১২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন ১৮০ নারী পুলিশ

শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন পুলিশের ১৮০ নারী সদস্য- ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ নারী সদস্য ঢাকা ছেড়েছেন। পুলিশের একমাত্র ফিমেল ফর্মড পুলিশ ইউনিটের (এফপিইউ) এই ১৮০ সদস্য কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার উদ্দেশে রওনা দেন।

শুক্রবার ভোরে শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকা ছাড়েন।

কমান্ডার মেরিনা আক্তারের নেতৃত্বে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৪) সদস্যরা বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৩) এর স্থালিভিষিক্ত হবেন। এছাড়া জাতিসংঘের মিশনে যোগ দিতে যাওয়া এই ফর্মড পুলিশ ইউনিটে ডেপুটি কমান্ডার রওনক, লজিস্টিক অফিসার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, অপারেশনস অফিসার সম্রাট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ পনের জন কমান্ডিং স্টাফ রয়েছেন।

বিদায়ী বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৩) এর কমান্ডার হিসেবে ছিলেন সালমা সৈয়দ পলি। বিরাজমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই ইউনিট দীর্ঘ ষোল মাস ধরে অত্যন্ত দক্ষতার ও সুনামের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিমানবন্দরে ডিআইজি (লজিস্টিকস) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী কঙ্গোগামী শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং আন্তরিক বিদায় জানান।

২০০৫ সালে MONUSCO শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের এফপিইউ পাঠানো হয়। ২০১১ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে এফপিইউ প্রেরণ করছে।

মানবতার কল্যাণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহণ শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। গত তিন দশকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের নিষ্ঠাবান সদস্যদের পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববাসীর অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে। এর ফলে বিশ্ব সমাজে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব শান্তিরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকালে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম

শান্তিরক্ষা মিশনে গেলেন ১৮০ নারী পুলিশ

প্রকাশিত : ০৯:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ নারী সদস্য ঢাকা ছেড়েছেন। পুলিশের একমাত্র ফিমেল ফর্মড পুলিশ ইউনিটের (এফপিইউ) এই ১৮০ সদস্য কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসার উদ্দেশে রওনা দেন।

শুক্রবার ভোরে শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকা ছাড়েন।

কমান্ডার মেরিনা আক্তারের নেতৃত্বে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৪) সদস্যরা বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৩) এর স্থালিভিষিক্ত হবেন। এছাড়া জাতিসংঘের মিশনে যোগ দিতে যাওয়া এই ফর্মড পুলিশ ইউনিটে ডেপুটি কমান্ডার রওনক, লজিস্টিক অফিসার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, অপারেশনস অফিসার সম্রাট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ পনের জন কমান্ডিং স্টাফ রয়েছেন।

বিদায়ী বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-১৩) এর কমান্ডার হিসেবে ছিলেন সালমা সৈয়দ পলি। বিরাজমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই ইউনিট দীর্ঘ ষোল মাস ধরে অত্যন্ত দক্ষতার ও সুনামের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিমানবন্দরে ডিআইজি (লজিস্টিকস) মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরী কঙ্গোগামী শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং আন্তরিক বিদায় জানান।

২০০৫ সালে MONUSCO শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের এফপিইউ পাঠানো হয়। ২০১১ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে এফপিইউ প্রেরণ করছে।

মানবতার কল্যাণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহণ শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। গত তিন দশকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের নিষ্ঠাবান সদস্যদের পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববাসীর অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে। এর ফলে বিশ্ব সমাজে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব শান্তিরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকালে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম