প্রায় ২৯ লাখ মানুষ বাস করে। তার মধ্যে ১০হাজার ৩৬৯ জন মানুষের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এ সামান্য লোকের মধ্যে ১হাজার ৪৪ লোক আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। ওই দফতরের তথ্যে জেলাতে ০৯ জন কোভিড রোগী মারা যাবার কথা স্বীকার করলেও, বেসরকারী হিসেবে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশী। এ ব্যাপারে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মো. মেহেদী ইকবালকে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভড করেন নাই।
এ দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাবনা জেলার যক্ষা রোগের অর্গানাইজার মো. নজরূল ইসলাম ও ব্র্যাকের সমন্বয়কারী জেলা ব্যবস্থাপক মো. আক্তার আলী জানান, করোনার কারনে পাবনা জেলাতে যক্ষা রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তারা জানান, ২০১৮ সালে জেলার নয়টি উপজেলাতে ৩ হাজার ৪২৬ জন মানুষ যক্ষায় আক্রান্ত হয়। তাদের ভেতর ১১৮জন রোগী মৃত বরন করে। ২০১৯ সালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩হাজার ৯৫৭ জনে পৌছে। এ বছরে মৃতের সংখ্যা নিরপন করা হয়নি। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ছয়মাসে পাবনা জেলাতে যক্ষা রোগে ১ হাজার ৫৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের দাবী, এ রোগে প্রায় ৯৮ ভাগ রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়ে ভাল হচ্ছে।
এ সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কনস্যালট্যান্ট ও যক্ষা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সাইদুল ইসলাম, বিএমএ’র পাবনা জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক, ডা. মো. আকসাদুল আল মাসুর আনন, পাবনা যক্ষা হাসপাতালের সাময়িক দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কন্যালট্যান্ট ডা. মোস্তাফিজুর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ


























