অর্থনীতি সচল রাখতে শীত মৌসুমে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকলেও আবার লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার। তবে এবার জোরালো সতর্কতা ও বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে করা হবে কঠোর মনিটরিং।
বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
চলতি বছরের শেষের দিকে শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে, তাই আগেভাগেই এ নিয়ে সতর্ক সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ধাপে করোনার প্রকোপ থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপ্রধান এমন নির্দেশনা দেয়ার একদিন পরই আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সচিব বলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা চালানো হবে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। বিমানবন্দরে মানুষের ঢোকা ও বের হওয়ার বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সারাদেশে লকডাউনের কথা ভাবছে না। কারণ লকডাউনে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্থনীতি সচল রাখতেই সরকার এমন ভাবনা থেকে সরে এসেছে। অর্থনীতি সচল রেখেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’
সচিব জানান, পরবর্তী অবস্থা পর্যালোচনা করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সভায় বলা হয়েছে, অক্টোবর-নভেম্বরে শীতের প্রকোপ বাড়লে কোভিডের সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে। সেটি হবে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ। কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েব মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নেই আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তাই মন্ত্রণালয়গুলো নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে এবং তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী সময়ে সেগুলোকে সমন্বয় করে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করবে। তাই মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজস্ব পরিকল্পনা সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিমান বন্দরগুলোতে আগমন ও বহির্গমনে নজরদারির দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী।
এর আগে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে সব মন্ত্রণালয়কে মহামারি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত


























