০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

নিষিদ্ধ নেটওয়ার্কে পুরান ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন ইরফান

সংগৃহীত ছবি

নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব।

অভিযানে সরকার নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, বিদেশি মদ, অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল প্রভৃতি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আজ বিকালে অভিযানের এক পর্যায়ে হাজী সেলিমের চাঁন সরদার দাদার বাড়ির ভিতরে সাংবাদিকদের নিয়ে গেলে উদ্ধার এসব অস্ত্র-মাদক ও নিষিদ্ধ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দেখা যায়।

ইরফান ও তার দেহরক্ষী এখনো বাড়ির ভিতরে র‌্যাব হেফাজতেই আছেন। অভিযান এখনো চলছে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাজী সেলিমের ছেলে পুরান ঢাকা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মধ্যে রেখেছেন। এজন্য তিনি অবৈধভাবে ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এই ডিভাইস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ট্র্যাক করতে পারেন না। সরকারি অনুমোদ ছাড়াই তিনি এই ভিপিএস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।

এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তিনি ঘরে বসেই পুরো পুরান ঢাকার তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন।

দাদা বাড়ি ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে এসব ওয়্যারলেস সিস্টেম সরঞ্জাম ও ৩৮টি কালো ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। যা সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়া ব্যবহারের অনুমতি নেই। এছাড়া সেখান থেকে লোডেট একটি বিদেশি পিস্তল (আমেরিকান), একটি চাইনিজ কুড়াল, ৭ বোতল বিদেশি মদ ও বেশ কিছু বিয়ার জব্দ করে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়াই তিনি তার বাসায় এই ভিপিএস ডিভাইসের মাধ্যমে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।

সাধারণত এগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কাউকে সরকার অনুমোদন দেয় না। এছাড়াও এসব ওয়্যারলেস কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ট্র্যাক করতেও পারেন না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :

নিষিদ্ধ নেটওয়ার্কে পুরান ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন ইরফান

প্রকাশিত : ০৮:০৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব।

অভিযানে সরকার নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, বিদেশি মদ, অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল প্রভৃতি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আজ বিকালে অভিযানের এক পর্যায়ে হাজী সেলিমের চাঁন সরদার দাদার বাড়ির ভিতরে সাংবাদিকদের নিয়ে গেলে উদ্ধার এসব অস্ত্র-মাদক ও নিষিদ্ধ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দেখা যায়।

ইরফান ও তার দেহরক্ষী এখনো বাড়ির ভিতরে র‌্যাব হেফাজতেই আছেন। অভিযান এখনো চলছে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাজী সেলিমের ছেলে পুরান ঢাকা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মধ্যে রেখেছেন। এজন্য তিনি অবৈধভাবে ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এই ডিভাইস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ট্র্যাক করতে পারেন না। সরকারি অনুমোদ ছাড়াই তিনি এই ভিপিএস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।

এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তিনি ঘরে বসেই পুরো পুরান ঢাকার তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন।

দাদা বাড়ি ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে এসব ওয়্যারলেস সিস্টেম সরঞ্জাম ও ৩৮টি কালো ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। যা সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়া ব্যবহারের অনুমতি নেই। এছাড়া সেখান থেকে লোডেট একটি বিদেশি পিস্তল (আমেরিকান), একটি চাইনিজ কুড়াল, ৭ বোতল বিদেশি মদ ও বেশ কিছু বিয়ার জব্দ করে।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়াই তিনি তার বাসায় এই ভিপিএস ডিভাইসের মাধ্যমে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।

সাধারণত এগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কাউকে সরকার অনুমোদন দেয় না। এছাড়াও এসব ওয়্যারলেস কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ট্র্যাক করতেও পারেন না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর