০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইনে টিসিবির পেঁয়াজ কেনায় ধুম

ট্রাক থেকে ন্যায্যমূল্যের পেঁয়াজ কিনছেন নগরবাসী। ফাইল ছবি

অনলাইনে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরুর পর কেনার ধুম পড়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান আজ দুপুর ১২টার পর থেকে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। এরপরই ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। টিসিবি গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সুপারশপ স্বপ্ন অনলাইন ও চালডাল ডটকমকে দেড় হাজার কেজি করে পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়। আজ দুপুর ১২টা থেকে স্বপ্ন ও সাড়ে ১২টা থেকে চালডাল তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।

বেলা তিনটার সময় স্বপ্নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির হাসান প্রথম আলোকে জানান, দুই ঘণ্টায় তাঁরা ৪৫০ কেজি পেঁয়াজের ফরমাশ বা অর্ডার পেয়েছেন। ধানমন্ডি, গুলশান ও বনশ্রী এলাকা থেকে ফরমাশ বেশি আসছে। অভিজাত এলাকায় কেন বেশি চাহিদা, তার দুটি কারণ তুলে ধরেন সাব্বির হাসান। তিনি বলেন, ওই সব এলাকায় মানুষ অনলাইনে কেনাকাটায় বেশি অভ্যস্ত। আরেকটি বিষয় হলো, মানুষ এখন পণ্যের দাম নিয়ে ব্যাপক সচেতন।

আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডাল ডটকম বেলা তিনটায় জানিয়েছে, চাহিদা এত বেশি যে তারা আর বেশি সময় অর্ডার নিতে পারবে না। চালডালের হেড অব গ্রোথ ওমর শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্রি শুরু করেছি। কোনো প্রচার চালাইনি। তারপরও পেঁয়াজ প্রায় শেষের দিকে।’ তিনি বলেন, মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, রাজারবাগ ও উত্তরা থেকে তাঁরা অর্ডার বেশি পাচ্ছেন।

অনলাইনে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একজন গ্রাহক একবারে তিন কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। সরবরাহ বা ডেলিভারি চার্জ বাবদ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা নিচ্ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল রোববার এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে টিসিবির পেঁয়াজ অনলাইনে বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অনেকেই সামাজিক কারণ ও সময়ের অভাবে রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনতে পারেন না। এ ছাড়া টিসিবির ট্রাকসংখ্যা বাড়ানোর সক্ষমতাও সীমিত। তাই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

অনলাইনে বিক্রির সঙ্গে পাঁচটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে। পরে আরও যোগ হবে। আপাতত এ সেবা ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত থাকবে। আজ টিসিবির মুখপাত্র হ‌ুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুটি প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার কেজি করে পেঁয়াজ নিয়েছে।

ঢাকায় এখন ৪০টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করে টিসিবি। প্রতি কেজির দর ৩০ টাকা। সাধারণত একজন ক্রেতা দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারেন। তবে চাপ বেশি থাকলে এক কেজি করে দেওয়া হয়। সারা দেশে ২৭৫টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। অনলাইনে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল ক্রেতারা কেনাকাটা করেন বলে দাম কেজিতে ৬ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।

ভারত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর দেশে পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়ায়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে দাম পড়তি। ঢাকায় এখন দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, বাজারে ক্রেতা খুব কম। চাহিদা নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

জনপ্রিয়

দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নগদ অর্থ লুট, আহত ৩

অনলাইনে টিসিবির পেঁয়াজ কেনায় ধুম

প্রকাশিত : ০৯:৪১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

অনলাইনে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরুর পর কেনার ধুম পড়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান আজ দুপুর ১২টার পর থেকে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। এরপরই ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। টিসিবি গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সুপারশপ স্বপ্ন অনলাইন ও চালডাল ডটকমকে দেড় হাজার কেজি করে পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়। আজ দুপুর ১২টা থেকে স্বপ্ন ও সাড়ে ১২টা থেকে চালডাল তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে।

বেলা তিনটার সময় স্বপ্নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির হাসান প্রথম আলোকে জানান, দুই ঘণ্টায় তাঁরা ৪৫০ কেজি পেঁয়াজের ফরমাশ বা অর্ডার পেয়েছেন। ধানমন্ডি, গুলশান ও বনশ্রী এলাকা থেকে ফরমাশ বেশি আসছে। অভিজাত এলাকায় কেন বেশি চাহিদা, তার দুটি কারণ তুলে ধরেন সাব্বির হাসান। তিনি বলেন, ওই সব এলাকায় মানুষ অনলাইনে কেনাকাটায় বেশি অভ্যস্ত। আরেকটি বিষয় হলো, মানুষ এখন পণ্যের দাম নিয়ে ব্যাপক সচেতন।

আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডাল ডটকম বেলা তিনটায় জানিয়েছে, চাহিদা এত বেশি যে তারা আর বেশি সময় অর্ডার নিতে পারবে না। চালডালের হেড অব গ্রোথ ওমর শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্রি শুরু করেছি। কোনো প্রচার চালাইনি। তারপরও পেঁয়াজ প্রায় শেষের দিকে।’ তিনি বলেন, মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, রাজারবাগ ও উত্তরা থেকে তাঁরা অর্ডার বেশি পাচ্ছেন।

অনলাইনে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একজন গ্রাহক একবারে তিন কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। সরবরাহ বা ডেলিভারি চার্জ বাবদ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা নিচ্ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল রোববার এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে টিসিবির পেঁয়াজ অনলাইনে বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অনেকেই সামাজিক কারণ ও সময়ের অভাবে রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনতে পারেন না। এ ছাড়া টিসিবির ট্রাকসংখ্যা বাড়ানোর সক্ষমতাও সীমিত। তাই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

অনলাইনে বিক্রির সঙ্গে পাঁচটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে। পরে আরও যোগ হবে। আপাতত এ সেবা ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত থাকবে। আজ টিসিবির মুখপাত্র হ‌ুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুটি প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার কেজি করে পেঁয়াজ নিয়েছে।

ঢাকায় এখন ৪০টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করে টিসিবি। প্রতি কেজির দর ৩০ টাকা। সাধারণত একজন ক্রেতা দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারেন। তবে চাপ বেশি থাকলে এক কেজি করে দেওয়া হয়। সারা দেশে ২৭৫টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। অনলাইনে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল ক্রেতারা কেনাকাটা করেন বলে দাম কেজিতে ৬ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।

ভারত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর দেশে পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়ায়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে দাম পড়তি। ঢাকায় এখন দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, বাজারে ক্রেতা খুব কম। চাহিদা নেই।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত